Sharing is caring!
অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু নিলামে বিক্রি, ৩টি বোমা মেশিন ধ্বংস
সিরাজুল ইসলাম শ্যামল ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কালে নৌকা ভর্তি বালু, তিনটি বোমা মেশিন এবং বালু তোলার কাজে ব্যবহিত পাইপ লাইন আটক করা হয়েছে।
উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ার নদীর রানীগঞ্জ বাজারের লঞ্চঘাট এলাকায় একটি মহল অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে নদীর পাড়ে মজুদ করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসির আরাফাত সোমবার সকালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বালু ভর্তি ৩টি নৌকা, ৩টি বোমা মেশিন ও বালু উত্তোনের কাজে ব্যবহৃত পাইপগুলো জব্দ করেন।
নৌকায় নিয়োজিত শ্রমিকদের সাথে আলাপকালে জানাযায়, বালু ভর্তি নৌকা ৩টি পাশ্ববর্তী শেরপুর এলাকা থেকে এমরান নামে এক ব্যক্তি রানীগঞ্জে পাঠান। এমরানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বালুগুলো বাগময়না গ্রামের সালেহ হক ও আব্দুস সামাদ মাষ্টার নামের দুই ব্যক্তির।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান ও এ্যাসিল্যান্ডের উপস্থিতিতে জব্দকৃত বোমা মেশিনগুলো ধ্বংস এবং পাইপগুলো পুড়ে ফেলানো হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রকাশ্যে নিলামের মাধ্যমে মজুদকৃত ও নৌকায় থাকা বালুগুলো ১লক্ষ ২০হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসির আরাফাত জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে এভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বালু ব্যবসা করতে হলে সরকারের নিয়ম মেনে ব্যবসা করতে হবে।
এদিকে গত ৮নভেম্বর রানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদেও বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে আনসার মিয়া নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ অবৈধভাবে বালু মজুদ করে রানীগঞ্জ বাজারের আশ পাশের বিভিন্ন লোকজনের কাছে বিক্রি করে আসছে।
ক্ষতিকারক বোমা মিশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে আশ-পাশের বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।