১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ, সৃষ্টির সেরা হিসেবে মানুষের কর্তব্য—

অভিযোগ
প্রকাশিত অক্টোবর ১০, ২০২১
আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ, সৃষ্টির সেরা হিসেবে মানুষের কর্তব্য—

আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ, সৃষ্টির সেরা হিসেবে মানুষের কর্তব্য—

বলেছেন— খন্দকার গোলাম মওলা নকশে বন্দী
উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয়
ধর্ম বিষয়ক উপকমিটি ,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লীলাভূমিতে মহান আল্লাহর কতই না সৃষ্টি রয়েছে। সবই তিনি মানুষের কল্যাণে সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে ভালোবেসেই তা করেছেন। মানুষ এত সুখ-শান্তি-ভোগ-বিলাসিতা করবে আর আল্লাহর ইবাদত করবে না, কৃতজ্ঞতা স্বীকার করবে না, তা কী করে হয়! কোরআন শরিফে আল্লাহ নিজেই বলেছেন, মানুষকে তিনি সৃষ্টি করেছেন নিজের ইবাদতের উদ্দেশ্যে। বলেছেন, ‘আমি জিন ও মানুষকে একমাত্র আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি।’ কিন্তু আমরা সেই মানুষ কি সত্যি তাঁর ইবাদত করছি? আমাদের সবার আগে জানা প্রয়োজন, ইবাদত অর্থ কী?
ইবাদতের মূল কথা হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে জীবনযাপন করা। তাঁর অফুরন্ত নিয়ামত উপভোগ করে শোকরিয়া আদায় করা, কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ইবাদত হলো ভালোবাসার সঙ্গে আল্লাহর চরম আনুগত্য প্রকাশ করা। অর্থাৎ আল্লাহর পক্ষ থেকে যেকোনো ধরনের আদেশ বা নিষেধ এলে তা মেনে চলতে কোনো প্রকার কুণ্ঠাবোধ না করা।

আমরা মুসলমান। মুসলমান বলতে বোঝায়, যে নিজের জীবনের সর্বস্ব আল্লাহর কাছে সঁপে দিয়েছে এবং যার কাণ্ডারি হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও চালিকাশক্তি হবে ওয়াহিয়ে এলাহি। আমরা কি সত্যি আল্লাহর ইবাদতে জীবনযাপন করছি? আমরা যারা নিজেকে মুসলমান বলে দাবি করছি, তারা কি কখনো ভেবে দেখেছি, আমাদের দ্বারা সে উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে কি না?

সারা বিশ্বের মুসলমান আজ নির্যাতিত, নিষ্পেষিত ও নিপীড়িত। আজ তাদের এ দুরবস্থা কেন? এর কি কোনো প্রতিকার নেই? আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা চিন্তা করো না, তোমরাই বিজয় লাভ করবে, যদি মুমিন হও।’ আমরা কি সে কথা একবারও চিন্তা করি? মুমিনের বিজয়ের শর্ত হলো ইমান। ইমান শক্ত ও মজবুত রাখতে হবে। আমাদের সর্বাগ্রে লক্ষ রাখতে হবে, আমরা সত্যি মুমিন হতে পারলাম কি না। দেশ ও মানুষের কল্যাণে আমরা কতটুকু নিবেদিত হতে পেরেছি, আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যটুকু সঠিকভাবে পালন করতে পারছি কি না, তা খেয়াল করতে হবে। কিন্তু এ বিষয়টিতে আমরা যেন বড়ই বেখেয়াল। আত্মকেন্দ্রিক মানসিকতা আমাদের সমাজকে কুরে কুরে খাচ্ছে। আমরাও যেন বিবেকবর্জিতভাবে স্বার্থপরতার স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছি। এটা দেশের জন্য, জাতির জন্য এমনকি ইমানি শক্তিতে বলিয়ানের জন্য বড়ই দুর্ভাগ্যের বিষয়। বর্তমানে সত্যিকার ইমানদার মানুষ পাওয়া মুশকিল। আমাদের ইমানে যেন উইপোকা ধরেছে। তাই আমাদের সমাজব্যবস্থার এত অধঃপতন। আমরা খাঁটি ইমানদার হতে পারিনি। বিভিন্ন প্রকার শিরক, বিদআত ও আল্লাহর নাফরমানি বা অবাধ্যতায় লিপ্ত। আমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ।

সত্যিকার ও আদর্শবান মানুষ হতে হলে আল্লাহর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করতে হবে এবং সেভাবেই জীবন পরিচালনা করতে হবে। মানুষের জীবনের পরিসীমা অনেক বড় এবং বিস্তৃত। এ জীবনকে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে গড়ে তুলতে হবে। মানুষ তার কর্মময় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এমনকি সব কাজের মাধ্যমে ইবাদত করতে পারে। সঙ্গে প্রয়োজন কিছু শর্ত মেনে চলা। পরিশুদ্ধ কাজের মাধ্যমে হালাল রুজি উপার্জন করাও ইবাদত। যেমন- যে কাজ করবে তা শরিয়তসম্মত বা বিধিবদ্ধ হতে হবে, নিয়ম ঠিক থাকতে হবে, যা করবে তা দক্ষতা ও যথাযথভাবে করতে হবে, আল্লাহর সীমা লঙ্ঘন করা যাবে না এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কাজে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে সে ক্ষেত্রে দুনিয়ার মোহে বিগলিত না হয়ে আখিরাতের কাজকেই প্রাধান্য দিতে হবে।
আমাদের প্রতিটি ব্যক্তিকে যার যার অবস্থান থেকে নিজ নিজ বিবেকের সঙ্গে বোঝাপড়া করে প্রতিটি কাজে অগ্রসর হতে হবে। অন্যের বিন্দুমাত্র অমঙ্গল হয়- এরূপ যেকোনো কাজেই নিরুৎসাহী হতে হবে। অন্য যেকোনো জীবের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার মাঝেই প্রকৃত সুখ- এটা উপলব্ধি করতে হবে। অসহায়ের পাশে দাঁড়াতে হবে নির্বিঘ্নচিত্তে। আর কতকাল এভাবে চলবে। সময় চলে যাচ্ছে তার আপন গতিতে। আমরাও যেন গা ভাসিয়ে দিয়েছি সময়ের স্রোতে। পরকালের পুঁজির ব্যাপারে বড়ই উদাসীন, বড়ই বেখেয়াল আমরা। আসুন মন থেকে হিংসা-বিদ্বেষ ঝেড়ে ফেলে মানুষকে প্রকৃত ভালোবাসতে শিখি, সেই সঙ্গে আল্লাহকেও। আল্লাহর দরবার উন্মুক্ত। সেখানে সব মাখলুকাতের প্রার্থনা করার অধিকার আছে। তওবার দরজা সবার জন্য খোলা। আসুন, আমাদের মনকে কলুষমুক্ত, দোষণমুক্ত করার জন্য খাঁটি দিলে তওবা করি। আল্লাহ পরম দয়ালু ও ক্ষমাশীল। বান্দার চোখের পানি ও জিহাদের ময়দানে শহীদের রক্ত আল্লাহর দরবারে ব্যর্থ হয় না। আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। তাগুতের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করি, মজলুমের অধিকার আদায়ের জিহাদ করি।

যেকোনো ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়াই প্রতিটি মানুষের ধর্ম হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা যেন সে আদর্শ থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছি। জেনে-বুঝে ভুল করলে তাতে কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত হয় না- এটা অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত। অন্যকে শোধরানোর পরামর্শ দেওয়ার আগে নিজেকে পরিশীলিত করতে হবে। নিজে যা দম্ভভরে করছি, অন্যকে তা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়ার মাঝে কোনো জ্ঞানের পরিচয় মেলে না। ন্যায়বিচারের জায়গাটায় স্বচ্ছতা আনতে হবে। বিবেকের আদালতে দাঁড়িয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানুষের মধ্যে রাগ-ক্ষোভ, দুঃখ-বেদনা, হতাশা থাকবে এবং এসব নিয়েই তো মানুষের জীবন। ধৈর্যের সঙ্গে এগুলোর মোকাবিলা করতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে মহান আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে। তিনি অবশ্যই সঠিক সমাধান দেবেন, এ বিশ্বাস সর্বদা মনের মধ্যে ধারণ করতে হবে।

আল্লাহ পরোপকারীকে সাহায্য করেন—দুর্যোগ তথা বিপদ-আপদ মুমিন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে পরীক্ষাস্বরূপ। পরীক্ষা ছাড়া পদোন্নতির কোনো সুযোগ নেই। তাই আল্লাহ তায়ালা মুমিন ব্যক্তির কাছ থেকে পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। নতুবা মুমিন এবং গোনাহগারের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না। বিপদ-আপদ দিয়ে আল্লাহ তায়ালা মুমিন ব্যক্তির ভালোবাসা যাচাই করেন। এ ছাড়া আল্লাহ তায়ালা কাকে কিভাবে নেয়ামত দান করবেন, তা একমাত্র তিনিই ভালো জানেন। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ কলেমার ওপর যারা ইমান এনেছে তাদের পরোপকার করতেই হবে। কারণ ইসলাম আল্লাহর হক ও বান্দার হক আদায়ের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে তাগিদ দিয়েছেন। অন্যের বিপদ-আপদে এগিয়ে যাওয়া মুসলমানের নৈতিক এবং ইমানি দায়িত্ব। কোরানে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা শ্রেষ্ঠ জাতি! তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য।’ (সূরা আলে-ইমরান: ১১০)।

হজরত আবু হোরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসুল সা. ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব দুঃখ-কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ তার কিয়ামতের দুঃখ-কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো সঙ্কটাপন্ন ব্যক্তির সঙ্কট নিরসন করবে, আল্লাহ তার দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় সঙ্কট নিরসন করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখে, আল্লাহ দুনিয়া-আখিরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। আর আল্লাহ ততক্ষণ পর্যন্ত বান্দার সাহায্য করে থাকেন যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দা নিজ ভাইয়ের সাহায্যে রত থাকেন।’ (মিশকাত, পৃ.৩২)।

সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিবেশীকে সাহায্য-সহযোগিতা করা, আত্মীয়স্বজনের খেদমত করা, আশপাশের লোকজনের খোঁজ-খবর নেয়া, ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাবার দেয়া, ঝগড়া-বিবাদ মিটিয়ে দেয়া মুমিনের ইমানি দায়িত্ব। কোরানে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা কল্যাণমূলক ও খোদাভীরুতার কাজে পরস্পর সহযোগী হও, মন্দ ও সীমা লঙ্ঘনের কাজে পরস্পর সহযোগী হয়ো না।’ (সূরা মায়েদা: ২)।

‘তুমি কি এমন লোককে দেখেছ, যে দ্বীনকে অস্বীকার করে? সে তো ওই ব্যক্তি যে ইয়াতিমকে রূঢ়ভাবে তাড়িয়ে দেয়, আর সে মিসকিনদের খাবারদানে মানুষকে উৎসাহিত করে না।’ (সূরা মাউন:১-৩)।

‘তারা দুনিয়ার জীবনে খাদ্যদ্রব্যের প্রতি নিজের প্রয়োজন আসক্তি থাকা সত্তেও মিসকিন, ইয়াতিম ও কয়েদিদের আহার প্রদান করে।’ (সূরা দাহর : ৮)।

‘তারা ধনসম্পদের প্রতি নিজেদের প্রয়োজন ও ভালোবাসা থাকা সত্তেও আত্মীয়স্বজনদের দান করে।’ (সূরা বাকারা : ১৭৭)।

পানির কাজ হলো অপরকে ভিজিয়ে দেয়া, বাতাসের কাজ অপরকে শীতল করা, আগুনের কাজ অপরকে জ্বালিয়ে ফেলা, বৃক্ষের কাজ অপরকে ছায়া দেয়া, আর মানুষের নৈতিক কাজ হলো অপরের বিপদে-আপদে সাহায্য-সহযোগিতা করা। দুর্গত এলাকার দুস্থ মানুষেরা আমাদের প্রতিবেশী এবং দ্বীনি ভাই। তাদের দুঃখ কষ্টে লাঘবের সাহায্যার্থে এগিয়ে যাওয়া মুমিনের দায়িত্ব।

অসহায়, দুস্থদের সাহায্য-সহযোগিতা দানকারী মুমিন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালা পরকালে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কোরানে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ইমান আনে এবং নেক কাজ করে, আমি নিশ্চয়ই তাদের সেসব ত্রুটি দূর করে দেব এবং তারা যেসব নেক আমল করে, আমি তাদের সেসব কর্মের উত্তম ফল দেব।’ (সূরা আনকাবুত:৭)।

সুতরাং যারা অন্যের প্রতি দয়া করবে, আল্লাহ তাদের প্রতি রহম করবেন। মহান প্রভু তাদের সাহায্য করবেন। আর সৃষ্টির মধ্যে আল্লাহর সেবা নিহিত রয়েছে।

মানুষ চারটি উপাদান দিয়ে তৈরি— ১. আগুন ২. পানি ৩. মাটি ও ৪. বাতাস। তাই এই চার উপাদানের বৈশিষ্ট্যই মানুষের মধ্যে প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করা যায়। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য উপায়ও বাতলে দেওয়া হয়েছে। ১. আগুনের বৈশিষ্ট্য হলো সব সময় ঊর্ধ্বমুখী হওয়া। সে সব কিছু পুড়ে ছারখার করে ওপরে উঠতে থাকে। এর থেকে জন্ম নেয় রাগ, ঔদ্ধত্যপনা, অহংকার। মানুষের মধ্য থেকে অহংকার দূর করার জন্য রয়েছে নামাজের বিধান। নিয়মিত নামাজ আদায় করলে মানুষের অহংবোধ ও মনের কালিমা দূর হয়, রাগ ও অহংকার প্রশমিত হয়। তাই ফকির-বাদশাহ সবাই এক কাতারে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ায় কোনো বাধা নেই। ২. পানির বৈশিষ্ট্য হলো ছড়িয়ে পড়া, চারদিকে বিস্তার লাভ করা। এর থেকে সৃষ্টি হয় লোভ-লালসা। এই লোভ-লালসা দমন ও সংবরণ করার জন্য রোজার বিধান করা হয়েছে। নিয়মিত রোজা রাখলে বা সিয়াম সাধনা করলে এই লোভ-লালসা থেকে দূরে থাকা যায়। লোভ সংবরণের শিক্ষা দেয় সিয়াম সাধনা। ৩. মাটির বৈশিষ্ট্য হলো কৃপণতা, ভক্ষণ করা। মাটি যা পায়, তা-ই ভক্ষণ করে। মাটির ওপর পানি ঢেলে দিলে তা কিছুক্ষণের মধ্যেই শুষে নেয়। লোহা পর্যন্ত মাটি গ্রাস করে ফেলে। সব কিছুই সে নিজের আয়ত্তে রাখতে চায়। ওপরের দিকে কোনো কিছু ছুড়লে সে আবার তার দিকে টেনে নেয়। এ থেকেই মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয় কৃপণতা, আর ভক্ষণ করার প্রবণতা। সে যা পায়, তা-ই গ্রাস করতে চায়। এই কৃপণতা আর গ্রাস করার মানসিকতা থেকে দূরে থাকার জন্য বিধান করা হয়েছে জাকাতের। নিয়মিত জাকাত পরিশোধ করলে এ থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। ৪. বাতাসের বৈশিষ্ট্য হলো দাম্ভিকতা প্রকাশ করা, সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে ফেলা। এ দাম্ভিকতা দূর করার জন্য বিধান করা হয়েছে হজের। হজ মানুষের জীবনে এমন শিক্ষা দেয়, যার মধ্যে কল্যাণ, শান্তি, সুষ্ঠু ও সুন্দর জীবনের একমাত্র উপায় নিহিত।

Please Share This Post in Your Social Media
March 2024
T W T F S S M
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031