Sharing is caring!
কানাইঘাটের প্রবাসী বন্ধুর স্ত্রীকে নিয়ে বিপাকে পড়লেন মসজিদের সাবেক ইমাম জমশেদ আহমদ।
ফয়সল কাদির :: সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার ৬নং কানাইঘাট সদর ইউপি’র ৭নং ওয়ার্ডের উমাগড় গ্রামের মোঃ জমশেদ আহমদ পিতা, আনছার আলী কে নিয়ে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে জনসম্মুখে।
এলাকা বাসীর সূত্রে জানা যায় যে কানাইঘাট উপজেলার ৭নং দক্ষিণ বানী গ্রাম ইউনিয়নের গড়াই গ্রামের আব্দুল মুছব্বিরে ছেলে মাহবুবুল আলম মাসুম, তিনি ইটালিতে প্রবাসে আছেন, দেশের বাড়িতে তাহার স্ত্রী ও ১টি ছেলে সন্তান রয়েছেন। কিন্তু মাহবুবুল আলম মাসুম তাহার মা-বাবা ও আত্মীয় স্বজনের অবাধ্যতায় ওই গ্রামের সামছু উদ্দিনের মেয়ে সুমি বেগম কে বিয়ে করেছিলেন। অনেক কিছুর পর মাহবুবুল আলম মাসুম তাহার স্ত্রী সন্তান কে গ্রামের নিজ বাড়িতে উঠান পরে তিনি প্রবাসে চলে যান কিছু দিন পরে তাদের পারিবারিক কিছু মনমালিন্য সৃষ্টির হওয়ার কারনে তাহার এক বন্ধু ৬নং কানাইঘাট সদর উপজেলার উমাগড় গ্রামের মোঃ জামশেদ আহমদ কে ফোনের মাধ্যমে তাহার স্ত্রী সন্তান কে সমঝাইয়া দেন। এটা মাহবুবুল আলম মাসুমের বক্তব্যে আমরা পেয়েছি।
এদিকে মাহবুবুল আলম মাসুমে আপন চাচা বর্তমান মেম্বার লাল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি এই বিষয় টি কয়েক দিন থেকে শুনতে পাচ্ছি কিছু লোক মারফতে এবং ভাতিজা মাসুমের সাথে যোগাযোগও করেছি।
কিন্তু আমিও বুঝতে পারছি না যে জমশেদ আহমদ নামের যে লোক তিনি কিছু দিন পূর্বে আমাদের এলাকার মসজিদের একজন সাবেক ইমাম ছিলেন আর ওই ইমাম সাহেবের মহিলা ভিত্তিক কয়েকটি খারাপ বদনাম শুনার পর আমাদের মহল্লার মুরব্বিরা সবাই মিলে ওই ইমাম জমশেদ আহমদ কে বিদায় করে দেয়িছি। আর আমার ভাতিজা তার স্ত্রী সন্তান কেনো ওই রকম একটা বদনামি লোকের কাছে সমঝাইয়া দিল আমরা তাহার এতো বেশি আত্মীয় স্বজন থাকতে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না তবে বিষয় টা আমি দেখতেছি।
এদিকে কানাইঘাট থানার অফিস ইনচার্জ মোঃ তাজুল ইসলাম সাহেব জানান উক্ত বিষয় টি নিয়ে ওই এলাকার ৬নং ইউপি’র চেয়ারম্যান, মেম্বার ও কয়েকজন মুরব্বিয়ান সহ আমাকে অবগতি করেছেন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন অত্র এলাকা বাসীর পক্ষ থেকে এবং ওই বিতর্কিত জমশেদ আহমদ ও প্রবাসে থাকা মাহবুবুল আলম মাসুমের স্ত্রী সহ আমার থানায় এসেছিলেন এবং বললেন তারা নাকি ভাই-বোন সম্পর্কে জড়িত রয়েছেন তখন প্রবাসী মাসুমও আমার সাথে ফোন আলাপে বলেন যে আমার কিছু পারিবারিক সমস্যার কারণে আমার বন্ধু জমশেদ আহমদের জিম্মায় রেখেছি এতে কারও কি সমস্যা আমি বুঝতে পারছি না। মাসুম ও জমশেদের সাথে অনেক কথা বলা বলির পরে জমশেদকে বলি যে আপনার বন্ধুর স্ত্রী সন্তান কে তাহার আত্মীয় স্বজনের কাছে সমঝাইয়া দিয়ে দিবেন।
কিন্তু এ বিষয়ে জমশেদ আহমদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার এলাকার কিছু লোক পূর্ব শত্রুতার কারণে আমার সম্মান হানী করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সুমি বেগম কে বোনের মতো দেখি ও সে আমার বন্ধুর স্ত্রী।
সর্বশেষ এলাকা বাসীর বক্তব্য যে আমারা দেখতে পাচ্ছি প্রায় ২/৩ মাস থেকে অভিযোক্ত জমশেদ আহমদ আমাদের এলাকায় ওই মহিলাকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো চলাফেরা করতেছেন আমরা এ বিষয়ে জমশেদ ও তাহার আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে জানতে চাইলে আমাদের কে উল্টো পাল্টা বুঝিয়ে মামলা হামলার ভয় দেখান।
তাই আমরা উক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এদিকে আরো জানা যায় উক্ত বিষয় কে কেন্দ্র করে জমশেদ আহমদের স্ত্রী ও ২ সন্তান দীর্ঘ প্রায় ১বছর থেকে তাহার বাবার বাড়িতে আটকা পড়ে সম্পর্ক বিছিন্ন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাহার স্ত্রী আত্মীয় স্বজনরা।
শেষ পর্যন্ত জানা যায় উক্ত বিষয় টি কেন্দ্র করে উমাগড় এলাকা বাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।