Sharing is caring!
জাফলংয়ে ফটোগ্রাফার উজ্জল হত্যা: আদালতে আসামিদের স্বীকারোক্তি
ইব্রাহিম আলী , গোয়াইনঘাট :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ে ফটোগ্রাফার উজ্জ্বল হত্যাকান্ডে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে আসামিরা।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি গোয়াইনঘাট মো. আব্দুল আহাদ দুই আসামিকে সিলেট বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (অঞ্জন কান্তি দাস) ২য় আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় আসামি দ্বয় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এরপরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
নিহত উজ্জ্বল’র পিতা আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে দুই হত্যাকারী এবং হত্যাকারীদের পালাতে সহায়াতাকরী ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং (৭) তাং- ৭-১২-২০ইং।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুল আহাদ জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক, এব্যাপারে থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। আসামিদের মধ্যে মুল অভিযুক্ত ২জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে এবং তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে উজ্জ্বলের ময়না তদন্ত শেষে সোমবার বিকেলে জাফলং রসুলপুর গ্রামের বাড়িতে লাশ নিয়ে পৌছলে সেখানে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা সৃষ্টি হয়। স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে গেছে। সোমবার বাদ এশা জাফলং বিজিবি ক্যাম্প জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য যে গত রোববারে পর্যটক বেশী দুই ছিনতাইকারীর ফটোগ্রাফার উজ্জ্বলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তার ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় দুই দুর্বৃত্ত।
রোববার দুপুরে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকার অদূরে মায়াবী ঝর্ণায় হত্যাকান্ড ও ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে। নির্মম এ হত্যাকান্ডের শিকার ওই ফটোগ্রাফারের নাম উজ্জ্বল মিয়া (১৩)।
সে উপজেলার রসুলপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে এবং স্থানীয় জাফলং আমির মিয়া স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে হত্যাকারীদের পালাতে সহায়তাকারী ট্রাক চালক ও হেলপার রয়েছেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে নিহত ফটোগ্রাফার উজ্জ্বলের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন এবং হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ১টি ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শান্তিগঞ্জের ধরমপুর গ্রামের সৈয়দ নুর’র ছেলে এহসান মিয়া ও একই গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে খসরু মিয়া, বিয়ানীবাজার উপজেলার নওয়াগাওয়ের নুর মিয়ার ছেলে চালক রায়হান এবং একই গ্রামের আলী নুরের ছেলে হেলপার ওলিউর রহমান।