Sharing is caring!
এম আকাশ, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
ঈদের বাকী আর মাত্র কয়েকটা দিন। আর তাই আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সাতক্ষীরার অন্যতম বৃহৎ পশুরহাট ব্রহ্মরাজপুর বাজার(ডি.বি ইউনাইটেড) স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণ। তবে এবছর সরকারী নির্দেশনায় সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ না করায় চাহিদা ও দাম দুটোই বেড়েছে, হয়তোবা নায্যমূল্য পাবে দেশীয় খামারিরা। এতে করে আশার স্বপ্ন বিরাজ করছে দেশীয় খামারীদের মধ্যে, উজ্জ্বল চোখের দৃষ্টি দেখে এটা বুঝতে বাকী থাকে না। অন্যদিকে বিশৃঙ্খলা, জালটাকা ও প্রতারক চক্র ঠেকাতে রবিবার পশুরহাটকে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পাহারায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে হাট কতৃপক্ষ,ফলে বেশ নিরাপদে ও শান্তিতে গরু কেনাবেচা করতে পেরেছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। এবছর তুলনামুলোক চাহিদা বেশী হওয়ায় দেশীয় গরুর দাম অনেকটাই বেশী হয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক ক্রেতারা। অন্যদিকে এবারের ঈদে কুরবানির জন্য মানুষ গরুর দিকে ঝুকে পড়ায় চাহিদার সাথে সাথে অনেকটাই কমেছে ছাগলের দাম। রবিবার পশুরহাটে সরেজমিনে দেখা যায়, ছয় থেকে সাত মন ওজনের বেশ বড় আকারের গরুর মুল্য চাওয়া হচ্ছে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। আর চার থেকে পাঁচ মন ওজনের গরুর মুল্য দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা চাইছেন খামারীরা। অন্যদিকে তিন থেকে সাড়ে তিন মন ওজনের গরু আশি হাজার থেকে এক লক্ষ টাকার মধ্যে থাকায় বেশিরভাগ মানুষ লাখ টাকার ভিতরে কুরবানির ক্রয়ে ঝুকছেন বলে জানিয়েছেন খামারী ও গরু ব্যবসায়ীরা। শুধু কুরবানির পশু নয়,রবিবার ব্রহ্মরাজপুর বাজার ঘিরে মুদিখানা ও অন্যান্য সামগ্রীর দোকান গুলোতেও ছিলো সকল শ্রেনী পেশার মানুষের উপচে পড়া ভিড়,বিশেষভাবে গার্মেন্টস সংশ্লিষ্ট দোকানের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।