Sharing is caring!
রংপুরের রাস্তা যেন কৃষাণ-কৃষাণীর বাড়ির “উঠান”
মো: আ: রহমান শিপন,রংপুর বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান
রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জেলা উপজেলার বিভিন্ন কাঁচা-পাকা সড়কে চলছে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজ। এর ফলে একদিকে রাস্তা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক দূঃর্ঘটনার আশঙ্কা। জমি থেকে ধান কেটে এনে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে সড়কের সুপাশে।
এরপর সড়কের একটা অংশ দখলে করে ধান মাড়াই মেশিন বসিয়ে দিব্বি চলছে মাড়াইয়ের কাজ। মাড়াই শেষে উক্ত খড় সড়কের উপরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়ে রোদে শুকানো হচ্ছে।
আগে যেখানে ধান কেটে, মাড়াই শেষে ধান ও খড় শুকানো হত কৃষাণ-কৃষাণীর বাড়ির উঠোনে অথবা আংগিনায়। আর বর্তমানে এসব কাজ করা হচ্ছে এখন ব্যস্ততম সড়কের উপরে। ফলে এতে সড়ক সংকুচিত হয়ে বাড়ছে প্রায় সময় দূর্ঘটনা।
ঝুঁকি নিয়ে সড়কপথে প্রতিনিয়ত চলছে বাস, ট্রাক, সিএনজি, মোটরবাইক, রিক্সা-ভ্যান মালবাহী গাড়ী সহ অন্যান্য যানবাহন ।
এসব গাড়ী চালকেরা সর্বক্ষণ দুঃর্ঘটনার আতঙ্কের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে। রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কয়েকজন পথচারী বলেন, কৃষাণ – কৃষাণীরা আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে সড়ক বন্ধ করে সড়কের উপর ধান, ভুট্টা মাড়াইসহ খড় শুকাচ্ছে। অপরদিকে সিএনজি চালক মো: মঞ্জু মিয়া বলেন, খড় শুকানোর জন্য একদিন আগে থেকেই সড়কের দু-ধারে বড় বড় করে খড়ের পালা দিয়ে সড়ক দখল করে রাখা হয়। এতে সড়কের প্রশস্ততা কমে সরু হয়ে যাওয়ায় পাশাপাশি দুটি গাড়ি চলাচলের সময় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ (সুন্দরগঞ্জ), বলেন সড়ক দখল করে ধান ও খড় শুকানোর বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।