Sharing is caring!
”রসালো তরমুজের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া”
মো: আ: রহমান শিপন, রংপুর বিভাগীয় ব্যুরোঃ-
পবিত্র মাহে রমজানের ১২ দিন পার করতে যাচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। রমজান এলেই বাঙালী প্রতিটি পরিবারেই ইফতারে থাকে হরেক রকমের মৌসুমী ফলের সমাহার এবারের রমজানে মৌসুমী ফলের মধ্যে অন্যতম ফল হচ্ছে রসালো ”তরমুজ”।
তরমুজের দাম অসহায় মানুষের নাগালের বাহিরে হওয়ার কারনে অনেক রোজাদার আজও তরমুজের স্বাদ কি তা নিতে পারেননি। পূর্বের বছর গুলোতে সর্বত্রই তরমুজের ছড়াছড়ি এবং প্রতি তরমুজের পিচ ৫ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
চলতি মৌসুমে বাজারে তরমুজের পরিমান যথেষ্ঠ যোগান দেখা গেলেও এ বছর তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে তথ্য নিয়ে এবং কিছু গুরুত্বপূর্ন মোড়ে মোড়ে ঘুরে দেখা গেছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে।
অনেক ক্রেতা- বিক্রেতা দাম নিয়ে রীতিমত বিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন। দিনমজুর মো: আনছার আলী, ও মো: রুহুল আমিন বলেন, আমি কর্মকরে দিন শেষে ৪০০ শত টাকা পাই।
এই রোজগারের টাকায় চাল ডাল, মাছ, শাক সবজি কিনলে আর সখ করে মাছ খাব তাই টাকা থাকেনা। তাই রসালো তরমুজ দেখে খারার ইচ্ছে থাকলেও গায়ে একটু হাত বুলিয়ে দেয়া ছাড়া আমার আর কিছু করার থাকে না।
প্রায় সময় আমি অসহায় বাবার কাছে, ছেলে মেয়েরা তরমুজ খাবার বায়না করে কিন্তু ওজনে ১টি তরমুজ ৪ থেকে প্রায় ৭কেজি ওজন হয়। দাম প্রায় ২০০ হতে ৪২০ টাকা।
সারা দিন আয় করছি ৪শ টাকা, আমারপক্ষে তরমুজ কেনা কি সম্ভব ? হাট- বাজারে আসা রোজাদার সহ নানান শ্রেনী পেশার মানুষের প্রশ্ন যে তরমুজ গত বছরও মানুষ ১০ থেকে ১৫ টাকায় কিনেছে, সেই তরমুজ এ বছর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা ।
ভোক্তাদের প্রশ্ন এই টাকা কি প্রকৃত পক্ষে ওই চাষি পাচ্ছেন, যে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে “তরমুজ” উৎপাদন করেছে। তাদের পকেটে যাচ্ছে নাকি অন্য কারও পকেটে। নাকি ওজনে তরমুজ বিক্রি করে সিন্ডিকেট লুফে নিচ্ছে কাড়ি কাড়ি টাকা।
হয়তো বা পিচে কিনে ওজনে বিক্রি করা হচ্ছে ফলে ইচ্ছা থাকলেও ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে দাম হওয়ায় হতাশ মনে ফিরছে অনেকে। তাই ওজনে নয় বরাবরের মতো পিচে তরমুজ বিক্রির দাবী সাধারণ ভোক্তাদের। তাই বাজার মনিটরিং করলে দামের ঊর্ধ্বগতির কাহিনী উন্মোচন হবে বলে তারা মনে করছেন।