Sharing is caring!
৩০ মামলার আসামি প্রতারক তানিয়া সিকদার গ্রেফতার
অভিযোগ ডেস্ক :: ৩০টির অধিক প্রতারণার মামলার আসামি তানিয়া সিকদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ সময় তার কাছ থেকে ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৪ অক্টোবর) ভোরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে জেলার আমতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার সহযোগী আকাশকেও গ্রেফতার করে। এর আগে মুক্তা নাহার নামে এক নারী বাদী হয়ে প্রতারক তানিয়ার বিরুদ্ধে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, তানিয়ার কাছ থেকে লুণ্ঠিত ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ও একটি প্রাইভেট উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩০ টির অধিক প্রতারনার মামলা রয়েছে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তানিয়া জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি প্রতারণা করেছেন তিনি।
অভিনব কায়দায় ফাঁদে ফেলে বাসা বাড়িতে ঢুকে অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়াই তার কাজ। তানিয়ার ছদ্মনামের অভাব নেই। এই তরুণী ভয়ংকর এক প্রতারক। নিজেকে কখনও ডাক্তার, কখনও আইনজীবী, কখনও মডেল, কখনও নায়িকা পরিচয় দিয়ে থাকেন।
সুন্দরী হওয়ায় তাকে প্রথম দেখায় যে কারোই চোখ আটকে যায়। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগায় গাজীপুরের মেয়ে তানিয়া।
পোশাকে আধুনিকতা, পরনে ব্রান্ডের দামি ঘড়ি, অলংকার, জুতা,চোখে চশমা, রঙ্গিন বেশে আর হালের ফ্যাশন সব মিলিয়ে এক মোহনীয় উপস্থাপনা।
পুলিশ আরো জানায়, জয়দেবপুর থানার রাজেন্দ্রপুরের গজারিয়া গ্রামের হাসান শিকদারের মেয়ে তানিয়া শিকদার। থাকেন উত্তরায় বাসা ভাড়া নিয়ে। বছর কয়েক আগে তার স্বামীর মৃত্যু হয়।
এরপর তানিয়া তার দেবর ওয়ালিদ রহমানকে বিয়ে করেন। তার চলাফেরা দেখলে কেউ ভাবতেও পারবে না তিনি এত ভয়ংকর প্রতারক।
তানিয়ার বিরূদ্ধে রাজধানীর আদাবর, দারুস সালাম, তেজগাঁও, নিউ মার্কেট, দক্ষিণখান, মোহাম্মদপুর, বিমানবন্দর, উত্তরা, মিরপুর, কাফরল, শাহজাহানপুরসহ বিভিন্ন থানায় ৩০টির ও বেশি প্রতারণার মামলা রয়েছে।
তানিয়া সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন সূত্রে বিত্তশালী লোকজনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে। বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাদের স্বজনদের তথ্য সংগ্রহ করে। সুযোগ বুঝে তাদের কাছের লোক কিংবা স্বজন পরিচয় দিয়ে বাসায় প্রবেশ করে।
ডলার ভাঙানোর বা জমা রাখার ফাঁদ ব্যবহার করে কখনও পানি খাওয়ার বাহানা, কখনও অন্য কোনো বাহানায় অর্থকড়ি নিয়ে সটকে পড়েন।
চুরি করে নিয়ে যাওয়া স্বর্ণালংকার প্রতারণা চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে বিভিন্ন জুয়েলার্সে বিক্রি করতেন। গত ২৬ মে গ্রেফতারের পর তিনি পাঁচ মাস কারাগারে ছিলেন। মাস খানেক আগে জামিনে মুক্তি পেয়ে গাজীপুরে অভিনব পন্থায় প্রতারণা শুরু করেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই আবুল হাসান জানান, গত মাসে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মুক্তা নাহার নামে এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার (৪ অক্টোবর) ভোরে গাজীপুরের আমতলী এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকের সময় তানিয়ার কাছ থেকে ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা সহ একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।