দু’ফোঁটা পানিতেই অথৈ সাগর মাওনা চৌরাস্তা-বারতোপা শাখা সড়ক!
খন্দকার আনোয়ার হোসেন, শ্রীপুর গাজীপুর:
গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে বাংলাদেশের প্রায় ৬৪ জেলার লোকজনেরই বসবাস রয়েছে। এখানে রয়েছে সকল ধরণের নাগরিক সুবিধা। স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, সরকারি বেসরকারি ব্যাংক, শপিংমল, বিনোদন কেন্দ্রসহ কোন কিছুরই কমতি নেই। কিন্তু এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো জলাবদ্ধতা।
সামান্য বৃষ্টির পানিতেই আশেপাশের প্রায় সকল শাখা সড়কগুলোই পানিতে থৈ থৈ করে। বাদ যায় না ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কও। সবচেয়ে বেশি দূরবস্থা মাওনা চৌরাস্তা থেকে বাম দিক দিয়ে চলে যাওয়া বারতোপা আঞ্চলিক সড়কটির। এই সড়কের দুপাশে রয়েছে স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, হাসপাতাল, মার্কেটসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এই রাস্তাটি দেখার যেন একেবারেই কেউ নেই বললেই চলে।
রাস্তার দু’পাশে অসংশোধনীয় বাসাবাড়িও রয়েছে। এসব বাসাবাড়িতে বিভিন্ন জেলার মানুষ বাস করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ চাকুরী করেন। এতে তাদেরকে পড়তে হয় নানাবিধ সমস্যায়। ওযু করে বাড়ি থেকে আসার পর কেউ পবিত্র অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করতে পারেন না। পুনরায় ওযু করে মসজিদে প্রবেশ করতে হয়।
স্কুল, মাদ্রাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক কেউই পরিচ্ছন্নভাবে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারেন না। হাসপাতালের রোগী, স্বজন, ডাক্তারসহ সকলকেই পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। আশেপাশের মার্কেটগুলোর ক্রেতা বিক্রেতারাও দুর্বিসঃহ যন্ত্রণায় ভুগেন। সচেতন নাগরিক সমাজ এই সমস্যার অতিদ্রুত সমাধান চেয়েছেন।
এ বিষয়ে শ্রীপুরের বহুল আলোচিত ও প্রশংসিত শিক্ষাবান্ধব সামাজিক সংগঠন আলোর দিশারী শিক্ষা ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক খন্দকার মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন আন্দোলন, মানববন্ধন কর্মসূচির পর কর্তৃপক্ষ শাপলা মেডিক্যালের সামনে থেকে বর্ণমালা মোড় পর্যন্ত রাস্তা মেরামত করেন।
এরপর কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও বাকি রাস্তাটুকু মেরামত করা হচ্ছে না। এই রাস্তাটি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ হাবিবুর রহমানের নামে নামকরণ। উনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে হলেও অনতিবিলম্বে রাস্তাটির স্থায়ী মেরামতের প্রয়োজন মনে করি।