২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

রুহিয়ায় একদল সন্ত্রাসী এক অসহায় পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করার পায়তারা

অভিযোগ
প্রকাশিত এপ্রিল ৫, ২০২১
রুহিয়ায় একদল সন্ত্রাসী এক অসহায় পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করার পায়তারা

রুহিয়ায় একদল সন্ত্রাসী এক অসহায় পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করার পায়তারা

হুসাইন মোঃ আরমান,রুহিয়া থানা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া এলাকার ঘনিমহেশপুর গ্রামে একদল সন্ত্রাসী শফিকুল ইসলাম নামে এক অসহায় ব্যক্তির কতক জমি দখলের পায়তারা করছে।তারা অসহায় পরিবারটির জমি জোরপূর্বক দখল করতে না পেরে সেটিকে এবার গোরস্থান বলে দাবি তুলেছে ।

এতে শফিকুল ইসলাম আদালতের আশ্রয় নেওয়ায় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।

স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে,ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঘনিমহেশপুর গ্রামের প্রয়াত হরসিংহ দাস নামে এক ব্যক্তি এসএ ১১৭/১ খতিয়ানভুক্ত ১৬৮ সহ ৩ দাগের জমির মালিক ছিলেন।তিনি ১৯৬০ সালে জনৈক খন্দকার শামসুল ইসলামের কাছে ৯৯ শতক জমি বিক্রি করেন।পরবর্তীতে ক্রেতা শামসুল ইসলাম ওই জমি ১৯৬২ সালে সিরাজ উদ্দীন ও ওমর ফারুক নামে ২ ব্যক্তির নিকট বিক্রি করেন।

সেই থেকে সিরাজউদ্দীন ভ্রাতাগন দীর্ঘদিন যাবত ওই জমি চাষাবাদ করে ভোগদখলীকার রয়েছেন।সিরাজউদ্দীনের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশগন বাড়িঘর নির্মান করে এবং অবশিষ্ট অংশ চাষাবাদ করে আসছেন।

এদিকে রাস্তার পাশের ওই জমির উপর চোখ পড়ে স্থানীয় প্রভাবশালি বিরবল দাসের ছেলে ওয়েল দাসের।সে জোরপূবর্ক ওই জমি দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে সেটি খ্রিষ্টানদের গোরস্থান দাবি করে দখলের পায়তারা করে আসছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু ,থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বাবু ,সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুর ইসলাম বিপ্লব সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে শালিসে বসলে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজন দাবির সপক্ষে কোন কাগজপত্র দাখিল করতে পারেন নি।

এ ব্যাপারে রুহিয়া ইউনিনের চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু জানান,ওয়েল দাস নামে এক ব্যক্তি শফিকুল ইসলামের কবলা খরিদা জমিটি তাদের গোরস্থান বলে দাবি করলেও কাগজপত্র দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে সেটা খাস খতিয়ানভুক্ত জমি নয়।এমনকি সেটি কোন গোষ্ঠির জন্য ব্যবহার্য্য মর্মেও রেকর্ডে উল্লেখ নাই।রেকডীয় মালিক হরসিংহ তার জীবদ্দশায় সবটুকু জমি কবলামূলে বিক্রি করে গেছেন।

থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বাবু বলেন,দাবিদাররা হরসিংহের ওয়ারিশ। হরসিংহ তার জীবদ্দশায় সমস্ত সম্পক্তি বিক্রি করে মারা যাওয়ার পর তার জমি খুঁজে বেড়ানো বোকামী ছাড়া কিছুই নয়।

বদরুল ইসলাম বিপ্লব নামে আওয়ামীগের অপর এক নেতা জানান,কতিপয় খ্রিষ্টান শফিকুলের জমি গোরস্থান বলে দাবি করলেও ওই জমিতে কোনদিন কাউকে কবর দেওয়া হয়নি।এমনকি শালিসে কেউ প্রমাণ করতে পারেনি তাদের কারো বাবা মাকে কবর দেওয়া হয়েছে।

শালিসে তাদের দাবি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় ওয়েল দাস গং রুহিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে।রুহিয়া থানা কর্তৃপক্ষ উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করলে দাবিদার পক্ষ বৈঠকে হাজির হয়নি বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

এহেন অবস্থায় শফিকুল ইসলাম শান্তিভঙ্গের আশংকায় ফৌ.কা.বি. আইনের ১৪৪/১৪৫ ধারায় ওয়েল দাস সহ কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।পুলিশ আসামী পক্ষকে সতর্কীকরণ নোটিশ প্রদান করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং শফিকুল ইসলাম ও তার ওয়ারিশদের দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে।এতে শফিকুল ও তার পরিবারের লোকজন চরম আতংকে রয়েছে।

এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলাম বলেন,আমি খ্রিষ্টানপাড়া এলাকায় একমাত্র মুসলমান হওযায় কতিপয় খ্রিষ্টান ব্যক্তির চক্ষুশূল হয়ে পড়েছি।আমি সংখ্যালঘু হওয়ায় যে কোন মুহুর্তে হামলার আতংকে রয়েছি।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30