২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় লোডশেডিং ভোগান্তিতে ছয় লাখ জনগন

অভিযোগ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১
সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় লোডশেডিং ভোগান্তিতে ছয় লাখ জনগন

সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় লোডশেডিং ভোগান্তিতে ছয় লাখ জনগন।

স্টাফ রিপোর্টার গাইবান্ধা :-১৮৭৫ সালে সুন্দরগঞ্জ থানা উপজেলায় রুপান্তরিত হয়। জন্মলগ্ন থেকেই এই উপজেলা বিভিন্ন সময় এসেছে নিউজের প্রথম পৃষ্ঠায় । কখন রাজনীতির কারনে কখনো নদী ভাঙ্গনের ফলে এসেছে। এবার এসেছে বিভিন্ন পত্র- পত্রিকায় লোডশেডিং এর কবলে সুন্দরগঞ্জ ১৪২.১২ বর্গ মিটারের মধ্যে ৫-৬ লাখ জনসাধারণের ভোগান্তির চিত্র।

কোন ঘাটতি নেই বিদ্যুৎতে। সর্বোচ্চ চাহিদা আমাদের ২২-২৩ মেগা ভোল্ট এমপিয়ার। বরাদ্দ আছে ২৫ এমপিয়ার। আর্থাৎ চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ বেশি। শুধু বজ্রপাত বা ঝড়ো হাওয়ায় লাইন ক্ষতিগ্রস্থ না হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ কখনো বন্ধ থাকে না। গণশুনানিতে কথাগুলো শেষ করতে না করতেই জনসাধারণের তোপের মুখে পরেন রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সুন্দরগঞ্জ জোনাল ম্যানেজার মিলন কুমার কুন্ড।

গত এপ্রিল মাস থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চলমান অসহনীয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ভৌতিক বিল, গ্রাহক হয়রানি, বিলিং শাখায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসৌজন্যমূলক আচরণসহ বিভিন্ন অনিয়মে অনুষ্ঠিত গণশুনানীতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।

পরে উপস্থিত উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি নিজেই কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি নিজেই রমযান মাসে বাড়িতে ছিলাম ১২দিন। তারাবীর নামাজেও লোডশেডিং ছিল। বিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহকদের সাথে দুর্ব্যবহার, এমনকি হাতাহাতির মত ঘটনাও ঘটেছে এমন তথ্য আছে আমার কাছে। যা অত্যন্ত দুঃজনক এবং অনাকাঙ্খিত। আপনারা ভাল সেবা দিতে না পারলেও অন্তত হাসিমুখে কথা তো বলতে পারেন! বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সেবার মান উন্নত করুন। অতিরিক্ত বিল নিয়ে নাগরিক হয়রানি বন্ধের বিষয়ে সতর্কবার্তা দেন গনশুনানিতে।

বিগত দিনের গণশুনানিতে অংশ নিয়ে লেকচারার এম এ মাসুদ বলেন, আমার মে মাসের বিদ্যুৎ বিলে মিটারের রিডিং অনুযায়ী প্রায় ২শ ইউনিট বেশি লেখা হয়েছে, এক বিধবা মহিলার মার্চে ৬২ টাকা, এপ্রিলে ৮৫ টাকা বিল হলেও ওই ২ মাসের বকেয়া সহ মে মাসে ৪ হাজার ৯৭৭ টাকা এসেছে ভৌতিক বিল। ১২ এপ্রিল থেকে পুরো রমজান মাস এবং শুনানি চলাকালীন সময় পর্যন্ত রাতদিন ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুৎ বিভ্রান্তিতে অতিষ্ঠ মানুষ। পৌরসভার সুন্দরগঞ্জ অংশের চেয়ে কোন অংশেই মীরগঞ্জ এক নাম্বার ওয়ার্ড কম গুরুত্বপুর্ণ নয়। কারণ পৌরসভার সিংহভাগ আয় আসে মীরগঞ্জ বাজার থেকে। তাই ওই এলাকাটিকে সুন্দরগঞ্জের সাথে সংযুক্ত করা খুবই প্রয়োজন বলেও যোগ করেন তিনি।

পৌর মেয়র আব্দুর রশীদ রেজা সরকার ডাবলু বলেন, মীরগঞ্জ বাজারসহ পুরো পৌরসভাকে আলাদা করে এক ফিডারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবীসহ বিভিন্ন অনিয়ন তুলে ধরে কথা বলেন।

এ সময়ে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে গণশুনানিতে বক্তৃতা দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুঃ মাহমুদ হোসেন মন্ডল, বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান নজমুল হুদা, বিভিন্ন গ্রাহক ও গণমাধ্যম কর্মী।

পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, শতভাগ বিদ্যুতায়িত সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১লক্ষ ১২হাজার। বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ফিডার রয়েছে ০৬ টি। পাঁচ নাম্বার ফিডার (ই) দিয়ে চলে সুন্দরগঞ্জ বাজার ও পৌরসভা। যার আওতায় রয়েছে- বিদ্যুৎ অফিস, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন, সুন্দরগঞ্জ বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার কিছু অংশ। এক নাম্বার ফিডার (ডি) দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় উত্তর বামনজল, মীরগঞ্জ বাজার, পুরো তারাপুর ইউনিয়ন, ঘগোয়াসহ পীরগাছা উপজেলার কিছু অংশ ও বাকি চার টি ফিডার দিয়ে অন্যান্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
কে এই বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম? কেন এত বার অভিযোগ সুন্দরগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম এর উপর। গণশুনানির পরে কিছু দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ একটু উন্নতি হলেও এখন।
ঠিক আগের মতই রহস্যময় আকাশে মেঘের আভাসের আগেই বিদ্যুৎ চলে যায় আর আসার নেই কোন খবর। প্রতিনয়ত দিনে রাতে ২৪ ঘন্টায় সবমোট ১৫-২০ বার লোডশেডিং হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে বিদ্যুৎ চালিত ইলেক্ট্রনিক ডিভাস ও যন্তপাতি। তবুও কোন সঠিক সমাধান এর নেই কোন ব্যবস্থা। কিছুদিন আগে অতিরিক্ত বিল নিয়ে অফিসের ভিতরে গ্রাহক প্রশ্ন করায় গ্রাহকে অফিসের ভিতরে মার পিট করা হয়। ডিজিএম বার বার প্রকাশে ও অন্ধকারে অপরাধ করছে কিন্তু তার বিরুদ্ধে কেন রংপুর বিদ্যুৎ সমিতি বিভাগীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে না বার বার অভিযোগ এর পরেও? নাম বলতে অইচ্ছুক সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন এর বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন। বিদ্যুৎ অফিসের নামে নিউজ করে কোন লাভ নেই। কারন সুন্দরগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিস এর ডিজিএম তার বাহুবল ও তার টাকার ক্ষমতার কাছে এসব নিউজ ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।
বার বার লোডশেডিং যেমন জন জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে। এর থেকে বেশি ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে ইলেকট্রনিকস পণ্য সামগ্রী। অনেকে অনলাইনে এর প্রতিকারের জোর দাবি করলেও কোন সুফল আসেনি।

লোডশেডিং এর সমস্যার পাশাপাশি অতিরিক্ত বিল নেওয়ার ও অভিযোগ। রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তা কে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করার পরেও ফোন যায় নি মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সুন্দরগঞ্জ বিদ্যুৎ সমিতির নামে এই সব অভিযোগ বার বার হওয়ার পরেও । তদন্তের সাপেক্ষে সুন্দরগঞ্জ বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম ও তার সহযোগী সকল এর বিরুদ্ধে অতিবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কাছে জোরদাবি করা হচ্ছে। এবং বরাদ্দকৃত
বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সু ব্যবস্থা করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এর জন্য আশা
বক্ত কর হল।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30