Sharing is caring!
পুনম শাহরীয়ার ঋতুঃ ছোট্ট শিশু তুবাকেভর্তির বিষয়ে আলাপ করতে গিয়ে ছেলে ধরা উপাধিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন স্কুল শিক্ষিকা তাসলিমা বেগম রেনু। ছোট্ট তুবা এখনো জানে না তার মা বেঁচে নেই তার মা আর ফিরে আসবেনা।
বয়স ৪০ বছর।আর দশটা তরুণীর মতো দুচোখে অনেক স্বপ্ন ছিলো রেনুর।দুই সন্তানের মা রেনু থাকতেন ঢাকার মহাখালীর ৩৩/৩ জিপি/জ ওয়্যারলেস গেটে। রেনুর গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার রায়পুরে।
এর আগে তিনি উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক স্কুলের পাশে আলী মোড় এলাকায় স্বামী তসলিম হোসেনের সঙ্গে পরিবার নিয়ে থাকতেন।
গত দুই বছর আগে পারিবারিক কলহের কারণে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে সন্তানদের নিয়ে মহাখালীতে বসবাস করতেন রেনু। একজন সিংগেল মাদার রেনুর প্রতিটি দিনই ছিলো দু’ দুটো ছেলেকে নিয়েই বেঁচে থাকার সংগ্রাম।
বাবার অবর্তমানে দুই ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ করতে চেয়েছিলেন রেনু,যাতে তারা মায়ের দুঃখ দূর করতে পারে।
শনিবার (২০ জুলাই) কাকডাকা ভোরে উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক স্কুলে সন্তানকে ভর্তির খোঁজখবর নিতে যান রেনু।
সকাল পৌনে ৮টার দিকে উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজার সড়কে ছেলেধরা সন্দেহে হুজুগে পড়ে রেনুকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে কতিপয় বিক্ষুব্ধ জনতা।তার বেঁচে থাকার আকুল আকুতিতে একটুও মন গলেনি পাষাণহৃদয় মানুষ রুপি সন্ত্রাসীদের। ইট কাঠের এই শহরে রেনুর স্বপ্নগুলো অধরাই থেকে গেলো,শুধু ছবি হয়ে রইলেন একজন সংগ্রামী রেনু।
বাসায় পড়ে রইলো দুই সন্তান মায়ের অপেক্ষায়। যে অপেক্ষার কোনো শেষ নেই।