২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ডিজিটাল প্রতারক আতিকুর রহমানের প্রতারনায় দিশেহারা সাংবাদিক সমাজ ও সাধারন মানুষ

অভিযোগ
প্রকাশিত অক্টোবর ১৯, ২০২০
ডিজিটাল প্রতারক আতিকুর রহমানের প্রতারনায় দিশেহারা সাংবাদিক সমাজ ও সাধারন মানুষ

মোঃরায়হান হোসাইন (মান্না),সিলেট জেলা বিশেষ প্রতিনিধিঃ- ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার,ও ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন দেশের সাধারন মানুষ ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন পদ পদবী
দিয়ে আইডি কার্ড দেয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পএ পএিকা ও টিভিতে প্রকাশিত হয়েছে।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার ছোট শিবেরচর গ্রামের হাবিবুর রহমানের পুত্র মহা প্রতারক আতিকুর রহমান প্রতারনার মাধ্যমে সাধারন মানুষের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতে অনুমোদনহীন ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার নামে ফেসবুকে প্রচারনা শুরু করে।

 

 

ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে তিনি বিভাগীয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের জন্য আগ্রহীদেরকে তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
মিরপুর থেকেই চলছিল প্রতারণা। অবশেষে গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন ডিজিটাল প্রতারক আতিকুর। কেউ মুখ খুললেই থানায় অহরহ জিডি করেন তিনি। মামলা হামলার হুমকি, নিউজ হলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার। কোন খুটিঁর জোরে টিকে আছে ডিজিটাল প্রতারক আতিকুর রহমান ?

 

পুলিশের এক সাবেক ডিআইজিকে উপদেষ্টা প্রচার করে নিজেকে হেভিওয়েট পরিচয় দিয়ে প্রতারনায় মেতেছে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের ছোট শিবের চর গ্রামের গ্রাম পুলিশ হাবিবুর রহমানের ছেলে প্রতারক আতিকুর রহমান। কেউ মুখ খুললেই উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দেয়ার ভয় দেখানো ও ফেসবুকে সেসব রটিয়ে নিজেকে সাধু পরিচয় দিয়ে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

অপকর্মের খুঁটি মিরপুরে, নিউজ প্রকাশের পর থেকেই আত্মগোপনে আছে প্রতারক আতিক। সম্প্রতি প্রতারক আতিকের অপকর্মের ফোন রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। তারপরও দৃষ্টি নেই প্রশাসনের। কিন্তু কেন ? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন ভুক্তভোগীরা।
বিষয়টি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান সহ পুলিশের হেডকোয়াটার্সে অবহিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, নিজেকে কখনো মানবাধিকার চেয়ারম্যান, কখনো সাংবাদিক সংগঠনের চেয়ারম্যান, আবার কখনো তদন্ত কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারক সিন্ডিকেট গড়ে সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে আতিকুর রহমান।
প্রতারণার একাধিক বিয়েসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে গেলেও এই প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না হওয়ায় প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। নানাভাবে প্রতারিত হচ্ছেন প্রশাসনের কর্তা থেকে শুরু করে সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক নেতারাও।
প্রতারক আতিকুর নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করে তাঁর পিতার নামের পাশে মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করে সরকারি অনুমোদনহীন একটি মানবাধিকার সংগঠনের গঠনতন্ত্র প্রচার করেছে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের জুলাই মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মানবাধিকার কমিশন, পুলিশ, র‌্যাবসহ প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে চট্রগ্রামের স্থানীয় গণমাধ্যমে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।উক্ত প্রতিবেদনে
চট্রগ্রাম থেকে বিভিন্ন সাংবাদিকদের নিকট থেকে র ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, জানিয়েছেন মোস্তাফিজ সাংবা:আতিক চক্রের প্রতারণার শিকার হয়ে চট্রগ্রামের একাধিক গণমাধ্যমকর্মী অভিযোগগুলো করেন।
আতিকুর রহমান সারাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলাসহ গ্রাম পর্যায়ে সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ ও কমিটি গঠনের নামে প্রতারণা করেন। এছাড়া অনলাইন গণমাধ্যমে সাংবাদিক নিয়োগসহ সরকারি অনুমোদনহীন ওই দুটি সংগঠনের সদস্য আইডি কার্ড দেয়ার নামেও অবৈধভাবে টাকা নেন। এখানেই শেষ নয়, বিভিন্ন মামলাসহ অপরাধ অনুসন্ধানের নামে চলে অর্থ হাতানের আতিকুরের প্রতারণা।
প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে মানবাধিকার চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক সংগঠনের চেয়ারম্যান পরিচয়ে ফোন করে অনৈতিক সুবিধা নেয়ারও প্রমাণ মিলেছে অনুসন্ধানী টিমের কাছে।
জানা যায়, আতিকুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ভিজিটিং কার্ড রাজধানীসহ সারাদেশেই বিতরণ করেছেন। ভিজিটিং কার্ডে তিনি নিজেকে মানবাধিকার চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, ডিজিটাল ইন্টারন্যাশনাল টেলিভিশনের চেয়ারম্যান, ক্রাইম পেট্রোলের নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী জাতীয়তা লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, প্রধান শিক্ষক, সিনিয়র সাংবাদিকসহ ২১টি পদ-পদবী উল্লেখ করেছে। সেই ভিজিটিং কার্ড ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তাছাড়া গতকাল (১৮ অক্টোবর) সিলেটের রায়হান হোসাইন নামের একজন সাংবাদিক কে তার এই ভুয়া সংস্থা সদস্য করে এবং উনাকে দিয়ে সিলেট জেলা থেকে ৭ জনের একটা কমিটি গঠন করে তাকে ৭ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে কিন্তু উনি তার প্রতারণা বিষয় বুঝতে পেরে দেশবাসীকে শর্তক করার জন্য তার প্রতারণার সিস্টেম উল্লেখ করে উনার ব্যবহিত আইডি থেকে একটি ফেইসবুক পোস্ট করেন এবং সে এরকম রাজশাহী জেলার পাঁচবিবি থানার সাংবাদিক সৃষ্টি চৌধুরীর সঙ্গে প্রতারণা করতে গেলে উনিও প্রতারণার বিষয় বুঝতে পেরে ঠিক এই রকম প্রতিবাদ করলে সেই প্রতারক আতিকুর রহমান ওই দুইজন সাংবাদিকদের ছবি দিয়ে তার ব্যবহিত ফেইসবুক আইডি থেকে তাদের মানহানিকর পোস্ট করে।

সমাজের সচেতন মহল এই প্রতারক আতিকুলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকতার নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30