Sharing is caring!
বগুড়ার মহাস্থানে কাঁচা মরিচের ব্যাপক দরপতন!
গোলাম রব্বানী শিপন, বগুড়া থেকেঃ
বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী লাল মরিচ মধ্যম ঝাল হওয়ায় রান্না করা তরকারি অত্যান্ত সুস্বাদু ও তরকারির রং খুব সুন্দর এবং চমৎকার হয় বলে সারা দেশে এটি বিখ্যাত। এই মরিচ গৃহিণী ও রাঁধুনী শিল্পদের কাছে খুব জনপ্রিয়। বগুড়ার লাল মরিচের খ্যাতি দীর্ঘ দিনের। এদিকে মহাস্থান বাজারে পর্যাপ্ত আমদানি হওয়ায় এ মরিচের দরপতনে চাষীদের মাথায় হাত পড়েছে।
১৫ দিন আগেও যেখানে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি। সেখানে আজ চলতি বাজারে প্রতি কেজি সর্বনিম্ম মরিচ বিক্রি হয়েছে মাত্র ৫ টাকা কেজি।
বুধবার (২জুন) সকাল ৯টায় মহাস্থান হাটের সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে কাঁচা মরিচে ভরপুর। কৃষকরা জানান, বর্তমান বাজারে তাদের উৎপাদন খরচই উঠছে না।
মৌসুমের শুরুতেই প্রতি মন মরিচ ১২শ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ২ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে।
জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। সবচেয়ে উপজেলার সোনাতলা ও সারিয়াকান্দিতে শতশত একর জমিতে আবাদকৃত মরিচের ক্ষেত বেশি রয়েছে। সদরের লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের কৃষক বজলু মিয়া জানান, এবার বৈরী আবহাওয়া ভাল। যে কারনে মরিচের বীজতলা কোন ক্ষতি হয়নি এবং মরিচও উৎপাদন ভাল হয়েছে। গত কয়েক বছর এই সময়ে মরিচের আবাদ লাভজনক হওয়ার কারণে চাষিরা এসময় মরিচের আবাদে ঝুঁকে পড়েছে।
গোটা মৌসুমে টানা বর্ষণ না হওয়ায় জমিতে মরিচের গাছে ফলনও হয়েছে অনেক বেশি। পর্যাপ্ত উৎপাদন হওয়ায় স্থানীয় চাহিদার যোগান দিয়েও রাজধানীসহ অন্যান্য জেলায় মরিচ রফতানির উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ায় চাষিদের লালিত স্বপ্ন চুরমার হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলার দাড়িদহ এলাকার জাহিদুর বলেন,
শুরুতেই সামান্য দাম পাওয়া গেলেও বর্তমানে মরিচ তোলার শ্রমিক খরচ, পরিবহন, কীটনাশক প্রয়োগের খরচই উঠছে না। চাষী ইমদাদুল বলেন, তাদের জমিতে গত সপ্তাহ থেকে মরিচ উত্তোলন করা শুরু হয়েছে মরিচ নিয়ে হাসিমুখে বাজারে এসে দেখি দরপতন। তিনি বলেন, সস্তার বাজারে কোন কাঁচা মালের ব্যবসা হয় না।
বাজারে অভিজ্ঞ সচেতন ব্যক্তিরা বলেন, আবাদ বেশি এবং পরিবেশ অনুকুলে থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার মরিচ আমদানি বেশি হওয়ায় বাজার দরপতন হয়েছে। সেই সাথে কৃষকদের চোখেমুখে নেমে এসেছে হতাশার ছাপ।