২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নড়াইলে শিক্ষার্থীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা

admin
প্রকাশিত মার্চ ২৩, ২০২১
নড়াইলে শিক্ষার্থীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা

Sharing is caring!

নড়াইলে শিক্ষার্থীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা

 

মোঃ শাহীনুজ্জামান নড়াইল থেকে:
নড়াইলের লোহাগড়া পৌর এলাকার গোপিনাথপুর এলাকায় গৃহশিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক আশরাফুজ্জামান রানাকে (৩০) গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
সোমবার (২২ মার্চ) বিকালে অভিযুক্ত আশরাফুজ্জামান রানা নড়াইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

এজাহার ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের গোপীনাথপুর এলাকার মৃত মনিরুজ্জামান শেখের ছেলে গৃহশিক্ষক আশরাফুজ্জামান রানা ২০১৯ সালে একই এলাকার একজন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ানোর ছলে ও বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন। এদিকে, পারিবারিক সম্মতিতে পাশ্ববর্তী ধোপাদাহ গ্রামের আছাদ মোল্যার ছেলে সেনা সদস্য রাকিবুল হাসান মনির সাথে ওই শিক্ষার্থীর গত রোববার (২১ মার্চ) বিয়ের দিন ধায্য করা হয়।

বিয়ের আগের দিন গত শনিবার (২০ মার্চ) গভীর রাতে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক আশরাফুজ্জামান রানা পাত্রপক্ষ সেনা সদস্য রাকিবুল হাসান মনির বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ধর্ষণের ধারণকৃত ভিডিও প্রদর্শন করলে ওই সেনা সদস্য কৌশলে আশরাফুজ্জামান রানা কে আটকিয়ে রেখে লোহাগড়া থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে রাতেই লোহাগড়া থানা পুলিশ আশরাফুজ্জামান রানাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে সোমবার সকালে অভিযুক্ত রানাকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

লোহাগড়া থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, সোমবার বিকালে অভিযুক্ত আশরাফুজ্জামান রানা নড়াইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা নড়াইল সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। একই আদালতে ভিকটিম ২২ ধারায় জাবানবন্দী প্রদান করেছেন বলে তিনি জানান।