১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

রূপগঞ্জের ভুলতা-গাউসিয়ায় যানজটে ভোগান্তি

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১, ২০২০
রূপগঞ্জের ভুলতা-গাউসিয়ায় যানজটে ভোগান্তি

Sharing is caring!

রূপগঞ্জের ভুলতা-গাউসিয়ায় যানজটে ভোগান্তি

ফয়সাল আহমেদ, রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-

রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ফ্লাইওভার সংলগ্ন গোলাকাান্দাইল চৌরাস্তা এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী অগ্রনী সেচ প্রকল্পের ব্লক-১ এর সেচ খালে বিনা অনুমতিতে বাঁধ দিয়ে, মাছের আড়ৎ এবং মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে।

তাতে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নিয়েছে।

এ ছাড়াও রাস্তায় দেখা দিয়েছে যানজট, ফলে এলাকায় দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। এ অবৈধ বাঁধ অপসারণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ভুলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকার সংঘবদ্ধ একটি সিন্ডিকেট অবাধে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি নেতা দিপু ভুইয়ার জমিতে, ভুমিদস্যুরা দিন-দুপুরে ট্রাকে করে মাটি এনে ভরাট করে রাতারাতি বিশাল স্থাপনা গড়ে তুলছে। কেউ কেউ স্থাপনা নির্মাণ করে অন্যের কাছে হস্তান্তর করছে, কেউবা ভাড়াও দিচ্ছে। এমনকি বিক্রি করার অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে।

গাউছিয়া মৎস্য আড়তের সভাপতি নিবাস চন্দ্র দাস জানায় খাল ভরাট ও যানজটের ব্যাপারে আমরা কিছু জানিনা। হাইওয়ে পুলিশের ওসি মার্কেট উদ্বোধন করেছে। কাউকে হিসাবের দরকার নেই।

এদিকে পানি নিস্কাশন বাঁধাগ্রস্থ হওয়ায় এখানে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নিচ্ছে। এছাড়াও সেচ প্রকল্প এলাকার বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক প্রভাবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ম্যানেজ করে ভুমিদস্যুরা বেপরোয়াভাবে কোটি কোটি টাকার সরকারি জমি দখল করছে। কোন কোন স্থানে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করে ঘরবাড়ি, দোকানপাট, ইটেরভাটা, কল-কারখানা, মার্কেট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মাছের খামার, মাছের আড়ৎ, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের খালে বাঁধ দেওয়ার কারনে আমলাব ,সিংলাব, কালী, হাটাবসহ সেচ প্রকল্পটি আজ হুমকির মুখে পড়ছে বলেও জানান এলাকাবাসী। নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী অগ্রনী সেচ প্রকল্প ব্লক-১ এর অপ্রয়োজনীয় পানি শীতলক্ষ্যা নদী ও ব্রক্ষপুত্র নদে নিষ্কাশন হয়। আমলাবো, কালি, ভুলতা ও গোলাকান্দাইল হয়ে পানি নিষ্কাশনের খাল দিয়ে ব্রক্ষপুত্র নদে গিয়ে নিষ্কাশিত হয়। দখলদার মাছের আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি শ্রী নিবাস চন্দ্র বলেন আমরা ২২ জন মিলে জমির মালিকের কাছ থেকে এ জমি ভাড়া নিয়ে মাছের আড়ৎ নির্মাণ করেছি। জমির বৈধতা সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নরেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, খালের স্থানে স্থানে বাঁধ নির্মাণ করায় ও কচুরি পানায় ভরে পানি নিষ্কাশনের খাল একবারেই অকেজো হয়ে পড়েছে। তাতে প্রকল্পটি রক্ষণাবেক্ষণের অসুবিধা হচ্ছে।

বেপরোয়া দখল বন্ধ না হলে আগামী কয়েক বছর পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমির অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাবে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, খাল ভরাট করে মৎস্য আড়তের রাস্তা নির্মানের ব্যাপারে নোটিশ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।