Sharing is caring!
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থেকে নোয়াখালী জেলার মাইজদী পর্যন্ত চলাচলকারী একটি ঘাতক গণপরিবহনের নাম ‘জননী। গত এক সপ্তাহে এ পরিবহন শুধু নোয়াখালী জেলার চাটখিল এলাকায় তিনটি দুর্ঘটনা ঘটায়। সোনামুড়ি এলাকায় ঘটায় ওপর একটি দুর্ঘটনা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে চারটি দুর্ঘটনা ঘটায় ঘাতক এ পরিবহন। এসব দুর্ঘটনায় হালিমার দিঘীরপাড় ১জন বাইসাইকেল আরোহী মৃত্যু বরন করে। দশঘরিয়া এলাকায় মোটরসাইকেলকে পিছনের দিক থেকে ধাক্কা দিয়ে মোটরসাইকেলে থাকা তিন তরুনকে রক্তাক্ত আহত করে। কাছারি বাজার এলাকায় একটি অটোরিকশাকে পিছনের দিক থেকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে পেলে দেয়। অটোরিকশা চালক হালকা আহত হয়। রিকশায় থাকা একজন যাত্রী তরুণ রক্তাক্ত আহত হয়। সোনাইমুড়ি থানার বাংলাবাজার এলাকায় একটি সিএনজিকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে পেলে দেয়। এতে সিএনজি চালক গুরুতর আহত হয়। গত বুধবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের সময় দশঘরিয়া পূর্ব বাজার একটি মোটরসাইকেল কে পিছনের দিক থেকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় ঘাতক জননী পরিবহন। এতে মোটরসাইকেলে থাকা সিদ্দিক (১৬) পিতা মৃত হুমায়ন ফরিদ, দশঘরিয়া,জাহিদ (১৭) পিতা মোঃ আনোয়ারুল, দশঘরিয়া শুকনার বাড়ী, সালমান (১৭) পিতা সালেহ আহমেদ, দশঘরিয়া মজুমদার বাড়ী মুহূর্তের মধ্যে মাটিতে লুটিয়ে পরে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে ১ম চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাথে সাথে স্থানান্তর করা হয় মাইজদী ২৫০ শস্য বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে। জাহিদের একটি পা ভেঙ্গে যাওয়ায় সেখান থেকে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এ দুর্ঘটনায় সিদ্দিক মাথায় প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হয়। এ তিম তরুণসহ কাছারি বাজারে আহত তরুন বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বছরের পর বছর ধরে জননীর নামক ঘাতক এ পরিবহনটি চাটখিল সোনাইমুড়ি এলাকায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে চলছে। ঘাতক এ পরিবহন ও অদক্ষ চালকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোন ব্যবস্থা নিয়েছে বলে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। দশঘরিয়া,চাটখিল, বাংলাবাজার,সোনাইমুড়ী এলাকার বেশ কয়েকজম সাথে কথা হয়। এ সময় উক্ত এলাকার লোকজন বলেছেন, এই সড়কে ঘাতক জননী পরিবহন চলাচলের আর উপযুক্ত নয়। এই সড়ক দিয়ে ঘাতক জননী পরিবহনের চলাচল বন্ধ করার দাবিতে খুব শীঘ্রই লোকজন রাস্তায় নামার চিন্তাভাবনা করছে বলেও তারা জানিয়েছেন তারা।