২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মৌলভীবাজার অপহরনের ৩ মাস পরও অপহৃত স্কুল ছাত্রী উদ্ধার হয়নি

অভিযোগ
প্রকাশিত অক্টোবর ২৭, ২০২২
মৌলভীবাজার অপহরনের ৩ মাস পরও অপহৃত স্কুল ছাত্রী উদ্ধার হয়নি

ছবিঃ সংগৃহীত

ছবি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার সরকারী আলী আমজদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মেধাবী এস এস সি পরীক্ষার্থী কিশোরী(১৫) অপহরনের ৩ মাসের পরও ভিকটিম উদ্ধার করতে পারেনি মৌলভীবাজার পিবিআই পুলিশ। উল্টো অপহরনকারী পরিবারের যোগসাজসে ভিকটিমের সাথে বিয়ে ঠিক হওয়া পাত্রের আত্নহত্যার ঘটনার প্ররোচনাকারী হিসাবে আসামী করার হুমকি দিচ্ছে মডেল থানা এস আই নাঈম। বিভিন্ন অজু হাতে ভিকটিমের বাসায় পুলিশ পাঠিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভিকটিমের মা শামীমা আক্তার(৩৮) জানান, মৌলভীবাজার সরকারী আলী আমজদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গত এসএসসি পরীক্ষার্থী(১৫) ২৩ জুলাই টিবি হাসপাতাল সড়কের বাসার সামন থেকে অপহরন করে নিয়ে যায় এলাকার ফজলু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম ফুয়াদ। এ ঘটনায় ভিকটমের মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। পিটিশন মামলা নং-১২৩/২২ ইং। বিজ্ঞ আদালত সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দশ দেন মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারকে। আদালতের নির্দেশের ৩ মাসরহয়ে গেলেও পিবিআই পুলিশ ভিকটিম উদ্ধার বা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। শামীমা আক্তার জানান, তার মেয়ে ৯ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী স্কুলে পথে বখাটে ছেলে সাইফুল ইসলাম ফুয়াদ তাকে অপহরন করে নিয়ে যায়। এক দিন পর তাকে উদ্ধার করা হয়। আবার ২৯ নভেম্বর ২১ইং অপহরন করে নিয়ে গেলে ৭ ডিসেম্বর তাকের মৌলভীবাজার মডেল থানর পুলিশ উদ্ধার করে। এ সময় তার মেয়ে পুলিশকে বলেছিল ছেলেটি কিছু আপত্তিকর ছবি জোর পূর্বক তোলে রেখেছে। যে ছবি দিয়ে তাকে জিম্মি করে রেখেছে। তখন পুলিশ বিষয়টি আমলে নেয়নি। গত ২৪ জুলাই মেয়ের ইচ্ছায় বিয়ে ঠিক হয় কাজির বাজারের সৈয়দ তোফাজ্জল হোসেনের(৩০) এর সাথে। বিয়ের আগের দিন ২৩ জুলাই আবারও তার মেয়েকে বাসার সামন থেকে অপহরন করে নিয়ে যায় সাইফুল ইসলাম ফুয়াদ। অপহরন ও বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ারন অপমানে ২৪ জুলাই সকালে সৈয়দ তোফাজ্জল হোসেন ফরহাদ নিজ বাসায় আত্নহত্যা করে। আত্নহত্যার ৩ মাস পর রহস্যজনক ভাবে কোন অভিযোগকারী ছাড়া মডেল থানার এসআই তাকে ও তার স্বামীকে আত্নহত্যার প্ররোচনাকারী হিসাবে আসামী করার হুমকি দিচ্ছেন। মৃত তোফাজ্জল হোসেনের মা সৈয়দা মনোয়ারা বেগম(৬০) বলেন, আমার ছেলে তামান্না ইসলাম মুন্নি নামে এক মেয়েকে পছন্দ করে। তার পর ছেলে মেয়ে এক মত হয় বিয়ে করতে। বিয়ের তারিখের আগের দিন মেয়েটিকে একটি ছেলে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় বিয়ে বাদ পরে যায়। বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় আমার ছেলে লজ্জায় অপমানে আমার চোখের সামনে আত্নহত্যা করেছে।এব্যাপারে পুলিশ লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় বলেছি পোষ্টমডেম না করতে। কারন কারও প্রতি অভিযোগ নাই। মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই নাঈম বলেন, আমার তদন্তে তোফাজ্জল হোসেন আত্নহত্যা মামলাটি একটি হত্যার মামলা হবে। এখানে ভিকটিমের বাবা মা ও সোলেমান নামে এক ব্যাক্তি দায়ী। অপহরনকারী বা তার সঙ্গীরা আসামী হবে না কেন এর প্রশ্নের জবাবে কোন উত্তর দিতে পারেননি।

মৌলভীবাজার পিবিআই পুলিশের এসআই আসাদুজ্জামান বলেন, তামান্না ইসলাম মুন্নি অপহরনের মামলাটি আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছি। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় লোকেশন পাওয়া যাচ্ছে না।

মৌলভীবাজার পিবিআই পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন,আমাদেরকে একটু সময় দেন , ভিকটিমের বাবা মার সাথে আমার কথা হয়েছে। আশা করি ভাল একটি খবর পাবেন।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30