১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নীলফামারীর সৈয়দপুরের স্থাপত্যে অনুপম নিদর্শন ইসলামবাগ চিনি মসজিদ

অভিযোগ
প্রকাশিত জুন ৪, ২০২১
নীলফামারীর সৈয়দপুরের স্থাপত্যে অনুপম নিদর্শন ইসলামবাগ চিনি মসজিদ

নীলফামারীর সৈয়দপুরের স্থাপত্যে অনুপম নিদর্শন ইসলামবাগ চিনি মসজিদ

মোঃ জসিম উদ্দিন; স্টাফ রিপোর্টারঃ-

ভারতবর্ষ পীর আউলিয়াদের দেশ হিসেবে পরিচিত। ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে অনেক পীর, আউলিয়া ও বুজুর্গের আগমণ ঘটেছিল এখানে। আর তাদের উৎসাহ, অনুপ্রেরণায় মুসলমান শাসক ও মোঘল আমলে অসংখ্য মসজিদ স্থাপিত হয় এই উপমহাদেশে। নীলফামারীর সৈয়দপুরের চিনি মসজিদ শুধু উপসনালয় নয়, দৃষ্টিনন্দিত এই মসজিদটির অতীত ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতীকও। চীনা মাটির পাথর দিয়ে নির্মিত বলে এর নাম হয়েছে চীনা মসজিদ- যা পরে স্থানীয়দের কাছে চিনি মসজিদ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

এই মসজিদের নির্মাণ শৈলী ও সৌন্দর্য সবার নজর কাড়ে খুব সহজে। ইতোমধ্যে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদটি এ অঞ্চলের অন্যতম মসজিদ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। তাই তো দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মানুষ প্রতিদিন আসে একনজর দেখার জন্য এই মসজিদটি। সৈয়দপুর শহরের উত্তরে ইসলামবাগ এলাকায় ১৮৬৩ সালে ঐতিহ্যবাহী চিনি মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রথম দিকে এটি দোচালা ছোট একটি টিনের ঘর ছিল। পরবর্তীতে ১৯২০ সালে হাজী হাফিজ আব্দুল করিমের উদ্যোগে ৩৯ ফুট বাই ৪০ ফুট আয়তন বিশিষ্ট মসজিদটির প্রথম অংশ পাকা করা হয়।
হাজী আব্দুল করিম নিজেই মসজিদটির নকশা এঁকেছিলেন। পুনরায় ১৯৬৫ সালে মসজিদের দক্ষিণ দিকে ২৫ বাই ৪০ ফুট আয়তন বিশিষ্ট দ্বিতীয় অংশ পাকা করা হয়। এই চিনি মসজিদের সারা অবয়ব রঙ্গীন উজ্জ্বল চীনা মাটির পাথরের টুকরো দ্বারা আবৃত। ১৯৬৫ সালে বগুড়ার একটি গ্লাস ফ্যাক্টরি চিনি মসজিদের জন্য প্রায় ২৫ টনের মতো চীনা মাটির পাথর দান করে। এছাড়া সেই সময় কোলকাতা থেকেও ২শ’ ৪৩ খানা শংকর মর্মর পাথর এনে লাগানো হয় এই মসজিদে। ঐতিহ্যবাহী চিনি মসজিদের ৪৫টি মিনারসহ ৩টি বড় গম্বুজ রয়েছে।

মসজিদে প্রবেশের জন্য উত্তরে ও দক্ষিণে একটি করে দরজা রয়েছে। মসজিদের দোতলায় একটি ভবনসহ পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। সৈয়দপুরের চিনি মসজিদ দেখার জন্য বহু বিদেশি পর্যটকদের আগমনের ইতিহাস রয়েছে। কারুকার্যময় স্থাপত্যের নিদর্শন এই চিনি মসজিদ দেশের ক’জন রাষ্ট্র প্রধানও পরিদর্শন করে গেছেন। মসজিদটির ডানে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বামে একটি ইমামবারা রয়েছে। আর পশ্চিমে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কবরস্থান।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30