Sharing is caring!
ফকির হাসান :: ছাতকের খুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনির ছাত্র পাবেল আহমদ (১৬) হত্যা মামলার ১০জন আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আসামিরা হল কদ্দুছ আলী, সালাম মিয়া, ফারুক আলী, জুয়েল, ফটিক আলী, রফিজ আলী, লেয়াকত আলী, মারুফ আলী, কাউসার, মিলন মিয়া।
গতকাল বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তারা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক বিল্লাল হোসেন তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
জানা যায়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মছব্বির কর্তৃক জাল দলিলের মাধ্যমে মায়েরকুল গ্রামের প্রবাসী ফারুক মিয়ার কাছে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে শুক্রবন্দ মৌজার দুই কেদার জায়গা ছোট মায়েরকুল মৌজা দেখিয়ে ভুয়া দলিলের মাধ্যমে পতিত জমি বিক্রি করেন। একই জায়গা একই দলিলমুলে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রামের আবদুল কদ্দুছ ও কাপ্তান মিয়ার কাছেও দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।
২৯ জানুয়ারী সকালে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মছব্বির গ্রামের আবদুল কদ্দুছকে ওই জমির মালিকানা বুঝিয়ে দিতে পতিত জমিতে যান। এতে ফারুক আহমদের স্ত্রী পারভীন বেগম ও পুত্র পাবেল আহমদ জমির সীমানা নির্ধারণে বাঁধা নিষেধ করেন। এতে উত্তেজিত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। চেয়ারম্যান প্রতিবাদকারী স্কুল ছাত্র পাবেলকে ধরার নির্দেশ দিলে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
এ সুযোগে চেয়ারম্যান ও তার সহযোগিরা তার উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে আহত করে। কিছু সময় পর উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হামলায় গুরুতর আহত স্কুল ছাত্র পাবেলকে স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ওইদিন রাতেই স্কুল ছাত্র পাবেল মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মছব্বিরকে প্রধান আসামী করে ৩৫জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা (নং-২৩) দায়ের করেন।
মামলার বাদীনী ও নিহত স্কুল ছাত্রের মা পারভীন বেগম বলেন, চেয়ারম্যান ইটের টুকরো হাতে নিয়ে পাবেলের মাথায় আঘাঁত করেন। পরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে উপস্থিত আবদুল কদ্দুছ নামের দুইজন, আবদুল কাদির, সালামত, মাসুকসহ অন্যান্যরা হামলা চালিয়ে মাটিতে ফেলে তার পুত্রকে ব্যাপক মারধর করে গুরুতর আহত করলে ওইদিন রাতেই সে মারা যায়। নিহত পাবেল এর মা তার পুত্র হত্যাকারী মুল হোতা ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তি ফাশির দাবী জানান।