২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সরকারের লক্ষ্যপূরণে সমবায় সংগঠনগুলো অগ্রণী ভূমিকা রাখবে: প্রধানমন্ত্রী।

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ৫, ২০২১
সরকারের লক্ষ্যপূরণে সমবায় সংগঠনগুলো অগ্রণী ভূমিকা রাখবে: প্রধানমন্ত্রী।

সরকারের লক্ষ্যপূরণে সমবায় সংগঠনগুলো অগ্রণী ভূমিকা রাখবে: প্রধানমন্ত্রী।

নিজস্ব সংবাদ দাতা:- সরকারের লক্ষ্যপূরণে দেশের সমবায় সংগঠনগুলো অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশের সংবিধানে সমবায়কে মালিকানার দ্বিতীয় খাত হিসেবে নির্ধারণ করেন।

শনিবার (৬ নভেম্বর) ৫০তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রতিবছর নভেম্বর মাসের প্রথম শনিবার দিবসটি উদযাপন করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর অন্যতম উন্নয়ন দর্শন ছিল সমবায় উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য জাতির পিতা গণমুখী সমবায় আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের অন্যতম সমবায় প্রতিষ্ঠান ‘মিল্কভিটা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাতেই গড়ে ওঠে।

দেশের সব সমবায়ীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য মোচন ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ১ লাখ ৯৬ হাজার সমবায় সমিতি রয়েছে, যার ব্যক্তি সদস্য প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ। সমবায় দেশের কৃষি, মৎস্য চাষ, পশু পালন, দুগ্ধ উৎপাদন, পুষ্টি চাহিদাপূরণ, পরিবহন, ক্ষুদ্র ব্যবসা, আবাসন, নারীর ক্ষমতায়ন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

সমবায় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনতে আইন করা হয়। সমবায় খাতে বাজেট বৃদ্ধিসহ প্রশিক্ষণ, আর্থিক ও উপকরণ সহায়তা প্রদানের কারণে সমবায়ীদের জীবনমান ও সামাজিক উন্নয়ন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা মুজিববর্ষে জাতির পিতার গণমুখী সমবায় ভাবনার আলোকে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজ’ করার কাজে হাত দিয়েছি। প্রাথমিকভাবে দেশের ৯টি জেলার ১০টি গ্রামের ৫ হাজার মানুষ এ প্রকল্পের সুফল পাবেন। গ্রামের আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত গ্রামীণ জীবনযাপনের সুযোগ ও গ্রাম থেকে শহরমুখী জনস্রোত কমাতে এ প্রকল্প ভূমিকা রাখবে।

সরকার প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করে চলেছে। আশা করি, সরকারের এ লক্ষ্যপূরণে দেশের সমবায় সংগঠনগুলো অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30