Sharing is caring!
শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। বিশ্বশান্তির অগ্রদূত শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ তথা দক্ষিন এশিয়ায় শান্তি সমৃদ্ধির পথে তাঁর অবদানের জন্য তিনি বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। তাছাড়া তিনি দেশ-বিদেশের অনেক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রিতে ভূষিত হয়েছেন।
শেখ হাসিনার কর্তৃক প্রাপ্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরষ্কার এবং দেশী-বিদেশী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রিসমূহের একটি সাধারন তালিকা তুলে ধরা হল।
১। পার্বত্য চট্টগ্রামে সুদীর্ঘ ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ইউনেসকো প্রদত্ত ‘ফেলিক্স হোফে বোইনি শান্তি পুরষ্কার’ – ১৯৯৮
২। আন্তর্জাতিক রোটারি ফাউন্ডেশন প্রদত্ত ‘পল হ্যারিস ফেলো’ – ১৯৯৭
৩। আন্তর্জাতিক লায়নস ক্লাব প্রদত্ত ‘Medal of Distinction ১৯৯৬-১৯৯৭’ পদক
৪। আন্তর্জাতিক লায়নস ক্লাব প্রদত্ত ‘Medal of Distinction ১৯৯৮-১৯৯৯’ পদক
৫। আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাব প্রদত্ত ‘রাষ্ট্রপ্রধান পদক ১৯৯৬-১৯৯৭’
৬। ভারত কর্তৃক ‘নেতাজী সুভাষ চন্দ্র পদক’ – ১৯৯৭
৭। সর্বভারতীয় শান্তিসংঘ কর্তৃক ‘মাদার তেরেসা পদক’ – ১৯৯৮
৮। বাংলাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও গণতন্ত্র প্রসারে অবদানের জন্য মহত্মা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ফাউন্ডেশন, নরওয়ে কর্তৃক ‘গান্ধী পদক’ -১৯৯৮।
৯। ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (FAO) কর্তৃক ‘সেরেস পদক’ – ১৯৯৯
১০। আফ্রো -এসিয়ান ল ইয়ার্স ফেডারেশন প্রদত্ত ‘পার্সন অফ দ্যা ইয়ার’ -২০০০
১১। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সাহসিকতা, ও দূরদর্শিতার জন্য ম্যাকন ওমেনস কলেজ যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ‘পার্ল এস বাক পদক’ – ২০০০
১২। ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব লায়ন্স ক্লাব কর্তৃক ‘মেডেল অব মেরিট পদক’ – ২৭ মে ২০০৫
১৩। ভারত সরকার প্রদত্ত ‘ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পদক’ -২০০৯
১৪। গণতন্ত্র সুসংহতকরণে প্রচেষ্টা ও নারীর ক্ষমতায়নে অবদান রাখার জন্য ফ্রান্সের দোফিঁ বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত ‘স্বর্ণপদক’ – ২৫ মে ২০১১
১৫। শিশুমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক এমডিজি অ্যাওয়ার্ড – ২০১০
১৬। বিশ্ব মহিলা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে অবদানের জন্য জাতিসংঘ ইকনোমিক কমিশন ফর আফ্রিকা, জাতিসংঘে এন্টিগুয়া-বারবুডার স্থায়ী মিশন, আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন ও সাউথ সাউথ নিউজ কর্তৃক ‘সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড’ – ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১
১৭। ফেলোশিপ, বাংলা একাডেমী, বাংলাদেশ – ৩০ ডিসেম্বর ২০১১
১৮। বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র রক্ষা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বিশেষ অবদানের জন্য UNESCO কর্তৃক ‘কালচারাল ডাইভারসিটি পদক’ – ৯ মে ২০১২
১৯। ডক্টর অব লজ, বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্র, ৬ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৭
২০। ডক্টর অব লজ, ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয় জাপান, ৪ জুলাই ১৯৯৭
২১। ডক্টর অব লিবারেল আর্টস, এবারেট ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাজ্য, ২৫ অক্টোবর ১৯৯৭
২২। দেশিকোত্তম, বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিমবঙ্গ, ভারত – ১৯৯৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর
২৩। শান্তি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অসাধারণ অবদানের জন্য ডক্টর অব লজ, অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অস্ট্রেলিয়া – ২০ অক্টোবর ১৯৯৯
২৪। শান্তি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অসাধারণ অবদানের জন্য ডক্টর অব লজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় – ১৮ ডিসেম্বর ১৯৯৯
২৫। শান্তি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অসাধারণ অবদানের জন্য ডক্টর অব লজ, ক্যাথেলিক ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলস বেলজিয়াম, – ফেব্রুয়ারী ২০০০
২৬। মানবাধিকার বিষয়ে অবদানের জন্য ডক্টর অব হিউম্যান লেটারস, ইউনিভার্সিটি অব ব্রিজপোর্ট যুক্তরাষ্ট্র -৭ সেপ্টেম্বর ২০০০
২৭। ডক্টর অব সায়েন্স, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় -১৪ মার্চ ২০০১
২৮। ডক্টর অব লজ, গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় রাশিয়া – ২০০১
২৯। ডক্টর অব লজ, পিপলস ফ্রেন্ডশিফ ইউনিভার্সিটি – ২৭ জুন ২০০৫
৩০। আন্তর্জাতিক মানবিক উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য ডক্টরেট ডিগ্রি, সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটি – ২৪ নভেম্বর ২০১০
৩১। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি এবং উন্নয়নে অনন্য অবদানের জন্য ডক্টর অব লিটারেচার ডিগ্রী, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত – ১২ জানুয়ারী ২০১২
৩২। ডক্টরেট ডিগ্রি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিমবঙ্গ, জানুয়ারী ২০১২
৩৩। GAVI পুরস্কার- ৬ ডিসেম্বর, ২০১২ সালে, তাঞ্জানিয়ায় অনুষ্ঠিত GAVI alliance Partners Forum এ বাংলাদেশকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। টীকাদান কর্মসূচীতে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য অন্য ছয়টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
৩৪। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার জন্য রোটারি ইন্টারন্যাশনালের ‘রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট-৩২৮০’র ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে প্রদত্ত ‘রোটারি পিস অ্যাওয়ার্ড’ – জুন, ২০১৩। এর আগে এই শান্তি পুরষ্কার পেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং, জার্মানির চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মার্কেল, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান।
৩৫। জাতিসংঘ পুরস্কার-২০১৩: ১৩ই জুন, ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই পুরস্কার গ্রহনের জন্য আমন্ত্রণ জানান জাতিসংঘ খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা (FAO) এর ডিরেক্টর জেনারেল হোসে গ্রাজিয়ানো দা সিলভা। ২০১৫ এর অনেক আগেই ক্ষুধার হার্ অর্ধেকে নামিয়ে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্যে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
৩৬। ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ – বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কন্যাশিশু ও নারী শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘শান্তি বৃক
শীর্ষক বিশেষ স্মারক প্রদান করছেন ইউনেস্কো মহাপরিচালক ইরেন।
৩৭। সাউথ-সাউথ ভিশনারি পুরষ্কার, ২০১৪: ২০১৪ সালের ২১শে নভেম্বর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘের ‘সাউথ-সাউথ ভিশনারি’ পুরষ্কারে ভুষিত করা হয়। বাংলাদেশে তৃণমূলপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার, সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা চালু, সর্বসাধারণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া, সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বিশ্বের দরবারে রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপনের জন্য তাঁকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই পুরষ্কার গ্রহণ করেন।
৩৮। সম্প্রতি শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে ওবামার পাশাপাশি সহ-সভাপতি যোগদান করছেন। গত ২৩ জাতিসংঘের এ অধিবেশনে শেখ হাসিনা দুটি পুরস্কারে ভূষিত হন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সক্রিয় ও দৃশ্যমান ভূমিকা এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে যুগান্তকারী উদ্যোগের জন্য ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’।
ক. ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ রোজ শনিবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) কাছ থেকে ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’ গ্রহণ করেন। শেখ হাসিনার হাতে ওই পুরস্কার তুলে দেন আইটিইউর মহাসচিব হোউলিন ঝাও। পুরস্কারটি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের তরুণদের উৎসর্গ করেছেন।
খ. ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ রোজ রোববার রাতে (নিউইর্য়ক সময়) তিনি ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার গ্রহণ করবেন।
৩৯। সম্প্রতি, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়ায় ইতোমধ্যে বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হয়েছে বাংলাদেশ। ব্রিটিশ মিডিয়া শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ (মানবতার জননী) বলে আখ্যায়িত করেছে। নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের থাকা, খাওয়া-দাওয়া ও চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো এই পরিস্থিতিতে সীমানা বন্ধ রাখলেও শেখ হাসিনা সীমান্ত খুলে দিয়ে এক বিরল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। সে কারণেই তিনি মাদার অব হিউম্যানিটি।
.
পৃথিবীতে শেখ হাসিনা এক বিরল প্রধানমন্ত্রী যিনি একজন নিয়মিত লেখক, সময় পেলেই পড়াশুনায় মন দিতে তাঁর বিকল্প নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাহিত্যের প্রতিও তাঁর রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। এগুলো এদেশের অন্য রাজনীতিক দলের নেতানেত্রীদের ক্ষেত্রে এক অকল্পনীয় বিষয়।
.
সর্বোপরি, রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং সাফল্যের জন্য আন্তর্জতিকভাবে তিনি আরও অনেক সম্মানসূচক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। শেখ হাসিনা শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি আজ তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ বিশ্বনেতা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন নতুন ভূমিকায়। অসাম্প্রদায়িকতা, উদার প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক বিজ্ঞানমনস্ক জীবন দৃষ্টি তাকে করে তুলেছে এক আধুনিক, অগ্রসর রাষ্ট্রনায়কে। একবিংশ শতাব্দির অভিযাত্রায় তিনি দিন বদল ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাণ্ডারি। এ অভিযাত্রায় তিনি বাঙালির জাতীয় ঐক্যের প্রতীক এবং ভরসাস্থল।
বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নতির পাশাপাশি শেখ হাসিনার ঝুলিতে জমেছে অনেকগুলো অর্জন। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক অনেক সম্মাননা পদক। এ পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে দেওয়া আন্তর্জাতিক পুরস্কারের সংখ্যা ৩৮টি।
টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের সফলতা জন্য গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কার দিয়েছে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন এবং ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)।
স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতরে ‘ইমিউনাইজেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের স্বীকৃতি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন এবং ইমিউনাইজেশনের (জিএভিআই) বোর্ড সভাপতি ড. এনগোজি অকোনজো ইবিলা এবং সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেথ ফ্রাংকিলন বার্ক্লে।
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ‘ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ পেয়েছেন শেখ হাসিনা। খ্যাতনামা বিজ্ঞানী, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. এ পি জে আব্দুল কালামের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এ পুরস্কার প্রবর্তিত হয়।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ‘লাইফটাইম কন্ট্রিবিউশন ফর উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট এ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করে ইনস্টিটিউট অব সাউফ এশিয়ান উইমেন। বার্লিনে ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ পদক গ্রহণ করেন সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ।
নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে তার গতিশীল নেতৃত্বের জন্য এই এ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।
এ পর্যন্ত শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র সমুন্নত করা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য বিশ্বের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউশনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন ডিগ্রি ও সম্মাননা দেয়া হয়।
শনিবার নয়া দিল্লিতে হোটেল তাজমহলে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি আশা মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে এশিয়াটিক সোসাইটি, কোলকাতা বলেছে, শান্তি প্রতিষ্ঠা, ক্ষুধা দারিদ্র্য ও দুর্নীতি প্রতিরোধ, সন্ত্রাসবাদ নিমূল এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি ভূমিকা রাখায় তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
বিশ্ব শান্তির অবিসংবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাও এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।
শান্তি প্রতিষ্ঠা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ঠাকুর শান্তি পুরস্কার’ দেয়া হয়েছে।
শনিবার নয়াদিল্লিতে হোটেল তাজমহলে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এ পুরস্কার দেয়া হয়। কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি আশা মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসি
স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘শান্তি বৃক্ষ’ শীর্ষক বিশেষ স্মারক প্রদান করছেন ইউনেস্কো মহাপরিচালক ইরেন।
৩৭। সাউথ-সাউথ ভিশনারি পুরষ্কার, ২০১৪: ২০১৪ সালের ২১শে নভেম্বর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘের ‘সাউথ-সাউথ ভিশনারি’ পুরষ্কারে ভুষিত করা হয়। বাংলাদেশে তৃণমূলপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার, সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা চালু, সর্বসাধারণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া, সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বিশ্বের দরবারে রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপনের জন্য তাঁকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই পুরষ্কার গ্রহণ করেন।
৩৮। সম্প্রতি শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে ওবামার পাশাপাশি সহ-সভাপতি যোগদান করছেন। গত ২৩ জাতিসংঘের এ অধিবেশনে শেখ হাসিনা দুটি পুরস্কারে ভূষিত হন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সক্রিয় ও দৃশ্যমান ভূমিকা এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে যুগান্তকারী উদ্যোগের জন্য ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’।
ক. ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ রোজ শনিবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) কাছ থেকে ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’ গ্রহণ করেন। শেখ হাসিনার হাতে ওই পুরস্কার তুলে দেন আইটিইউর মহাসচিব হোউলিন ঝাও। পুরস্কারটি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের তরুণদের উৎসর্গ করেছেন।
খ. ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ রোজ রোববার রাতে (নিউইর্য়ক সময়) তিনি ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার গ্রহণ করবেন।
৩৯। সম্প্রতি, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়ায় ইতোমধ্যে বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হয়েছে বাংলাদেশ। ব্রিটিশ মিডিয়া শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ (মানবতার জননী) বলে আখ্যায়িত করেছে। নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের থাকা, খাওয়া-দাওয়া ও চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো এই পরিস্থিতিতে সীমানা বন্ধ রাখলেও শেখ হাসিনা সীমান্ত খুলে দিয়ে এক বিরল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। সে কারণেই তিনি মাদার অব হিউম্যানিটি।
.
পৃথিবীতে শেখ হাসিনা এক বিরল প্রধানমন্ত্রী যিনি একজন নিয়মিত লেখক, সময় পেলেই পড়াশুনায় মন দিতে তাঁর বিকল্প নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাহিত্যের প্রতিও তাঁর রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। এগুলো এদেশের অন্য রাজনীতিক দলের নেতানেত্রীদের ক্ষেত্রে এক অকল্পনীয় বিষয়।
.
সর্বোপরি, রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং সাফল্যের জন্য আন্তর্জতিকভাবে তিনি আরও অনেক সম্মানসূচক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। শেখ হাসিনা শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি আজ তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ বিশ্বনেতা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন নতুন ভূমিকায়। অসাম্প্রদায়িকতা, উদার প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক বিজ্ঞানমনস্ক জীবন দৃষ্টি তাকে করে তুলেছে এক আধুনিক, অগ্রসর রাষ্ট্রনায়কে। একবিংশ শতাব্দির অভিযাত্রায় তিনি দিন বদল ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাণ্ডারি। এ অভিযাত্রায় তিনি বাঙালির জাতীয় ঐক্যের প্রতীক এবং ভরসাস্থল।
বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নতির পাশাপাশি শেখ হাসিনার ঝুলিতে জমেছে অনেকগুলো অর্জন। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক অনেক সম্মাননা পদক। এ পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে দেওয়া আন্তর্জাতিক পুরস্কারের সংখ্যা ৩৮টি।
টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের সফলতা জন্য গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কার দিয়েছে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন এবং ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)।
স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতরে ‘ইমিউনাইজেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের স্বীকৃতি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন এবং ইমিউনাইজেশনের (জিএভিআই) বোর্ড সভাপতি ড. এনগোজি অকোনজো ইবিলা এবং সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেথ ফ্রাংকিলন বার্ক্লে।
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ‘ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ পেয়েছেন শেখ হাসিনা। খ্যাতনামা বিজ্ঞানী, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. এ পি জে আব্দুল কালামের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এ পুরস্কার প্রবর্তিত হয়।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ‘লাইফটাইম কন্ট্রিবিউশন ফর উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট এ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করে ইনস্টিটিউট অব সাউফ এশিয়ান উইমেন। বার্লিনে ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ পদক গ্রহণ করেন সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ।
নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে তার গতিশীল নেতৃত্বের জন্য এই এ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।
এ পর্যন্ত শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র সমুন্নত করা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য বিশ্বের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউশনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন ডিগ্রি ও সম্মাননা দেয়া হয়।
শনিবার নয়া দিল্লিতে হোটেল তাজমহলে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি আশা মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে এশিয়াটিক সোসাইটি, কোলকাতা বলেছে, শান্তি প্রতিষ্ঠা, ক্ষুধা দারিদ্র্য ও দুর্নীতি প্রতিরোধ, সন্ত্রাসবাদ নিমূল এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি ভূমিকা রাখায় তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
বিশ্ব শান্তির অবিসংবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাও এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।
শান্তি প্রতিষ্ঠা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ঠাকুর শান্তি পুরস্কার’ দেয়া হয়েছে।
শনিবার নয়াদিল্লিতে হোটেল তাজমহলে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এ পুরস্কার দেয়া হয়। কলকাতা এশি
এশিয়াটিক সোসাইটি, কোলকাতা বলেছে, শান্তি প্রতিষ্ঠা, ক্ষুধা দারিদ্র্য ও দুর্নীতি প্রতিরোধ, সন্ত্রাসবাদ নিমূল এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি ভূমিকা রাখায় তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
বিশ্ব শান্তির অবিসংবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাও এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।
শান্তি প্রতিষ্ঠা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ঠাকুর শান্তি পুরস্কার’ দেয়া হয়েছে।
শনিবার নয়াদিল্লিতে হোটেল তাজমহলে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এ পুরস্কার দেয়া হয়। কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি আশা মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে এশিয়াটিক সোসাইটি, কোলকাতা বলেছে, শান্তি প্রতিষ্ঠা, ক্ষুধা দারিদ্র্য ও দুর্নীতি প্রতিরোধ, সন্ত্রাসবাদ নিমূল এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি ভূমিকা রাখায় তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
বিশ্ব শান্তির অবিসংবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাও এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।
এ যেন আমাদের বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় সোনার বাংলার প্রাপ্তি ও বিশ্ব জয়ের চেতনায় মুজিব কন্যার প্রেরণায় আমরা গর্বিত জাতির প্রয়াসে উন্নত বিশ্বে সুনাম বয়ে আনবে সোনার বাংলাদেশ
বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ সংরক্ষণ সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত ভাবে আনান্দ মুখর মিডিয়াতে প্রচারে ও প্রকাশে তথ্য’সংগ্রহ রচনায়; প্রশিক্ষিত আত্মকর্মি ও খোলা চিঠি লেখক -কলামিষ্ট , জেনারেল সার্ভেয়ার, আলোচক, সাহিত্যিক, কবি মিজানুর মাওলা (অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও সাংবাদিক)।
লেখকের ঠিকানাঃ ঢাকাস্থ বরিশাল হিজলা উপজেলা।