২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মোরা আর ভাসমুনা

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১১, ২০২০
মোরা আর ভাসমুনা

Sharing is caring!

মোরা আর ভাসমুনা

সুরাইয়া শিরিন

ব্যঙ্গ করেই বলতো ওরা,
উত্তরাঞ্চলের মানুষেরা,
মোরা নাকি ভাসার মানুষ।

সারা রাইত নদীর বুকে
ভাসতে ভাসতে ঢাকা যাই।

হাসু বুবু সালাম তোমায়
তোমার দৃঢ়তার জন্য,
কারোর আর ব্যঙ্গ করার
সুযোগ নাই।

হঠাৎ করে ৯৮ তে
হুনলাম মোরা সবে,
পদ্মা সেতুর উপর দিয়া
পদ্মা সেতু হবে।

বিশ্বব্যাংক দিলো না ঋণ,
আরো কতো শত বাধা।

ভাঙনের ফলে পাল্টে গেল
পদ্মা সেতুর নকশা।

সবার সন্দেহ সংশয় কেটে
মহামারীর মধ্যে পেলো
পদ্মা সেতুর পূর্ণতা।

বিশ্বের দ্বিতীয় খরস্রোত নদীতে
এশীয় মহাদেশে শ্রেষ্ঠ অবদানটা।

ম্যালা বছর স্বপ্নের পরে,
পেলাম বাস্তবতা।

নদীর বুকে ভাসতাম মোরা,
বড্ড আনন্দে।

প্রকৃতির সব সুন্দর দেখতাম
বড় লঞ্চে চড়ে।

কেবিন আছে, ডেক আছে
আছে সেথা সোফা খাট,
এসি আছে, টিভি আছে
কতই না মজায় কেটে যেত রাত।

তবুও মনে ইচ্ছে ছিল
রেল গাড়িতে যামু।

শামসুর রহমানের ট্রেন কবিতা,
নেচে নেচে গামু।

মাওয়া ফেরতি আটকা
পড়ছি দুখের কথা না হুনমু।

অল্প সময়ের মধ্যে মোরা
ঢাকা বরিশাল যামু-আমু।

রানতে গিয়া গ্যাস পামু।

অবশেষে হাসুর জন্য এসবের,
মোরা বাস্তবে হাতে পামু।

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ মোরা
বাঙালী বাঙালির প্রতিবেশি।

পদ্মা সেতু দিয়ে মোরা।
উত্তার-দক্ষিণাঞ্চলে বন্ধন পেয়েছি।