১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বিজ্ঞাপন জগতে জনপ্রিয় সৈয়দপুরের শিশুশিল্পী মারিয়া

অভিযোগ
প্রকাশিত এপ্রিল ৮, ২০২১
বিজ্ঞাপন জগতে জনপ্রিয় সৈয়দপুরের শিশুশিল্পী মারিয়া

বিজ্ঞাপন জগতে জনপ্রিয় সৈয়দপুরের শিশুশিল্পী মারিয়া।

মোঃ আমির হোসেন,স্টাফ রিপোর্টারঃ-

বাবা-মায়ের আদরের সন্তান মারিয়া।এবার দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে। এরইমধ্যে নিজের অভিনয়শৈলী দিয়ে সকলের মন জয় করেছে। কাজ করেছে দেশের নামকরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনচিত্রে। অল্পদিনের পথচলায় শিশুশিল্পী হিসেবে নিজের জাত চেনানো মারিয়ার বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপন ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। যা দর্শক হৃদয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

ফ্রুট ফান বিস্কুটের দর্শকপ্রিয়তা পাওয়া একটি বিজ্ঞাপন চিত্রে মারিয়াকে টোকাই হিসেবে অভিনয় করতে দেখা যায়। এই বিজ্ঞাপনে মারিয়ার ভাই হিসেবে অভিনয় করতে দেখা যায় আরেক শিশুশিল্পী সানজিদকে। বিজ্ঞাপনে মারিয়ার ‘ভাই ক্ষিধা লাগছে, খামুনা’ ডায়লগটি দর্শক হৃদয় নাড়া দিয়েছে। মূলত ফ্রুট ফান বিস্কুটের এই বিজ্ঞাপন প্রচারের পর পরই মারিয়া বিজ্ঞাপন নির্মাতাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে।

শিশুশিল্পী হিসেবে বিজ্ঞাপন জগতে দক্ষতার পরিচয় দেওয়া মারিয়া রিদা নিজামের বাড়ি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানার হাওয়ালদার পাড়ায়। বাবা ইমরান নিজাম পেশায় একজন ব্যবসায়ী। মা সামা ইমরান একজন নারী উদ্দ্যোক্তা। দুই ভাইবোনের মধ্যে মারিয়া বড়। বাবা-মায়ের আগ্রহের কারনেই মারিয়ার শিশুশিল্পী হিসেবে বিজ্ঞাপন জগতে পদার্পন।

অভিনয়ের জন্য মারিয়াকে প্রায়শই ঢাকা যেতে হয়। এসময় বাবা-ই তার একমাত্র সঙ্গী। মারিয়া এখন পর্যন্ত ১০ টির মতো বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছে। এরমধ্যে পাঁচটি বিজ্ঞাপনই মুক্তির অপেক্ষায়। শিশুশিল্পী মারিয়া গ্রামীনফোন, ফ্রুট ফান বিস্কুট, ক্লিক ইলেকট্রনিক, ভিষণ ইলেকট্রনিক, হরলিক্স ও কে ওয়াই স্টীল সহ বিভিন্ন নামি-দামি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছে। শুটিং করেছে ঢাকা, মানিকগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও কক্সবাজারের বিভিন্ন লোকেশনে।

সম্প্রতি জনপ্রিয় অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী তাহসান খানের সাথে গ্রামীণফোনের একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছে মারিয়া। গ্রামীণফোনের নতুন এই বিজ্ঞাপনটির চিত্রায়ণ করা হয়েছে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে। মারিয়ার নতুন এই বিজ্ঞাপনটি নামকরা টেলিভিশনের পর্দায় এখন সর্বদায় দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন নির্মাতা রেহান জুয়েলের হাত ধরে শিশুশিল্পী হিসেবে নিজের ভিত মজবুত করা মারিয়া এখনই থেমে থাকতে চায়না। পারি দিতে চায় লম্বা পথ। তাইতো বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি শিশুশিল্পী হিসেবে নাটক ও ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করার প্রবল ইচ্ছে তার। এজন্য অভিনয়ে নিজেকে আরো দক্ষ প্রমাণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সে। মারিয়া শুধু অভিনয়ে নয়, বরং আবৃত্তি, গান ও নৃত্যতেও বেশ পারদর্শী। স্কুলের বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকে মারিয়ার একক আধিপত্য।

সৈয়দপুরের সেন্ট জেরোজা স্কুলের ছাত্রী মারিয়া পড়াশোনাতেও অত্যন্ত মেধাবী। ক্লাসে বরাবরই তার রোল সবার উপরে। মারিয়ার স্বপ্ন সে বড় হয়ে একজন ডাক্তার হবে। মানবসেবায় নিয়োজিত থাকবে। এ লক্ষ্যেই মারিয়া হাটতে চায়। পাশাপাশি অভিনয়েও মনোযোগ দিতে চায়। শিশুশিল্পী মারিয়া জানায়, ‘অভিনয় করতে আমার খুব ভালো লাগে। অভিনয়ের মাধ্যমেই আমি সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছি। সবাই আমাকে খুব স্নেহ করে।’

মারিয়ার বাবা ইমরান নেজাম জানান, ‘আমার মেয়ে যখন কেজি শ্রেণীতে পড়তো তখনই প্রথম বিজ্ঞাপনের জন্য অফার আসে। মূলত ফেসবুকে মারিয়ার ছবি দেখে একজন পরিচালক খুব পছন্দ করেন। তিনি তার একটি বিজ্ঞাপনে মারিয়াকে কাজ করান৷ এভাবেই বিজ্ঞাপনের সাথে মারিয়ার সম্পৃক্ততা।’

মারিয়ার ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, ‘মেয়ের সাথে আমি সবসময় থাকি। শুটিং সেটে নিয়ে যাওয়া আসা সবটাই নিজে করি। অল্পদিনে বিজ্ঞাপন জগতে মারিয়ার ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়ে গেছে।অভিভাবক হিসেবে আমাদের জন্য মারিয়া সত্যিই একটা গর্বের ব্যাপার।

Please Share This Post in Your Social Media
March 2024
T W T F S S M
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031