২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ১৩দিন পর রিক্সাচালকের সহায়তায় আসামী গ্রেফতার করেছে(জিএমপি)পুলিশ

admin
প্রকাশিত জুন ২, ২০২১
অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ১৩দিন পর রিক্সাচালকের সহায়তায় আসামী গ্রেফতার করেছে(জিএমপি)পুলিশ

Sharing is caring!

অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ১৩দিন পর রিক্সাচালকের সহায়তায় আসামী গ্রেফতার করেছে(জিএমপি)পুলিশ

রবিউল আলম স্টাফ রিপোর্টারঃ

গাজীপুরে মহাসড়ক থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ১৩দিন পর মঙ্গলবার ক্লুলেস এ ঘটনার রহস্য রিক্সাচালকের সহযোগিতায় উন্মোচন করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। এ ঘটনায় জড়িত একটি কাভার্ডভ্যনসহ চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার বল্লাচৌ গ্রামের মৃত মো. কামাল হোসেনের ছেলে কাভার্ডভ্যান চালক মো. রাশেদ মিয়া (২৩) এবং লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার হাঁপানিয়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে কাভার্ডভ্যানের হেলপার মো. জাবেদ হোসেন (২৬)।

জিএমপি’র গাছা থানার এসআই রাশেদুর রহমান জানান, গত ১৯ মে ভোররাত ৩টার দিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের গাছা থানাধীন বড়বাড়ি এলাকার পাকসিন ফ্যাক্টরীর সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। দুর্বৃত্তরা একটি কাভার্ডভ্যান থেকে লাশটি সেখানে ফেলে পালিয়ে বলে জানায় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় গাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ।

পুলিশ পরবর্তীতে নিহতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহের মাধ্যমে তার নাম গাজী ফারুক হোসেন বাবু (৫৫) বলে নিশ্চিত হয়। ঢাকার দক্ষিণখান থানার ফারদাবাদ এলাকার মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে ফারুক হোসেন বাবু মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনদিন পর ২১ মে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না পেরে তদন্ত কার্যক্রম অব্যহত রাখে পুলিশ। তদন্তকালে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক রিক্সা চালকের সন্ধান পায় পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য ও গাড়ির নম্বরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এলাকা হতে চালক রাশেদ ও হেলপার জাবেদকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের দেশ ট্রাভেল এজেন্সীর একটি কাভার্ডভ্যানসহ আটক করা হয়। আটককৃতদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে পথচারী গাজী ফারুক হোসেন বাবু গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন বলে তারা জানায় এবং আদালতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

তিনি জানান, ঘটনার রাতে কাভার্ডভ্যানটি নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে ওই ব্যক্তি হঠাৎ পেছনের চাকার নীচে চাপা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। পরে নিহতের লাশ গাড়ির নীচ থেকে বের করে সড়কের একপাশে রেখে গাড়ি নিয়ে চালক ও হেলপার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে। রিক্সা চালক মুন্না এ ঘটনা দেখতে পেয়ে কাভার্ডভ্যানটির নম্বর একটি চিরকুটে লিখে পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকানে রাখে যা পরবর্তীতে তদন্ত কর্মকর্তাকে দেয়। এরপ্রেক্ষিতে ঘটনার প্রায় ১৩দিন পর মহাসড়ক থেকে লাশ উদ্ধারের রহস্য উন্মোচন হয়েছে।