Sharing is caring!
সোহাগ আলী, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে শালবন রক্ষার্থে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির ঠাকুরগাঁ জেলা কমিটির আয়োজনে মুক্তা মার্কেট সংলগ্ন রাণীশংকৈল শিবদিঘী মহাসড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রানীশংকৈলের বেলতলী সংলগ্ন একটি গ্রামে প্রায় ১৯ একর জমির মধ্য অবস্থান একটি শালবাগান। রানীশংকৈলের একমাত্র এই শালবাগান টিতে বছর কয়েক পূর্বের এক পরিসংখ্যান হতে জানা যায় একসময় বাগানটিতে ৩৭০০ এর অধিক গাছ ছিলো তবে বর্তমান সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৩০০ থেকে ৪০০ টির মত গাছ রয়েছে শালবাগান টিতে। গাছ চোরাকারবারি, দুর্বৃত্তরা ক্ষমতার জোরে দিন দুপুরে বাকি সব গাছ বিভিন্ন সময়ের ব্যবধানে শালবাগান টি কে ধ্বংস কল্পে কেটে নিয়ে গেছে, অনেকে রাতের আধারে চুরি করে নিয়ে যায়। দিন দিন বাগানটির গাছের পরিমাণ কমে আসছে । অনেক ভূমিদস্যু সরকারি এই শালবাগানের জমিকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন এছাড়াও এখন বাগানটি হয়ে উঠেছে মদ জুয়ার আসর ও অবৈধ মেলামেশার একটি জায়গা। এইসব বিষয়ে প্রশাসন কিংবা বন মন্ত্রানালয়ের নেই কোনো তদারকি কিংবা উদ্যোগ।
তবে বিষয়টি নজরে পড়ে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির সদস্যদের।
তাই রানীশংকৈল উপজেলার একমাত্র শালবাগান রক্ষা ও সম্প্রসারণের দাবিতে সোমবার ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির সদস্যরা একটি মানববন্ধনের আয়োজন করেন এবং পরবর্তীতে ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলে বক্তারা জানান।
এসময় উক্ত মানবাধিকার সংগঠনটির সদস্যদের সাথে মানববন্ধনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীবৃন্দ ঐতিহ্যবাহী শালবন রক্ষার্থে সহমত প্রকাশ করেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন, রাণীশংকৈল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি-নওরোজ কাউসার কানন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক- রমজান আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-জাকারিয়া হাবিব ডন, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির ঠাকুরগাঁও জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক-সোহাগ আলী, সদস্য সচিব -উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তামিম হোসেন, যুগ্ন-আহবায়ক- হারুন সরকার, যুগ্ন আহবায়ক- জাহিদ হাসান মিঠু সহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী, স্থানীয় রানীশংকৈলবাসী ও প্রিন্ট, অনলাইন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন,আমাদের রানীশংকৈলের একমাত্র ঐতিহ্যবাহী শালবাগান আজ ধ্বংসের পথে,প্রশাসন কিংবা বন মন্ত্রানালয়ের নেই কোনো তদারকি কিন্তু আমরা তো আমাদের ঐতিহ্যবাহী এই বন উজাড় হতে দিতে পারিনা, আমাদের এই শালবাগানটি দ্রুত সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ চাই এবং বাগানটি যেনো মাদকসেবী ও অবৈধ লোকমুক্ত করে সুস্থ বিনোদনমূলক জায়গায় পরিণত করা হয় এবং শালবাগানটি ধ্বংসের পিছনে যাদের হাত রয়েছে তাদের কঠোর ভাবে দমন করা হোক। আমরা আমাদের এই দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত একের পর এক আনন্দোলন, লড়াই চালিয়ে যাব! আমাদের বন রক্ষা না হলে আমরা আগামীতে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করব বলে এমনটাই জানান মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা ।।