Sharing is caring!
আব্দুল করিম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ঃ- রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের একটি সেতু প্রায় ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় ছয় বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ফলে সেতুটি মানুষের কোন কাজে আসছেনা। এতে পাঁচ গ্রামের প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। কক্সবাজারের রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাইটুপী-খেনচর ঘোনা সড়ক এটি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের অর্থায়নে সর্বশেষ ২০১৩ সালের মে মাসে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩৬ ফুট আর প্রস্থ ১৪ ফুট । উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। এতে ব্যয় ধরা হয় ১৮ লক্ষ ৫৯ হাজার ৩৪০ টাকা। এলাকাবাসী জানায়, ২০১৩ সালের মে মাসে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও দু’পাশে মাটি ভরাট করে সংযোগ সড়ক তৈরী করা হয় জানুয়ারীর দিকে। কিন্তু গত ২০১৩ সালের শেষের দিকে বন্যায় সেতুর দু’পাশে প্রায় চার’শ ফুট মাটি সরে যায়। ফলে মাত্র আটমাসের মধ্যে এই সেতু দিয়ে চলাচলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। যে কারণে হাইটুপী, তপাড়া, উখিয়ারঘোনা, পূর্ব মেরংলোয়া তলিয়াপাড়া, খেনচর ঘোনাসহ পাঁচ গ্রামের ছাত্রছাত্রীসহ প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গত সপ্তাহে টানা তিন দিন জোরে বৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে ভাঙ্গা অংশে পানি জমে থাকায় দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম ছোবহান ও ব্যবসায়ী ওবাইদুল হক জানান, তচ্ছাখালী, খেনচরঘোনা, লট উখিয়ারঘোনা এলাকার বেশকিছু ছাত্রছাত্রী ওই সড়ক দিয়ে রামু কলেজ, রামু খিজারী উচ্চ বিদ্যালয়, রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মেরংলোয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। বর্তমানে এ অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীদের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার বাড়তি পথ পাড়ি দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। এছাড়াও স্থানীয় কবর স্থানটি সেতুর ওপারে খেনচর ঘোনা এলাকায় হওয়ায় বর্ষাকালে মরদেহ দাফনে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই চলতি বর্ষা মৌসুমকে ঘিরে এলাকাবাসী সেই দুর্ভোগ আতংকে দিনাতিপাত করছেন। রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা সাংবাদিকদের বলেন,বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।