ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল
মো. মমিন হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদন :
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ৭নং সহদেবপুর ইউনিয়ন বাসীদের পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সিনিয়র এবং ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল জলিল।
তিনি ১৯৪৯ সালের ২২ই অক্টোবর টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার টেরকী গ্রামে ফয়েজ উদ্দীন ও জাবেদ বেগমের ঘরে পাঁচ ভাই দুই বোনের মধ্যে প্রথম সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। দাম্পত্য জীবনে হাসিনা বেগমের সংসারে তিন ছেলে এক মেয়ের জনক আব্দুল জলিল।
তাহার বড় ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম, মেঝো মেয়ে শিউলি আক্তার সেজো ছেলে মো. হাবিবউল্লাহ সুমন ও ছোট ছেলে মো. শহিদুল্লাহ শামীম। তার সন্তানেরা দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত রয়েছেন।
শিক্ষা জীবনে তিনি এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জে একটি কোম্পানিতে চাকরি নেন। শ্রমিকদের প্রতি প্রবল ভালোবাসার কারণে তিনি প্রথমে শ্রমিক নেতা হিসেবে বেশখ্যাতী অর্জন করেন। ১৯৬৮ সালে চাকরি থেকে চলে এসে ১৯৭২ নারায়নগঞ্জে “সাইফুল হোশিয়ারি ” নামে একটি গেঞ্জি কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত করেন।
তিনি ১৯৬৯ সালে গণআন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতার হন। ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত এম.এন.এ প্রার্থী এ.কে.এম শামছুদোহা নারায়ণগঞ্জে তাঁর পক্ষে নির্বাচন করেছেন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭৯ সালে সহদেবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, উক্ত পদে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দুই দুইবার কারাবরণ করেন। ১৯৮২ সাল হতে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দুই দুইবার ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কালিহাতী উপজেলা শাখার কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কালিহাতী উপজেলা শাখার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন এবং আজ পর্যন্ত উক্ত পদে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন এবং দলীয় মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয় ভাবে কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে যদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাই তবে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হব ইনশাআল্লাহ। সর্বশেষ তিনি সহদেবপুর ইউনিয়ন বাসীর দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করেন।