২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

মহাদেবপুরের দাদন ও সুদ ব্যবাসয়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে

অভিযোগ
প্রকাশিত আগস্ট ২৮, ২০২২
মহাদেবপুরের দাদন ও সুদ ব্যবাসয়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে

নওগাঁর মহাদেবপুরে আবারও দাদন ও সুদ ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
তাদের সুদের বেঁড়াজালে অনেকই জেলের ঘানি টানছেন, অনেকেই এলাকা ছাড়, আবার অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে। ওইসব দাদন/সুদ ব্যবসায় সমাজের এক শ্রেণীর অর্থলোভী নরপিচাশ যেমন, প্রভাষক,শিক্ষক,চাতাল ব্যবসায়ী,স্বর্ণ ব্যবসায়ী,নামধারী রাজনীতির সাথে জরিত এক শ্রেণীর সুবিধাবাদী দ্বিগুন হারে বিভিন্ন পেশাজীবি অভাবী পরিবারের মধ্যে এই দাদন/সুদ ব্যবসায়া চালিয়ে যাচ্ছে।
বিনা লোকসানে রাতারাতি কোটিপতি হতে অভাবী ও নিন্মবিত্ত মানুষকে চডা সুদে টাকা দিচ্ছে ওইসব দাদন ব্যবসায়ীরা। সাধারণের কাছে এরা সুদারু নামেই পরিচিত। বেশিরভাগ দাদন ব্যবসায়ী সুদে টাকা দেওয়ার আগে গ্রহীতার কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে সই নেয়। শুধু তাই নয়, গরিব মানুষকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে বাধ্য করে। ব্যাংকের ফাঁকা চেকে সই নিয়ে নিজের জিম্মায় নিয়ে নেয় ওইসব দাদন ব্যবসায়ী তথা সুদখোররা। সুদে টাকা নিয়ে নির্ধারিত সময়ে সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হলেই গ্রহীতার ওপর চালানো হয় মানসিক ও অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতন। গালাগালিও করা হয় অশ্লীল ভাষায়। কোনো ক্ষেত্রে দু’এক মাস সুদের টাকা দিতে না পারলে সুদের সুদ টেনে হিসাব পাকাপোক্ত করে গ্রহীতার ওপর চাপ সৃষ্টি করেন সুদারুরা। তাদের কাছে গচ্ছিত ব্যাংকের চেক ও ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই থাকায় প্রতিবাদও করতে পারে না ওইসব দরিদ্র মানুষজন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, গ্রহীতারা সুদের টাকা দিতে না পারলে ব্যাংক চেকে ইচ্ছে মতো টাকার অঙ্ক বসিয়ে ব্যাংকে জমা দিয়ে ডিজওনার করে চেক জালিয়াতির মামলায় কারাবাস হয় সুদ গ্রহীতার। ওইসব দাদন/সুদারুদের রসানলে পড়ে হাজারো নির্যাতিত মানুষের জীবন চিত্র ফুটে উঠেছে এ,উপজেলায়।
সুত্রমতে জানাযায়, ওইসব দাদন/সুদব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এবং থানাপুলিশের সহায়তায় চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা সুদের ব্যবসা। সুদের জন্য মানুষ মরছে, খুন হচ্ছে, মারধরের শিকার হচ্ছে। সচেতনদের দাবী,রাতারাতি বড় লোক হওয়ার লালসায় লিপ্ত ওইসব সুদখোরদের রুখতে সরকারের কাছে দাবি সুদ প্রতিরোধ করে সাধারণ মানুষকে বাঁচানোর।

Please Share This Post in Your Social Media
March 2024
T W T F S S M
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031