Sharing is caring!
আব্দুল করিম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ঃ-
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রায় ১৭ বছর পর আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে বাড়ানো হবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দরটির রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের শক্তি। এ আধুনিকায়নের কাজে ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এর আগে আ.লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে ১৯৯৮-২০০১ মেয়াদে বিমানবন্দরটির মানোন্নয়ন করা হয়েছিল।
এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব বুধবার (৩১ জুলাই) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে বেসমারিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। কমিটি ক্রয় প্রস্তাবটি অনুমোদন দিলে মেসার্স মীর আখতার-সিএএমসিই জয়েন ভেঞ্চার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
সূত্র জানায়, বর্তমানে এ বিমানবন্দরে বোয়িং-৭৭৭ জাতীয় সুপরিসর বিমান চলাচল করছে। এদিকে, রানওয়ের বিটুমিনাস কংক্রিটের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল অনেক আগেই শেষ হয়েছে ও পিসিএন কমেছে অনেকাংশে। কিন্তু ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার গুণ বেড়েছে বিমানবন্দরে যাত্রী, কার্গো ও বিমান চলাচলের সংখ্যা। বিআরটিসি বুয়েটের সমীক্ষা অনুযায়ী, রানওয়ের বর্তমান পিসিএন ৪৬ কিন্তু বোয়িং ৭৭৭ জাতীয় বিমান চলাচলের পিসিএন দরকার ৯০।
এ অবস্থায়, বোয়িং-৭৭৭ জাতীয় সুপরিসর বিমানের নিরাপদ অবতরণ ও উড্ডয়নের জন্য চট্রগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ে শক্তিশালী করতে জিওবি অর্থায়নে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ৫৪০ কোটি ৫২ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ‘শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের ডিপিপি সরকার কর্তৃক ২০১৮ সালের ৫ মার্চ অনুমোদিত হয় বলে জানা গেছে।