২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ভান্ডারিয়ায় লাইফ কেয়ার হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু

admin
প্রকাশিত আগস্ট ৩১, ২০২০
ভান্ডারিয়ায় লাইফ কেয়ার হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু

Sharing is caring!

 

 

সেলিম খান,ভান্ডারিয়া প্রতিনিধিঃ-

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় লাইফ কেয়ার হসপিটালের মালিক ডা. নিপা মন্ডলের ভুল চিকিৎসায় রুমানা বেগম নামের এক গর্ভবতীর গর্ভজাত নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আজ রবিবার রোগি রুমানা বেগমের ভাই মো. গোলাম আযম সাংবাদিকদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। রুমানা উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের ইমাম হোসেনের স্ত্রী।

 

গোলাম আযমের অভিযোগ, তার গর্ভবতী বোন রুমানাকে গত ১৯ আগষ্ট ভান্ডারিয়ার লাইফ কেয়ার হাসপাতালের মালিক ডা. নিপা মন্ডলকে দেখালে তিনি আলট্রাসনোগ্রাফি করে একটি চিকিৎসা পত্র দেয়। সে অনুয়ায়ী রোগী ঔষুধের ৭ দিনের কোর্স সম্পন্ন করলে বাচ্চার নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়।

 

পরে ২৯ আগষ্ট শনিবার আবারও একই ডাক্তার নিপার মন্ডলের স্মরণাপন্ন হলে তিনি আবারও আলট্রাসনোগ্রাফি করে বোনের গর্ভজাত বাচ্চাকে মৃত ঘোষণা করে এবং তার দেয়া চিকিৎসা পত্রের ৫০০ এমজির একটি এন্টিবায়োটিক ঔষুধ কেটে ২৫০ এমজি বানিয়ে আবারও চিকিৎসা পত্র দেয়।

 

গর্ভজাত শিশুর মৃত নিশ্চিত হওয়ার পরও কেন ঔষুদের ডোজ কমানো হলো এমন প্রশ্নের করলে তাকে অন্যত্র চলে যেতে বলে ডা. নিপা মন্ডল।

 

পরে নিরুপায় হয়ে উক্ত রোগিকে নিয়ে স্থানীয় লাবান্য নামে একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে ওইদিন রাতেই সেখানে স্বাভাবিক ডেলিভারি করানো হয় এবং মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করে। এ ঘটনার তদন্ত পূর্বক বিচার দাবী করেন ভুক্তভোগি পরিবার। অভিযোগ রয়েছে, এর আগেও ডা. নিপা মন্ডলের অপচিকিৎসায় এমন ঘটনা ঘটেছে।

 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত লাইফ কেয়ার হসপিটালের মালিক ডা. নিপা মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সেইভ ড্রাগ দিয়ে সঠিক চিকিৎসা দিয়েছি। তবে গর্ভজাত বাচ্চার মৃত নিশ্চিত হয়েও কেন চিকিৎসা দেয়া হলো এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে যান।

 

উল্লেখ্য, এই ক্লিনিকটি পূর্বে জনতা ক্লিনিক নামে চলতো। সেখানেও এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার পড়ে স্থানীয় প্রশাসন বেশ কয়েকবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানাও আদায় করেছেন।

 

প্রশাসনের তদারকি বাড়ায় পূর্বের মালিক আর্থিক অনটনের কারণে ক্লিনিকটি বিক্রি করে দেন। পরে তিনজন শেয়ার হোল্ডার বর্তমানে এটির নাম পরিবর্তন করে লাইফ কেয়ার হাসপাতাল এন্ড ডায়গনেস্টিক সেন্টার নামকরণ করেন।

 

এর মধ্যে প্রথম জন লিবার ব্রাদার্সের সাবেক পণ্য বিক্রেতা ভান্ডারিয়া উপজেলার পার্শবর্তী উপজেলার বাসিন্দা প্রিন্স মৃধা, ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমুলার বাসিন্দা আমুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপষ কুমার তালুকদার এবং তার স্ত্রী ডা. নিপা মন্ডল।

 

এদিকে, গর্ভজাত নবজাতক মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে ক্লিনিকের মালিক পক্ষসহ স্থানীয় একটি মহল তৎপর রয়েছে।

 

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভা-ারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল আলম নবীন জানান, যেহেতেু এটি মোবাইল কোর্টের আওতায় পড়েনা। এব্যাপারে নিয়মিত মামলা করা উচিত।