Sharing is caring!
নয়ন দাশ, বান্দরবান প্রতিনিধি
দুই পার্বত্য জেলার দূর্গম এলাকায় যৌথ বাহিনীর ১০ দিনের অভিযানে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কে এনএফ) ১০ সদস্য কে বিপুল পরিমান অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরাঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব, এসময় একটি আস্তানা ধ্বংস করা হয়।র্যাব সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সুরা সদস্যসহ ৭ জন জঙ্গী এবং পাহাড়ী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ৩ জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গত ২১ অক্টোবর ২০২২ সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ এর হল রুমে র্যাবের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এক সংবাদ সন্মেলনে বলেন, সম্প্রতি নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শীর্ষ নেতাদের ধরতে পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়। সম্প্রতি জঙ্গিবাদে জড়িয়ে নতুন করে কথিত হিজরতের নামে ঘরছাড়া তরুণরা জামাতুল আনসারের হয়ে পাহাড়ি এলাকার আস্তানায় আশ্রয় নেয়। এসব আস্তানায় হিজরত করা তরুণদের ভারি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া দেশের ১৯ জেলার ৫৫ তরুণের তালিকা প্রকাশ করে র্যাব। তাদের মধ্যে ৩৮ জনের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা প্রকাশ করা হয়। ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্তঘেঁষা দুর্গম পাহাড়ে বাড়িছাড়া কিছু তরুণ জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। নতুন এ জঙ্গি সংগঠনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী।কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে টানা অভিযান চালিয়ে বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির বিভিন্ন এলাকা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র ৭ জন এবং পাহাড়ী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ৩ জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ, পোষাক উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির সাইজামপাড়া ও বান্দরবানের রোয়াংছড়ি বাজার এলাকায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার নেতৃত্বে র্যাব ৭ ও র্যাব ১৫ অভিযান পরিচালনা করে, সৈয়দ মারুফ আহমদ, ইমরান হোসোইর, কাওসার, জাহাঙ্গীর আহমদ, ইব্রাহিম, আবু বক্কর সিদ্দীক, রুফু মিয়া, জৌথান সাং বম, স্টিফেন বম, মাল সম বম’কে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৯টি বন্দুক, ৫০ রাউন্ড বন্দুকের গুলি, কার্তুজ, কেইস ৬২টি, হাত বোম্ব ৬টি, কার্তুজ কেইস ১টি, কার্তুস বেল্ট ২টি, দেশীয় পিস্তল ১ টি, দেশীয় পিস্তল, বিভিন্ন অস্ত্র ওয়াকিটকি সেট, কুকি চিন লিখা ১০টি মানচিত্র উদ্ধার করা হয়।
এসময় কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন,জঙ্গী সংগঠনের আমির শামিন মাহফুজ মাধ্যমে ২০২০ সালে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ) প্রধান নাথান বম এর মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং ২১ সালের প্রথম থেকে নব্য জঙ্গী সংগঠনটির সাথে নাথান বম ৩ বছরের একটি চুক্তি করে। তাদের অর্থের বিনিময়ে কেএনএফ আশ্রয়, খাবার ও প্রশিক্ষন দিয়ে আসছে।