২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বাগাতিপাড়ায় তহসিলদারের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ৬, ২০২০
বাগাতিপাড়ায় তহসিলদারের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ

 

 

বাগাতিপাড়ায় তহসিলদারের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ

 

খাদেমুল ইসলাম,নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ-
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় খাস জমি বন্দোবস্তের নামে তহসিলদারের বিরুদ্ধে ২০ ব্যক্তির নিকট থেকে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার ইমরান আলীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি (গত বুধবার) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের নন্দীকুজা গ্রামের ভূমিহীন ২০ টি পরিবার খাস জমিতে বসবাস করেন।

প্রায় ৩৪ বছর ধরে তারা ওই গ্রামের এক একর সাত শতাংশ খাস জমিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে তারা খাস জমি বন্দোবস্তের আবেদন করেছেন। কিন্তু বন্দোবস্ত পাননি। সবশেষে ২০১৮ সালের জুন মাসে বাগাতিপাড়া ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর তারা আবারও আবেদন করেন। পরবর্তীতে এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জমির কাগজপত্র প্রস্তুত হওয়ার কথা বলে তহসিলদার ইমরান আলী ওই ২০ ব্যক্তির প্রত্যেকের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা করে ঘুষ দাবি করেন এবং প্রত্যেকেই চাহিদার পরিমান টাকা প্রদান করেন। কেউ কেউ এর চেয়েও বেশি টাকা প্রদান করেছেন বলে অভিযোগে উল্ল্যেখ করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে মজনু মিঞা নামের ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১৮ হাজার টাকা প্রদান করেন। খাস জমি বরাদ্দের নামে ওই ২০ ব্যক্তির নিকট থেকে তহসিলদার ইমরান আলী মোট এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহন করেছেন বলে অভিযোগে উল্ল্যেখ করা হয়েছে। যাদের নিকট থেকে তিনি ঘুষ গ্রহন করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন, মজনু মিঞা, মনির হোসেন, সাইদুল, ইউনুছ আলী, তফির উদ্দিন, জহির উদ্দিন, মকছেদ আলী, মহব্বত আলী, মুনতাজ আলী, রাজিব আলী, সজিব আলী, নাজির উদ্দিন, আজিজুর রহমান, রাকিব আলী, পান্টু আলী, জামাল উদ্দিন, আব্বাস আলী, হযরত আলী, মকবুল হোসেন ও সাগর আলী।

গত বুধবার এদের কয়েকজন ও তাদের স্ত্রী এবং নন্দীকুজা গ্রামের ভূমিহীন সমিতির সদস্য-সদস্যদের সাক্ষরিত এক অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর জমা দেন। এতে তারা তহসিলদার ইমরান আলীর শাস্তির দাবি জানিয়ে ঘুষের টাকা ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহন এবং খাস জমি বন্দোবস্তের আবেদন জানিয়েছেন। এবিষয়ে জানতে তহসিলদার ইমরান আলীর মুঠোফোনে কয়েকদফা চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা দেবী পাল অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তহসিলদার ইমরান আলীর বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরও বলেন, এর আগেও সরকারি অর্থ কেলেঙ্কারীর ঘটনায় তহসিলদার ইমরান আলীর বেতন স্কেল অবনমন করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30