২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বেগমগঞ্জে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে মারধর, ইউপি সদস্যের তিন ছেলে গ্রেফতার

admin
প্রকাশিত আগস্ট ২৮, ২০২২
বেগমগঞ্জে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে মারধর, ইউপি সদস্যের তিন ছেলে গ্রেফতার

Sharing is caring!

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে (২২) মারধরের ঘটনায় মামলা দায়েরের ৭২ ঘন্টার মধ্যে ৩ ভাইকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য মোমেনা (মেম্বার) এর ছেলে রোমান (৩৫), রানা (৩২) ও রুবেল (৪০)। তারা ৩ জন সম্পর্কে আপন ভাই।গতকাল শনিবার (২৭ আগস্ট) সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হাজীপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য মোমেনার (মেম্বার) ছেলে রোমান (৩৫) গত রোযা ঈদের পর থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। পারিবারিক সমস্যা থাকায় প্রায় সময় মা-বাবা, বড় ভাইয়েরা বাড়ির বাইরে থাকতো। বাড়িতে তাদের বসত ঘরে ছোট ৩ ভাইকে নিয়ে থাকত ওই তরুণী। গত রমজানের ঈদের পর থেকে ভয় দেখিয়ে প্রায় রাতে ভুক্তভোগীর শয়নকক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছিল রোমান। এ ঘটনার ১ মাস পর নির্যাতিতার মা বাড়িতে আসলে বিষয়টি তাকে অবগত করা হয়।পরবর্তীতে তিনি বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অভিযুক্ত রোমানের পরিবারকে অবগত করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের কয়েক দফায় মারধর করে রোমান ও তার পরিবারের লোকজন। এদিকে মেয়েটি ৩ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে রোমানকে বিয়ের জন্য বললে তার পরিবারের লোকজন নির্যাতিতা ও তার পরিবারকে বাড়ি ছাড়ার জন্য এবং থানায় কোনো অভিযোগ দিলে হত্যা করবে বলেও হুমকি দিতে থাকে। গত বুধবার বিকেলে ঘরের পাশের পুকুরঘাটে কাজ করছিল ওই তরুণী। এ সময় রোমান ও তার ভাই রুবেল এসে তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে জখম করে ফেলে যায়। পরে বাড়ির লোকজন আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ওই রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। জানা যায়,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা এলাকায় মারামারি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। তাদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না। আসামি রোমান, রুবেল ও রানার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়াও অত্র মামলার অন্যতম আসামি মো. রুবেল বেগমগঞ্জ থানার চিহ্নিত সন্ত্রাসী আমজাদ হোসেন ওরফে পেট কাটা সুমন ওরফে খালাসি সুমন বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে দস্যুতা, খুনসহ ডাকাতি এবং একাধিক মারামারির মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। RAB-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মাহমুদুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।