২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

টাংগাইলের নাগরপুরে মোটর বাইকের জন্য চাচাতো ভাইকে হত্যা

admin
প্রকাশিত আগস্ট ২০, ২০২২
টাংগাইলের নাগরপুরে মোটর বাইকের জন্য চাচাতো ভাইকে হত্যা

Sharing is caring!

মোঃ শফিকুল ইসলাম সবুজনা গরপুর উপজেলা প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র আরিফ মিয়া (২১) হত্যা রহস্য পুলিশ উদঘাটন করেছে। শুধু মাত্র একটি মোটর বাইকের জন্য নিজ চাচাতো ভাইয়ের হাতে নৃশংসভাবে প্রাণ দিতে হলো অনার্স প্রথম বর্ষের মেধাবি ছাত্র আরিফকে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ভিকটিমের চাচাতো ভাই উপজেলার নঙ্গিনাবাড়ি গ্রামের দারোগ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক জাহাঙ্গীর হত্যার দায় স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিত্বে শুক্রবার বিকেলে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী ব্রীজের নিচ থেকে তার লাশ উদ্বার করা হয়। পরে লাশটি সাটুরিয়া থানায় নেয়া হয়। এদিকে লুন্ঠিত মোটর সাইকেলসহ অপর আসামী দেলদুয়ার উপজেলার দুল্লা গ্রামের মোকছেদুর রহমানের ছেলে হাবিজুর রহমান রনিকে (৩৩) পুলিশ গ্রেফতার করে। অপরদিকে ছেলে হত্যার খবর শুনে ওই পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজনদের আহাজাড়িতে সেখানকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। শোকে নির্বাক বাবা মা কোন কথাই বলতে পারছে না। এ শোকে স্তব্ধ প্রতিবেশিরাও। শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের দেয়া এক প্রেস রিলিজে এসব তথ্য জানানো হয়।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, নাগরপুর সদর ইউনিয়নের নঙ্গিনাবাড়ী গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. হোসেন মিয়ার ছেলে ও টাঙ্গাইল এমএম আলী কলেজের বিএ (অনার্স) প্রথম বর্ষের ছাত্র আরিফ (২১) গত ৮ আগস্ট দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর ফুসলিয়ে আরিফকে তার মোটর বাইক (পালসার ডাবল ডিক্স) নিয়ে বাড়ী থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্য বের হয়ে যায়। ওই দিন বিকেলে জাঙ্গাগীর একা বাড়ী ফিরে আসে। বাড়ীর লোকজন জাঙ্গাগীরের কাছে আরিফের কথা জানাতে চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা করে একেক সময় একেক তথ্য দিয়ে পরিবারকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। দুই দিন পেরিয়ে গেলেও আরিফের কোন সন্ধান না পেয়ে ১০ আগস্ট নাগরপুর থানায় একটি সাধারন ডাইরী করা হয়। পরে পুলিশ গতকাল শুক্রবার জাহাঙ্গীরকে আটক করে। সে একই গ্রামের দারোগ আলীর ছেলে। পুলিশের ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদে সে আরিফকে ওই দিনই হত্যা করে তিল্লী ব্রীজের নিচে বস্তায় ভরে ফেলে যায় এবং তার মোটরসাইকেলটি হাফিজুর রহমান রনির কাছে বিক্রি করে। ঘাতক জাহাঙ্গীরের তথ্য অনুযায়ী নাগরপুর থানা পুলিশ ও ডিবি (দক্ষিণ) টাঙ্গাইলের একটি বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে কালিহাতি থানার রতনগঞ্জ বাজার গামী পাক রাস্তার পাশ থেকে মোটরসাইকেটি উদ্ধার এবং হাফিজুরকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে ফৌ: কা: বি: ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন এবং আদালতের মাধ্যমে দুই আসামীকে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।