Sharing is caring!
নিজাম উদ্দিন শিকদার, ভোলাঃ
প্রবাসি জন্ম সনদ চাওয়া চেয়ারম্যান কামরুল আহসান চৌধুরি রেগে গিয়ে বেপরোয়া হয়ে রড ও লাঠি দ্বারা নিজে ও তার কেডার বাহিনি দিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ করেছেন আহত ফারুক।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল আহসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে। আহত দালালপুর গ্রামের মোঃ ফখরুল এর ছেলে মোঃ খসরু জানান, টবগী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে জন্ম নিবন্ধন সনদ চাওয়ায় চেয়ারম্যান আমারে তার পরিষদের মধ্যে লোহার রড় দিয়ে এলোপাথারি মারতে থাকে এক পর্যায়ে তার কিছু ক্যাডার বাহিনী ও লাঠি দিয়ে আমাকে মেরে রক্তাক্ত করে।
আহত ফারুক বোরহানউদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম, ইউএনও খালেদা খাতুন রেখা ও স্থানীয় গন্য মান্য ব্যাক্তিদের কাছে গিয়ে তাকে রক্তাক্তের চিহ্ন দেখান।
আহত খসরু ও তার সাথে আসা স্বজনরা জানান, আজ ৪ আগস্ট বিকাল ৩ টায় টবগী ইউনিয়ন পরিষদে এসে খসরু তার জন্ম নিবন্ধন সনদ চান, এ সময় কামরুল আহসান সনদ না দিতে চাইলে তাদের দুজনের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয় এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে পরিষদে রাখা লোহার রড় ও লাঠি দিয়ে তাকে মারেতে থাকে চেয়ারম্যান ক্লান্ত হয়ে গেলে তার কেডার রিয়াজ ও অজ্ঞাতনামা আরো অনেকে তাকে মার ধর করে।
পরে চেয়ারম্যান পুলিশ এনে পরিষদ এলাকা ত্যাগ করে। এ ব্যপারে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা খাতুন (রেখা) বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, কামরুল তার ব্যাক্তিগত চরিত্রে খারাপি যা ছিল সেটা আজকে প্রমানীত হয়েছে। ভোটার হালনাগাতের সময় ফখরুলর সাথে বারাবারির এক পর্যায়ে কামরুল তাকে মারে। এতে জনতা উওেজিত হয়ে পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে এলে তার ক্যাডার বাহিনী জনগনের উপর হামলা চালায়। এতে অনেক সাধারণ মানুষ আহত হয়েছে। তার এই ঘটনার জন্য আমি তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কামরুল চৌধুরীর সাথে কথা বলতে চাইলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বোরহানউদ্দিন থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই মোহাইমেনুর জানান,এরকম কোন ঘটনা ঘটে নি আপনাকে ব্রিফিং ওসি স্যারে দিবে। এসময় ওসি কে ফোন দিলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।