১লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর কাছে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক আগ্রাশন নিয়ে অভিযোগ

admin
প্রকাশিত জুলাই ২১, ২০১৯

Sharing is caring!

মোজাম্মেল হক :প্রিয়া সাহা, বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত একটি নাম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর কাছে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক আগ্রাশন নিয়ে অভিযোগ করে আলোচনায় আসেন তিনি। এ বিষয়ে পক্ষে বিপক্ষে নানান বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। আসলে প্রিয়া সাহা শুধু দেশকে ছোট করেনি সে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আঘাত করেছে, বঙ্গবন্ধু-ওসমানী-ভাসানী-শের এ বাংলা প্রমুখদের চেতনাকে আঘাত করেছে। আমাদের দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। ১৯৪৭ সাল থেকে যতবার এখানে সাম্প্রদায়িক প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করা হয়েছে ততবার তা প্রতিহত করা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি আমার দেশে সংখ্যা লঘু সম্প্রদায় যতটা নিরাপদ অন্য কোনো দেশে ততটা নিরাপদ নয়। হ্যাঁ এটা সত্য কিছু সাম্প্রদায়িক উষ্কানি দাতা আছে। সেটা যেমন মুসলিম তেমনি অন্য ধর্মেরও আছে। এরা কখনোই অসাম্প্রদায়িক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ কল্পনা করতে পারে না। এদের কারনেই বার বার বিতর্কের তৈরি হয়। এরা জাতীয় কুলাংগার। হিন্দু সম্প্রদায় এর বিভিন্ন পূজা, খ্রিষ্টানদের বড়দিন, পাহাড়িদের বিভিন্ন উৎসব, বোদ্ধ পূর্ণিমা সব কিছুতেই সরকারি নিরাপত্তা দেয়া হয়। যেখানে আমাদের প্রতিবেশী দেশ অসাম্প্রদায়িকতার নামে সংখ্যালঘু নির্যাতন করে সেখান আমরা নিরাপত্তা দিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব পালনে সাহায্য করি। তাহলে কেনো এ অভিযোগ। কথা একটাই সাম্প্রদায়িকতার উষ্কানি দেয়া হচ্ছে। আর সমাধানও একটাই ‘প্রতিরোধ’। যতবার এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে ততবার প্রতিহত করা হয়েছে এবারও হবে। আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধুর সাথে আমি প্রায় ৩ বছর যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছি কারন সে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে। কোথাও কোনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কেউ গালি দিলে তার প্রতিবাদ করি। আমার অনেক হিন্দু বন্ধু আছে যারা বলতে পারবেনা কখনো সাম্প্রদায়িক কোনো আচরণ করেছি। এভাবে আমরা সবাই যদি স্ব অবস্থান থেকে নিজের পরিবার পরিজনদের বন্ধুবান্ধবের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মানষিকতা তৈরি করতে পারি তাহলেই অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব।