মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ডুমুরিয়ার কৃষ্ণপদ বিশ্বাসের ছেলে বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস (৩৫)। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ও এক লাখ টাকা জরিমানার সাজা পেয়েছেন রূপসার আইচগাতি এলাকার মো. সহিদ মল্লিকের ছেলে মো. সোহেল রানা (৩৫)। এ ছাড়া ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে গগনবাবু রোডের ওয়াহিদের ছেলে মো. আরিফুর রহমার ছগিরকে (৬০)।
মামলার অপর তিন আসামিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- টুটপাড়া এলাকার শিকদার আইয়ুব আলীর ছেলে এস এম এরশাদ হোসেন (৪৮), দাকোপের কৃষ্ণপদ মন্ডলের ছেলে বিকাশ চন্দ্র মন্ডল (৫৫) ও দাকোপের মো. ইউনুছ ফকিরের ছেলে মো. ফজলুর রহমান ফকির (৩৭)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১১ আগস্ট রাত পৌনে ১০টার দিকে খুলনা নগরীর ময়লাপোতা মোড়স্থ আল আরাফা এটিএম বুথের সামনে থেকে র্যাব-৬ সদস্যরা ২৩০ গ্রাম কোকেনসহ সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গগনবাবু রোডের একটি বাড়ি থেকে কোকেন বিক্রির মূল হোতা আরিফুর রহমান ছগির ও বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ কেজি ২০ গ্রাম কোকেন উদ্ধার করা হয়। ছগিরের দেওয়া তথ্য মোতাবেক দাকোপ উপজেলায় রাত তিনটার দিকে অভিযান চালিয়ে বিকাশ চন্দ্র মন্ডল ও ফজলুর রহমান ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী টুটপাড়ায় অভিযান চালিয়ে এস এম এরশাদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-৬ এর তৎকালীন ডিএডি মো. রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামিকে করে রূপসা থানায় মাদক আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন রূপসা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম। বিভিন্ন কার্যদিবসে আদালত ৪২জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় প্রদান করেন।