Sharing is caring!
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে বেপরোয়া চোরাকারবারি শহিদ-রুবেল বাহিনী
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতীয় চোরাচালান কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। লেপটিন শহিদ ও মির্জা রুবেলের নেতৃত্বে চোরাকারবারীরা বেপরোয়া ভাবে ভারতীয় চোরাচালান দেশে নিয়ে আসছে। অনেক ক্ষেত্রে লেপটিন শহিদ ও মির্জা রুবেল চোরাকারবারীদের কাছ থেকেও নিয়মের অতিরিক্ত টাকা আদায় করার চেষ্টা করেন। ফলে চোরাকারবারীরা শহিদ রুবেল বাহিনীর সাথে একের পর এক সংঘর্ষ করে যাচ্ছে।
তবে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না বিজিবির নামে তাদের চাঁদাবাজি। লেপটিন শহিদ ও মির্জা রুবেলের এমন চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট চোরাকারবারীরা। স্থানীয় প্রশাসন বিরুদ্ধে কোন ধরণের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লেপটিন শহিদ ও মির্জা রুবেলকে গ্রেফতারের বদলে স্থানীয় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা বুঙ্গাড়ীদের চুক্তি মাধ্যমে কিছু সংখ্যাক গরু-মহিষ এবং হাতে গুনা কয়েক বস্তা মটরশুটি আটক করে জনসাধারনের আইওয়াশ করছে বলে জানান।
তাও নাম মাত্র এক দুটি চালান আটক করেন।
কিন্তু স্থায়ী ভাবে বন্ধ ও বড় ধরণের কোন অভিযান দিতে দেখা যায়নি। ভারতীয় পণ্য থেকে দৈনিক লাখ লাখ টাকার চাঁদা আদায় করছে বিজিবি ও পুলিশের অবৈধ আয়ের হাতিয়ার লেপটিন শহিদ ও মির্জা রুবেল ।
সীমান্তের ১৯ বিজিবির অধিনে ঘিলাতৈল এলাকা দিয়ে অবাধে আসছে চোরাচালান। নিরব ভূমিকা পালন করছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে চোরাচালাদের বিরুদ্ধে অভিযানে মাঠে রয়েছে সিলেট র্যাব-৯ এর সদস্যরা।
এই চোরাকারবারীদের নেতৃত্ব দিয়ে লাইনম্যান মির্জা রুবেল ও লেপটিন শহিদ বিজিবির নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এই টাকার লেনদেন নিয়ে কয়েকদিন পড়পড় দফায় দফায় সংঘর্ষ হচ্ছে তাদের ও চোরাকারবারীদের। অবৈধ পথে আসা ভারতীয় গরু-মহিষের বৈধতা দিচ্ছে স্থানীয় জৈন্তাপুর বাজার।
এছাড়া অন্যান্য পণ্য সিলেট নগরীতে নিরবে প্রবেশ করছে। এখানেও রয়েছে চোরাকারবারীদের প্রভাবশালী লাইনম্যানরা ।তারা আওয়ামীলীগ নেতাদের ছত্র-ছায়ায় রয়েছেন।
ইতোমধ্যে লাইনের চাঁদা নিয়ে জৈন্তাপুর বাজারে ২টি গ্রুপের মধ্যে মারামারি ঘটনাও ঘটেছে।
লাইনম্যান পরিচয়দানরী লেপটিন শহিদ ও মির্জা রুবেল তারা চোরাকারবারীদের প্রকাশ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
বিনিময় রাতের আধারে লক্ষ লক্ষ টাকার চাঁদা দিচ্ছেন চোরাকারবারীরা। বানের পানির মত সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে ভারতীয় নাছির বিড়ি মদ, ইয়াবা, মোটরসাইকেল গাড়ি, মোবাইল ও কসমেট্রিক্স গবাদিপশু গরু সহ ইত্যাদি সামগ্রী।
কিন্তু লেপটিন শহিদ ও মির্জা রুবেলের নেতৃত্ব থাকার কারণে কোন চোরাকারবারীর অবৈধ পণ্য আটক করেন না বিজিবি ও পুলিশ।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,লেপটিন শহীদ ও রুবেল নামের এই দুই ব্যক্তি এই চোরাকারবারীদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে।
তারা বিজিবি ও পুলিশের নামে চাঁদা অাদায় করে। যারফলে লাইনম্যান লেপটিন শহিদ ও মির্জা রুবেলের মত লোকেদের জন্য প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।
আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনতে এই অবৈধ লাইনে চাঁদাবাজ হয়ে আসছেন লেপটিন শহিদ ও মির্জা রুবেল । কিছুদিন পুর্বে লেপটিন শহিদ ও রুবেলের শেল্টার নিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের ডিবির হাওর সীমান্তে ঘিলাতৈল এলাকায় বিজিবি‘র টহল টিমের উপর গরু চোরাকারবারীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ৪৮ বিজিবি’র নিয়ন্ত্রনাধীন,আলুবাগান, মোকামপুঞ্জি, শ্রীপুর আদর্শগ্রাম, মিনাটিলা, কেন্দ্রী, কাটালবাড়ী, নিজপাট ইউনিয়নের ডিবিরহাওর, খলারবন্দ এবং ১৯ বিজিবি’র নিয়ন্ত্রনাধীন ফুলবাড়ী, ঘিলাতৈল, টিপরাখলা, কমলাবাড়ী, গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল, হর্নি, কলিঞ্জি, চারিকাটা ইউনিয়নের জালিয়াখলা, বাগছড়া, লালাখাল, তুমইর, অফিফানগর, বালিদাঁড়া, ইয়াং রাজা এলাকা দিয়ে গত এক সাপ্তাহ হতে নতুন করে চোরাকারবার সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা বানের পানির মত ভারতীয় মদ, বিআর, ফেন্সীড্রিল, শেখ নাছির উদ্দিন বিড়ি (পাতার বিড়ি),বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, ইয়াবা, বিস্কুট, কসমেট্রিক্স,বিভিন্ন ব্যান্ডের মোবাইল সহ নানান সামগ্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখা যায়৷
প্রতিদিন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সীমান্ত এলাকায় মহড়া দিতে থাকে মির্জা রুবেল প্রকাশ ভাগিনা রুবেল-আলিম উদ্দিন-লেপটিন শহিদ বাহিনীর সদস্যরা। যার ফলে স্থানীয়রা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে জীবন-যাপন করছেন।
এদিকে জৈন্তাপুর বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন ১২৮৬নং আন্তর্জাতিক পিলার হতে ১২৯৬নং পিলার এলাকা। অন্যান্য এলাকার তুলনায় এই এলাকার সুযোগ সুবিধা ভালো। ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে বর্ডরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিনা বাঁধায় ঢুকতে পারে চোরাকারবারীদের গাড়ী সমুহ।
নির্ধারিত টাকা লাইনম্যান মির্জা রুবেল প্রকাশ বাগিনা রুবেল ও লেপটীণ শহিদ নিকট পরিশোধ করার পর পর কয়েক মিনিটের মধ্যে সীমান্তের ঘিলাতৈল, ফুলবাড়ী, টিপরাখলা, গৌরীশংক, কমলাবাড়ী, গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল অন্যতম।
সুযোগ সুবিধা ভাল থাকায় উপজেলার এই রোড গুলোদিয়ে অন্তত ১০ হতে ১৫ কোটি টাকার ভারতীয় মটর সাইকেল, মোবাইল হ্যান্ড সেট, শাড়ী, মহিষ,গরু, কসমেট্রিক্স, হরলিক্স, ইয়াবা, ফেন্সিড্রিল, বিভিন্ন ব্যান্ডের অফিসার চয়েস মদ, আমদানী নিষিদ্ধ ভারতীয় শেখ নাছির উদ্দিন বিড়ি, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, সুপারী, বাংলাদেশ হতে ভারতে পাচার হচ্ছে হাজার হাজার বস্তা মটরশুটি, মটর ঢাল, নারী। বুঙ্গাড়ীদের গরু-মহিষের চালান আসছে এই গরু-মহিষের বৈধতা দিচ্ছে স্থানীয় জৈন্তাপুর বাজারের ইজারাদাররা।
এ ব্যাপারে জানতে চোরাকারবারি শহীদের সাথে যোগাযোগ হলে তিনি জানান এখন বর্তমানে আমি এই ব্যবসায় জড়িত নয় আমার নামে অনেক পত্র-পত্রিকায় নিউজ লেখা লেখি হয়েছিল, বর্তমানে চোরাকারবারিদের সেল্টার দিচ্ছেন স্থানীয় চোরাকারবারি বেন্ডিস করিম তার বাগিনা মির্জা রুবেল ও লেপটিন শহিদ।
চলমান…