Sharing is caring!
কায়েদ কেবলা কালজয়ী
📚 সুরাইয়া শিরিন 📚
আজও মনে পড়লে সেই
তোমার মধুমাখা বয়ানের কথা!
আজও মনে পড়লে সেই;
এপ্রিলের আটাশ তারিখের কথা;
চোখে অজরে অশ্রু ঝরে।
মনে হয় বুকের ভেতর,
হয়ে গেছে রিক্ত মরুভূমি।
কেন!আমাদের ছেড়ে চলে গেলে
তুমি আমাদের আলোর দিশারী।
তোমায় হারিয়ে ধরা যেন ;
হয়ে গেল নিঃস্ব বিরানভূমি!
আজ তোমার অভাব প্রতি;
পদক্ষেপে অনুভব করি।
প্রিয় কায়েদ! তুমি নেই, বলো;
কার কাছে নির্দ্বিধায়,
হিন্দু-মুসলিম সমহারে বলবে;
বেদানার কথাগুলি।
প্রিয় কায়েদ! আজ আর কেউ
পদেপদে শুনায় না;
‘আলইত্তিহাদ মায়াল ইখতিলাফ’
এমন দামী ঐক্যের বাণী।
প্রিয় কায়েদ!তোমাকে হারিয়ে;
মুসলিম জাহান-ই শোকে ভাসেনি
তোমায় দেবতাতুল্য ভেবে হিন্দুরা
তোমার মঙ্গল কামনায় মন্দিরে
জ্বালিয়ে ছিল প্রদীপগুলী।
যা গোটা দুনিয়ায় করেছে;
এক অভাবনীয় নজির সৃষ্টি।
তোমার ছোঁয়ায় হয়েছে;
অসংখ্য জ্ঞানী-গুনী।
প্রখ্যাত দেলওয়ার সাইদী,
ঢাবি’র সাবেক চেয়ারম্যান; বিভাগে আরবী।
ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি।কবি রুহুল আমীন খান, এমন হাজারো বরণীয় ব্যক্তি।
তুমি আমাদের দ্বীনের গুরু!
তোমাকে হারিয়ে আজ আমরা;
গুরু দশায় পড়ে আছি।
চারিদিকে আলেমসমাজ,
লাঞ্চিত-বঞ্চিত হচ্ছে!
করুণ চোখে তাকিয়ে দেখি।
তোমার বুকে,মুখে, চলনে
মিশে ছিলো ইসলামি জিন্দেগী।
তুমি ছিলে যুগের শ্রেষ্ঠ ক্ষণজন্মা;
লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী ও গুণী
আজও তোমায় সকাল-সন্ধ্যা
আযকারে খামছায় খুঁজি।
তোমার দশটি কথা সদা;
মনে প্রাণে লালিত করি।
“এমন জীবন তুমি করিবে গঠন
মরিলে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবন”
তোমার জন্যেই সুযোগ্য;
এ চরণ গুলি।
তুমি কায়েদ কেবলা কালজয়ী।
তুমি মুজাদ্দিদে মিল্লাত,
হাদিয়ে জামান,ইনসানে কামিল,
আযীযুর রহমান নেছারাবাদী।