২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড বাঙালি জাতির জন্য চরম কলঙ্কময় অধ্যায়।

অভিযোগ
প্রকাশিত আগস্ট ৯, ২০২২
বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড বাঙালি জাতির জন্য চরম কলঙ্কময় অধ্যায়।

বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড বাঙালি জাতির জন্য চরম কলঙ্কময় অধ্যায়

প্রতিবেদক -শেখ তিতুমীর আকাশ ।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা সদস্য আমাদের প্রিয় নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন সহ নির্মমভাবে হত্যা করে। তারা সেদিন মানব ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধ ঘটিয়েছিল।
আজ সে নির্মম হত্যাকাণ্ডের দিনটিকে পালন করার জন্য আমরা দুঃখে ভরা এই শোকাবহ আগস্ট।
এই দিবসটি বাঙালি জাতি তাদের প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা অভিভূত হয়।
গভীর দুঃখ এবং সমবেদনা নিয়ে তাদের হৃদয় শ্রদ্ধার অশ্রু নিবেদন করে।

সুপ্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা—

বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড বাঙালি জাতির জন্য চরম কলঙ্কময় অধ্যায়।

আপনারা জানেন, শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে পশ্চিমা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম করে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন।
তিনি বাঙালি জাতিকে সাথে নিয়ে গড়ে তুলেছেন আজকের এই বাংলা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষণ স্বাধীনতা সংগ্রামের আহ্বান জানানো হয়েছিল তাতে সাড়া প্রদান করেছিল লাখো বাঙালি।
বীর বাঙ্গালী হিসেবে বাঙালি জাতি পৃথিবীর ইতিহাসে নিজেদের পরিচিতি গড়ে তুলেছে।দীর্ঘ নয় মাসের সে যুদ্ধে ৩০ লক্ষ বাঙালিকে আত্মহুতি দিতে হয়েছে।
এ সংগ্রাম স্বাধীনতার পিছনে বঙ্গবন্ধুর সীমাহীন সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
অথচ ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস!
ক্ষমতা গ্রহণের কিছুদিন পরে বিপথগামী কয়েকজন সেনাসদস্যর উচ্চাকাঙ্খার জন্য জন্য তাদের সপরিবারে প্রাণ দিতে হলো।
শোকের সাগরে ভেসেছিল সারা দেশবাসী সহ গোটা বিশ্ববাবাসী।
পুরা বিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। কেউ বিশ্বাসই করতে পারেননি যে ব্যক্তি দেশের স্বাধীনতার জন্য এতকিছু করতে পারেন তাকে তার দেশে এমন মৃত্যু লাভ করতে হবে।
স্বাধীন দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তা এভাবে শেষ হয়ে যাবে।
আজকের শোক দিবসের পালনের অর্থ বঙ্গবন্ধুর জন্য বেদনার অশ্রুপাত নয়।
আমাদের প্রিয় নেতা বাংলাকে একটি সোনার বাংলা গড়ার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন আমরা যদি সে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারি তার স্বপ্নকে পূরণ করতে পারি তাহলে তার প্রতি এটা ভেবে অনেক খুশি যে দীর্ঘদিন পরে হলেও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। দেশে সঠিক আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
এবার জাতিস্মর কে শক্তিতে রূপান্তরিত করে জাতিকে সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেয়ার সাধারণত নিয়োগ করতে হবে।
প্রতিটি বাঙালি জাতির স্বাধীনতা যেমন পরম সৌভাগ্যের তেমনি স্বাধীনতার মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আত্মত্যাগের সাধনা ও পরম আকাঙ্ক্ষিত।
শিক্ষার অভাব আর দরিদ্রতা জনজীবন বিপর্যস্ত করেছিল। স্বাধীন দেশে সম্প্রতিকালে শিক্ষায় যেমন অগ্রগতি হয়েছে তেমনি খাদ্য উৎপাদনে এসেছে।

স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আজ আমরা পৃথিবীর বুকে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি।
যে ব্যক্তি মহৎতার সাথে আমাদের দেশকে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন যুগের পর যুগ বছরের পর বছর। আমরা কখনোই তার অবদানকে ভুলতে পারবোনা।

জাতীয় শোক দিবসে শোক প্রকাশের দিন বলে বিবেচনা না করে বাঙালি জাতির অঙ্গীকারের দিন বলে বিবেচনা করতে হবে। সে অঙ্গীকার হবে একটি উন্নত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার। আসুন আমরা সেই মহৎ উদ্দেশ্যে নিজেদেরকে দেশের জন্য নিবেদিত করি।

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ সংগঠন ও জাতীয় সাপ্তাহিক অভিযোগ পত্রিকা এবং কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপকমিটি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর পক্ষ থেকে অগ্নি ঝড়া আগষ্টে জানাই
গভীর দুঃখ এবং সমবেদনা নিয়ে তাদের হৃদয় শ্রদ্ধার অশ্রু নিবেদন করি।

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক
জয় বাংলা / জয় বঙ্গবন্ধু

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30