Sharing is caring!
স্থানীয় সময় সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে স্থানীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক বিশেষ ভাষণে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণার ৬০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে দেশটির সাবাহ, সারাওয়াক, মেলাকা ও জহুর ছাড়া মালয়েশিয়ার অন্য রাজ্য সরকার তাদের নিজ নিজ রাজ্যের বিধানসভা ভেঙে দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে একযোগে ১৫তম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করার কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারির কঠিন সময়ে জনগণের সমর্থনের জন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সামনে জনগণ তাদের ভোট দিয়ে এমন সরকার বেছে নেবে, যারা বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও জাতিগোষ্ঠীর মালয়েশিয়ান পরিবারের ঐক্য ও সম্প্রীতি রক্ষা করবে এবং আগামী ২০২৩ সালের বাজেট বাস্তবায়ন পুনরায় শুরু করার মধ্যদিয়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হবে।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষ ভোট নিশ্চিত করা এবং খরচ বাঁচানোর পাশাপাশি জনগণের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য একই সময়ে নির্বাচন পরিচালনা করা উচিত। এ ছাড়া মনোনয়ন এবং ভোটের তারিখসহ এ সংক্রান্ত অন্য বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান তিনি।এদিকে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে মালয়েশিয়ার নতুন সরকার গঠনের এ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ থেকে চলমান কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে না এবং উভয় দেশের মধ্যে যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
আসন্ন ১৫তম সাধারণ নির্বাচনে ২২২ টি আসনে প্রায় ২ কোটি ১১ লাখ মালয়েশীয় ভোটার ভোট দিতে পারবেন বলে গত ডিসেম্বর মাসে দেশটির আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন। ২২২ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন হবে ১১২ আসন। সরকার ন্যূনতম ভোটের বয়স ২১ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ বছর করার ফলে আসন্ন এই নির্বাচনে প্রায় ২ কোটি ১১ লাখ মালয়েশীয় ভোটার ভোট প্রয়োগ করতে পারবেন। এরমধ্যে প্রায় ৬০ লাখের বেশি ভোটার প্রথমবারের মতো ভোট প্রদান করবে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য তার রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড মালয় ন্যাশনাল অরগানাইজেশনের (ইউএমএনও) প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেছেন। যদিও অন্যান্য দল এখনও প্রধানমন্ত্রীর জন্য তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। এ দিকে নির্বাচন ঘিরে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দেশজুড়ে ৯৪ হাজার ৪১১ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির আইজিপি এক্রিল সানি আবদুল্লাহ।