১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

বিজিবির জন্য ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল কেনা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ৮, ২০২০
বিজিবির জন্য ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল কেনা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

Sharing is caring!

বিজিবির জন্য ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল কেনা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

 

 

অভিযোগ ডেস্কঃ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকে পেশাগত দক্ষতা অর্জন করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রয়োজনে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেছেন, সীমান্ত রক্ষা করা বড় দায়িত্ব। তাই এই বাহিনীর উন্নয়নের জন্য সরকার করণীয় সবকিছু অব্যাহত রাখবে।

বিজিবিতে অত্যাধুনিক সংস্করণের দুটি হেলিকপ্টার সংযোজনের মাধ্যমে অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়ল বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

রোববার (৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর পিলখানায় এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিজিবিতে যোগ হলো দুটো নতুন হেলিকপ্টার।

উদ্বোধনী আয়োজনে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নতুন সংযোজিত হেলিকপ্টার দুটি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ও আবদুর রউফের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে পরিণত হলো বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে, সততা ও ঈমানের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে, বিজিবির সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে।

এ ছাড়া পিলখানার হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেদিকে খেয়াল রেখে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, সীমান্তের সুরক্ষায় এই বাহিনীর উন্নয়নে সরকার সব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বিজিবির সক্ষমতা তুলে ধরে জানানো হয়, চোরাচালান প্রতিরোধে টহল কার্যক্রম গতিশীল করতে ১২০টি এটিভি, ১২টি এপিসি এবং ১০টি রায়োট কন্ট্রোল ভেহিকল কেনা হয়েছে।

এ ছাড়া সীমান্তের সার্বিক সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আধুনিক ও যুগোপযোগী ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

সীমান্ত এখন শুধু চিহ্নিতই নয়, বরং স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ অংশে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য ৩২৮ কিলোমিটার সীমান্তে স্মার্ট ডিজিটাল সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড টেকনিক্যাল রেসপন্স সিস্টেম স্থাপন করা হবে।

এ ছাড়া অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়াতে ডিজিটাল মোবাইল রেডিও নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে সদর দফতরের সঙ্গে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিওপিগুলোর সঙ্গে আরও দৃঢ় যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে ৫৩৯ কিলোমিটার অরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় নতুন ৬২টি বিওপি নির্মাণের মাধ্যমে ৪০১ কিলোমিটার এখন নজরদারিতে এসেছে। বাকি থাকা ১৩৭ কিলোমিটার এলাকায় নতুন বিওপি স্থাপন করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

৮৪১ জন নারী সদস্য এখন দক্ষতার সঙ্গে বিজিবিতে কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই বাহিনীর জন্য আরও ১৫ হাজার নতুন জনবল নিয়োগের বিষয়টি শিগগির বাস্তবায়ন শুরু হবে।

একটি সুশৃঙ্খল ও দক্ষ বাহিনী গড়ে তুলতে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বিজিবির জন্য। এই বাহিনীতে কর্মরতদের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করতে চায় সরকার।

এ জন্য চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিদ্যমান প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির জন্য আরও একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

সীমান্তে আরো ৭৩টি কম্পোজিট বিওপি নির্মাণ করা হবে বলেও অনুষ্ঠানে জানান সরকার প্রধান। তিনি বলেন, বিজিবি এখন ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। স্থল, নৌ ও আকাশসীমায় এখন সমানতালে টহল চালাতে পারবে বিজিবি।

এয়ার উইংয়ের মাধ্যমে বাহিনীটি আরো সমৃদ্ধ হলো বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।