Sharing is caring!
সাংবাদিক নিয়োগের নামে চলছে প্রতারণা
স্টাফ রিপোর্টারঃ- ফেসবুক খুললেই প্রতিনিয়ত দেখা যায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। এরকম বিজ্ঞাপনের তালিকায়,জাতীয় পত্রিকা’র সাংবাদিক সম্পাদক গণ নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন
কখনো বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার নামে আইডি থেকে, আবার কখনো দৈনিক জাতীয় পত্রিকার সম্পাদক এর নাম ব্যবহার করে থাকেন সাংবাদিক নিয়োগের বিজ্ঞাপন বেশি দেখা যায়।
প্রশ্ন হলো আসলেই কি হচ্চে এসব ? সাংবাদিক নিয়োগ চলছে ? উওর না! চলছে প্রতারণার তেমনই একটা মিডিয়া জাতীয় দৈনিক আমাদের সময় ।
জানা যায়,এরকম ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।কেউ প্রতিনিধি হতে চেয়ে কল করলেই মিষ্টি কন্ঠে প্রথমেই ইনকামের পথ দেখায়।শিখিয়ে দেয় কিভাবে ইনকাম করতে হবে।তারপরে বলে প্রতিনিধিদের জন্য রয়েছে একটি আইডি কার্ড নিয়োগ পত্র, ক্যামেরা ,ফিতা,স্টিকার, টিশার্ট ইত্যাদি।
তার পর বলে কার্ড ও নিয়োগ পত্র বাবদ ৭০০ টাকা পাঠান আপনাকে আগামীকাল কালই কার্ড দেওয়া হবে । এখনই টাকা পাঠান তারাতাড়ি অফিসে জমা দিতে তাদের মিষ্টি মুখের কথায় কলেজ পড়ুয়া ছাত্র বা বেকার যুবক অনেক কষ্ট করে ১০০০ টাকা বিকাশ করে অফিসে টাকা পাওয়ার পর শুরু করে আরেক পায়তারা ।
(দর্শকদের সুবিধার জন্য ভুক্তভোগী ও নিয়োগ দাতার মেসেঞ্জারে কিছু কথা বার্তা দেওয়া হলো)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী জানান
আমি জাতীয় দৈনিক আমাদের সময় মেসেঞ্জারে নক করি একদিন পর জবাব আসে আপনি সিভি পাঠান । সিভি পাঠাইলাম এরপরের ঘটনাটি
কতৃপক্ষঃ — কার্ড এবং নিয়োগ পত্র বাবদ ৭০০ টাকা জমা দিতে হবে । আর ক্যামেরা নিলে ক্যামেরা জন্য ১০০০ টাকা জমা দিতে হবে মোট ১৭০০ টাকা আর যদি ক্যামেরা না নেন তাহলে শুধু কার্ড নিয়োগ পত্র বাবদ ৭০০ টাকা জমা দিলেই হবে
আগ্রহী হলে এখনই সিভি আর টাকা জমা দিন কারণ আজকেই সকল সিভি কার্ড নিয়োগ পত্র তৈরী করতে দবো আজকের পর নেওয়া হবে না
কতৃপক্ষ ~ আপনি টাকা কখন দিবেন
ভুক্তভোগী ~ আমি আজই টাকা দিতে পারবো
কতৃপক্ষ ~ আপনি মোট ১০০০ টাকা দিন এখনই কারণ এখন সকল সিভি কার্ড নিয়োগ পত্র তৈরী করতে দেবো
মোবাইল নম্বর 01305600807 একটা কল দিবেন
ভুক্তভোগী ~ নিয়োগ পত্র কার্ড বাবূ বলেন ৭০০ টাকা এখন বলেন এক হাজার টাকা বুলাম না
কতৃপক্ষ ~ মোট এক হাজার টাকা দিলে ক্যামেরা সহ দিবো আপনাকে
কতৃপক্ষ ~ মতামত বলেন, কতক্ষণ সময় হবে
ভুক্তভোগী ~ বিকাশ নান্বার দেন ০১৯১৬৯৯৭৬ বিকাশ পারসোনাল
ভুক্তভোগী ~ আমি আমার ব্যাক্তি কাজে বাহিরে আছি
কতৃপক্ষ ~ আপনি টাকা কখন দিবেন ?
ভুক্তভোগী ~ স্যার একটু অপেক্ষা করুন । তার লোড নাকি শেষ লোড আসলে একটা দিবে ।
কতৃপক্ষ ~ আপনি আমার নান্বার ভুল দিয়েছেন কেন ? ০১৯১৬৯৯৩৬৭৬ এটা তো বিকাশ নান্বার , নান্বার এটা দিন তাকে । আপনি কি বুঝতে পারছেন , নান্বার কি সঠিক করে দিছেন
ভুক্তভোগী ~ দিতেছি ভাই ।
কতৃপক্ষ ~ ওকে আরে জনাব সময় তো আছে
ভুক্তভোগী ~ আপনি আপনার কাজ করতে পারেন টাকা আপনি অবশ্যই পেয়ে যাবেন যদি সদিচ্ছা ইচ্ছা থাকে
কতৃপক্ষ ~ আমি রোজা রেখে মিথ্যা বলবো না
ভুক্তভোগী ~ ঠিক আছে
কতৃপক্ষ ~ আপনি তাকে একটু জানুন কয়টায় দিবে টাকা
ভুক্তভোগী ~ একটু অপেক্ষা করুন এতো পাগল হচ্ছেন কেনও
কতৃপক্ষ ~ বিকাশ ওলাকে একটু জানান কতক্ষণ সময় হবে?
ভুক্তভোগী ~ বিকাশ করবে যে তার কাছে আপনার নান্বার দেওয়া হয়ে গেছে তবে কতক্ষণ সময় লাগবে বলতে পারছি না তবে পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ
কতৃপক্ষ ~ আপনি কল দিয়ে জানান তার কাছ থেকে , কারণএখন জমা দিতে হবে কাগজ পত্র, বলেন
ভুক্তভোগী ~ ভাই রমজান মাস নান্বার দেওয়া মাত্র যদি চাপা চাপি শুরু করি বিকাশ ওলার মনে কষ্ট আসতে পারে আপনি একটু অপেক্ষা করুন
কতৃপক্ষ আরে জনাব সময় তো নাই । জি টাকা পেয়েছি, বিকেলে কথা হবে । অপেক্ষা বিকেলের
আপনি আরও ৭০০ টাকা জমা দিন কারণ মোট ১৭০০ টাকা
ভুক্তভোগী ~ আপনি বললেন ১০০০ টাকা জমা করলে ক্যামেরা সহ দিবেন আমার ক্যামেরা লাগবে না
কতৃপক্ষ ~ সরি আপনার আরও ৭০০ টাকা জমা দিতে হবে আপনি কি শুরু করেছেন বুঝতে পারছি না আমার টাকা ফেরত দেন আমি কাজ করবো না
কতৃপক্ষ ~ টাকা ফেরত দেওয়া যাবে না?
ভুক্তভোগী ~কেনও দিবেন না ?
এ বিষয়ে একাধিক ভুক্তভোগী কাছে জানান যায় বিভিন্ন অনলাইন,প্রিন্ট পত্রিকার সুনামধন্য সম্পাদক প্রকাশক গণ এমন কাজে জারিত থাকার কথা বলেন অনেকই তাদের মিষ্টি মুখের কথায় রাজি হয়ে টাকা দিয়েছি। ভাবছিলাম সাংবাদিকতার মতো একটি মহৎ পেশায় থেকে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো এবং টাকার সমস্যাটাও সমাধান হবে।কেউ বলে করোনাকালীন সময়ে কষ্ট করে টাকা দিয়েছি,যাতে বেকার থাকতে না হয়।তবে তখন বুঝতে পারিনি সে এতবড় প্রতারক তারা আমরা এর বিচার চাই। প্রশাসনের মাধ্যমে এই প্রতারকদের শাস্তি চাই।
কয়েক জন সসম্পাদক ও প্রকাশকের মোবাইলে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা অস্বীকার করে বলেন এগুলো তারা জানেন না বলে কল কেটে দেয়। তাদের নিয়োগ নাকি বন্ধ এবং তার পত্রিকাটি অনলাইন এবং ম্যাগাজিন বের করেন, প্রতিমাসে নাকি একবার প্রিন্ট করেন এবং কার্ড,ফিতা, স্টিকার,টিশার্ট ইত্যাদি সহ সবকিছু ফ্রী দেন।
প্রশাসনের মাধ্যমে এই প্রতারকদের শাস্তি চাই ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদক ও বিএমএসএফ সভাপতি ও সম্পাদক মহোদয় এর নিকট সবিনয় অনুরোধ করছি আর কোন সাংবাদিক কর্মীকে প্রতারণা চক্রে লান্সজিত না হতে পারে সেই দিকে নজর দিবেন বলে আশাবাদী।