Sharing is caring!
রুহুল আমিন, স্টাফ রিপোর্টার (নীলফামারী):
সূর্যমুখী চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা ২ নং বালাপাড়া ইউনিয়ন’র আবু তালেব । সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে এখন বিরাজ করছে রাজ্যের আনন্দ হাসি। শুধু আবু তালেব নয় এরকম সূর্যমুখীর বাগান করেছেন উপজেলার আরও অনেক কৃষকরা।
সূর্যমুখী ফুল চাষে আশার হলুদ ফুলের সৌরভ ছড়াচ্ছে। গাছে গাছে ফুটেছে ফুল। পুরো জমি হলদে ফুলে সুশোভিত। বাগানগুলো সড়কের পাশে হওয়ায় দূর থেকে তাকালে যে কারও মনে হতে পারে প্রকৃতি যেন হলুদ গালিচা বিছিয়ে দিয়েছে, যেখানে সাময়িক সময়ের জন্য হারিয়ে যেতে মন চায়। বিস্তৃত সূর্যমুখী বাগানের এই হলুদাভ দৃশ্যটি যে কারও মনকে আকৃষ্ট করে তুলে, যা পর্যটকদের কাছে টানছে এক অমোঘ আকর্ষণে।
কৃষক আবু তালেব জানান, তিনি ৫ বিঘা জমিতে হাইসি-৩৩ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন।
ইতোমধ্যে প্রতিটি গাছে ফুল ধরেছে। তিনি আরও বলেন,৫ বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে মোট ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা প্রায়। প্রতিদিন বিকালে শহরসহ আশপাশ এলাকা থেকে সৌন্দর্য পিপাসুরা দল বেঁধে আসেন সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে। তিনি আশা করেন সূর্যমুখী চাষে সফলতা আসবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী বলেন, উপজেলায় এবার ৪৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আশা করছি ৪০ হেক্টর অর্জন সম্ভব হবে।
এই কর্মসুচি যদি সফল হয় তাহলে আগামীতে আমরা ব্যাপক আকারে সূর্যমুখীর চাষাবাদ বৃদ্ধি করতে পারব।
পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন ঘটানো সম্ভব হবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। আমি নিজেই উপজেলার সব ইউনিয়নে কৃষকের মাঠে গিয়ে মনিটরিং করেছি ও পরামর্শ দিয়েছি।
ফলন ভালো দেখা যাচ্ছে । সবকিছু ঠিক থাকলে বিঘা প্রতি ৫ হতে ৬ মণ করে বীজ পাবে কৃষকেরা। প্রতিমণ ২৪/২৫ শত টাকা দরে বিক্রি সম্ভব । এতে স্বল্প সময়ে, অল্প খরচে কৃষকেরা লাভবান
হবে।