২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

ঝিনাইদহের সরকারি ছাগল উন্নয়ন কেন্দ্রের বেহাল দশা,কর্মকর্তা অফিসে আসে না

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ১২, ২০২০
ঝিনাইদহের সরকারি ছাগল উন্নয়ন কেন্দ্রের বেহাল দশা,কর্মকর্তা অফিসে আসে না

ঝিনাইদহের সরকারি ছাগল উন্নয়ন কেন্দ্রের বেহাল দশা,কর্মকর্তা অফিসে আসে না।

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঝিনাইদহ বাসীর জন্য ১৯৯৫ সালে ৫ একর জমির উপর ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের পাশের ছাগল উন্নয়নের জন্য একটি কেন্দ্র সরকারি ভাবে তৈরি হলেও এলাকাবাসী পায় না তেমন সুযোগ সুবিধা।

ছাগী প্রজ্জনের তালিকায় ১০ টাকা লেখা থাকলেও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়ে থাকে। তাছাড়া স্থানীয় জনসাধারণ তাদের ঠিক মত পায় না।

প্রতি বছরে কেন্দ্র উন্নয়নে ব্যায় করা হলেও তা দৃশ্যত কোন কাজে আসে না। এখানকার দায়িত্বরত প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা মাঝে মাঝে আসে। সব মিলিয়ে এই কেন্দ্রের বেহাল দশা।

স্থানীয় জনসাধারণের নানা অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১০ ই নভেম্বর রোজ মঙ্গল বার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিনে গেলে যে তথ্যচিত্র ফুটে উঠল তা তুলে ধরা হোল।

বাহির থেকে প্রবেশের মুল গেট বন্ধ। গেট নাড়া দিতেই একজন ভিতর থেকে গেট ঘুলে দিলে তবে পাওয়া গেল না প্রাণী সম্পদ হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী কৃষিবিদ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান কে।

অফিসে উপস্থিত একজন ব্যক্তি জানালেন যে স্যারের দায়িত্ব চুয়াডাঙ্গা এবং ঝিনাইদহে হয়ত স্যার আজ চুয়াডাঙ্গা গেছে তাই আসেন নি।

উনার নিকট থেকে কৃষিবিদ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের মোবাইল নম্বরে ফোন করলে উনি জানায় যে তার অফিসের কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেছে তাই উনি ঝিনাইদহ পার্ক মার্কেটে কম্পিউটার ঠিক করতে এসেছে এক ঘণ্টা পর অফিসে আসবেন।

ইতিমধ্যে গেটে শহরের পাগলা কানাই থেকে গোলাম কুদ্দুস নামে এক ব্যক্তি এসেছে ছাগি প্রজ্জনের কাজে। তাকে বল হল এখন করোনার সময়ে ছাগি প্রজ্জনের প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে।

এই প্রসঙ্গে উপস্থিত অফিসের ব্যক্তি জানালের যে করোনার কারনে ছাগি প্রজ্জনের কাজ বন্ধ রয়েছে। অফিসের কোন লিখিত নির্দেশ আছে কিনা জানতে চাইলে সে বলে যে লিখিত কোন নির্দেশ নেই তবে তাদের মৌখিক ভাবে জানান হয়েছে।

গোলাম কুদ্দুস আরও জানায় এর আগে সে ছাগি প্রজ্জনের কাজে এসেছে তাবে বড় ছাগল হোলে দাম ৫০ টাকা আর ছোট্ট ছাগল হোলে তার দাম ২০ টাকা নিয়ে থাকে।

কেন্দ্রের দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তা দায় সারা গোছের দায়িত্ব পালন করেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া তার উপর দায়িত্ব দুই জেলায় যার কারনে সে প্রায় অফিসে আসেন না। চুয়াডাঙ্গা অফিসে গেলে তারা বলে ঝিনাইদহে আর ঝিনাইদহের অফিসে গেলে তারা বলে চুয়াডাঙ্গা।

তার নেই কোন নিদিষ্ট দিন যে কোন অফিসে কোন দিন থাকবেন। তবে করোনা কালীন জন প্রশাসন মন্ত্রণায়ের প্রজ্ঞাপন জারীতে সরকারি কর্মচারীদের অফসেই আবস্থান করতে হবে। শুধু তার পার্থক্য সে মুলত বাড়িতেই থাকেন।

এই প্রসঙ্গে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার নিকট মোবাইলে জানতে চাইলে সে জানায় যে ঝিনাইদহের সরকারি ছাগল উন্নয়ন কেন্দ্র আমাদের অধিনে নয়।

তবে যেহেতু প্রজ্জনের ব্যপার তবে বন্ধ থাকার কথা নয়। তবে কৃষিবিদ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানাতে পারব।

উনি দুই জাইগা দায়িত্ব পালন করেন তাই আজ হয়ত চুয়াডাঙ্গা আছে।

কিছু ক্ষণ পরে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবার ফোন করে বলেন যে আজ কৃষিবিদ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তার আয়কর ফাইল ঠিক করার জন্য চুয়াডাঙ্গায় একটি কম্পিউটারের দোকানে আছে।

তবে বিকাল ৫ টার দিকে আরেক দফা তার অফিসে গেলে জানা যায় যে সে আজ আর অফিসে আসেনি।

Please Share This Post in Your Social Media
March 2024
T W T F S S M
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031