Sharing is caring!
বগুড়া প্রতিনিধি :
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের সিরাজনগর নয়লাপাড়া গ্রামে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর অভিযোগে গত বুধবার রাতে নিহতের স্বামী গ্রাম পুলিশ গৌতম কুমার (৩৫) কে আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের সিরাজনগর নয়লা পাড়া গ্রামে মৃত বোধন চন্দ্রের ছেলে গ্রাম পুলিশ গৌতম কুমার বছর দেড়েক পূর্বে পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার ধামাইনগর গ্রামের মেয়ে পুর্ণিমা রানীকে বিয়ে করে। তাদের সংসার জীবনের শুরু থেকেই দাম্পত্য কলহ চলছিল। এরই এক পর্যায়ে গত ২৪ জুলাই বুধবার বিকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে গৌতম তার স্ত্রী পুর্ণিমাকে মারধর করে ঘরে তালা দিয়ে রেখে বাজারে যায়। সন্ধ্যায় বাজার থেকে ফিরে এসে তার স্ত্রীকে অচেতন অবস্থায় দেখে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ঘাতক স্বামী গৌতম কুমার। এমতাবস্থায় স্ত্রী পুর্ণিমাকে নিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বামী গৌতম চিকিৎসককে জানায় তার স্ত্রী পুর্ণিমা রানী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু মরদেহে আঘাতের চিহ্ন থাকায় মেডিকেল কলেজে দায়িত্বরত পুলিশ গৌতমকে আটক করেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গৌতম তার স্ত্রীকে মারধরের কথা স্বীকার করেন বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে বিশালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, বিয়ের পর থেকেই গৌতম কুমার এর বউ পছন্দ না হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। বুধবার বিকালে স্ত্রীকে মারপিট করেছে বলে শুনেছি।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, নিহতের পবিবার থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তাছাড়া অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।