২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ইউএনও’র কক্ষে তরুণকে পেটালেন আনসার সদস্যরা

অভিযোগ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২
ইউএনও’র কক্ষে তরুণকে পেটালেন আনসার সদস্যরা

 

মোজাম্মেল হক লিটন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর কার্যালয়ে সেবা প্রার্থী এক তরুণকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে কর্মরত দুই আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে।মারধরের শিকার তরুণের নাম মো.আহসান হাবিব (২২)। সে উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের মো.এনায়েত উল্যার ছেলে। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌৗনে ১টার দিকে কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে কবিরহাট পৌরসভা এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক কবিরহাট উপজেলার আনসার ব্যাকে হামলার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে তাদের ফেরত পাঠায়। এ ঘটনায় কবিরহাট পৌর এলাকায় উত্তোজনা বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী আহসান হাবিব অভিযোগ করে বলেন, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আমি আমার বন্ধু মনির উদ্দিন সহ উপজেলা কার্যালয়ের যাই ছোট ভাইয়ের জন্মনিবন্ধের নাম সংশোধন করার জন্য। এ সময় সেবা প্রার্থী লোকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় আমাদের সিরিয়িালে লাইনে দাঁড়াতে হয়। একপর্যায়ে মনির উদ্দিন তার আরেকজন বন্ধুর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলা শুরু করেন। যে তুমি দেখ আমি জন্মনিবন্ধরে নাম সংশোধন করার জন্য এসে উপজেলা মাঠে লাইনে দাঁড়িয়েছি। এমন সময় আনসার সদস্য ইউনুস এসে তাকে মুঠোফোনে ভিডিও করার অভিযোগ তুলে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন আমি আনসার সদস্যকে জানাই সে ভিডিও করেনি, ভিডিও কলে কথা বলেছে। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে আনসার সদস্য রনি এসে লাঠি দিয়ে আমার চোখে আঘাত করে আমাকে মারধর শুরু করে। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাতে আমরা তার কক্ষে প্রবেশ করি। নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিচার দিয়ে ফেরার পথে পুনরায় ইউএনও এর কক্ষে আনসার সদস্য ইউনুস ও রনি আমাকে মারধর করে। পরে ইউএনও তাদেরকে গালমন্দ করে আমাকে তার গাড়িতে করে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে পাঠায়। অভিযুক্ত আনসার সদস্য ইউনুস ও রনিকে উপজেলা কার্যালয়ে গিয়ে পাওয় যায়নি। তাই অভিযোগের বিষয়ে তাদের বক্তব্য নেওয়াা সম্ভব হয়নি। কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউুএনও) ফাতেমা সুলতানা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা নিজেরা নিজেরা মাঠে মারামারি করেছে। আমার কক্ষে কাউকে মারধর করা হয়নি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, তবে দুই আনসার সদস্যকে আর এখানে রাখা হবেনা। তাদেরকে জেলায় পাঠিয়ে দেওযা হবে।আহত তরুণকে আমি চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30