Sharing is caring!
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কের অবকাঠামো উন্নয়নে আরও ৩৪৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করল বাংলাদেশ সরকার।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। অনুমোদন পাওয়া ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি- ২ এর সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৩৪৪ কোটি ৯৩ লাখ ৪২ হাজার টাকা। এর পুরোটাই দেবে বাংলাদেশ সরকার।
২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালর জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করাই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। প্রকল্পের আওতায় ১০তলা বিশিষ্ট এক লাখ ২০ হাজার বর্গফুটের দুটি ডরমেটরি ভবন নির্মাণ, সেবা ভবন তিনতলা থেকে ১০তলা পর্যন্ত নির্মাণ, একতলা বিশিষ্ট সাব-স্টেশন নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ, দুটি ব্রিজ ও পাঁচটি কালভার্ট নির্মাণ, ইলেকট্রো মেকানিক্যাল ওয়ার্কস , অভ্যন্তরীণ ড্রেনেজ, ওয়াকওয়ে ও ইউটিলিটি ডাক্ট, সীমানা প্রাচীর, পাম্প হাউজ ইত্যাদি নির্মাণ, সিকিউরিটি সার্ভিস ও আউটসোর্সিং জনবল ভাড়া করা, বিভিন্ন পর্যায়ে ১৩ জনবল নিয়োগ, যানবাহন কেনা এবং বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার এক্সেসরিজ ও ফার্নিচার সংগ্রহ ইত্যাদি।
এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় চার লাখ ৮১ হাজার ১৮১ ঘনমিটার ভূমির উন্নয়ন করা হবে।
এ বিষয়ে হাই-টেক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, আইটি খাত মানুষের সৃজনশীলতা ও কর্মক্ষমতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম। মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে জ্ঞানভিত্তিক মানবসম্পদ গড়ে তোলার বিকল্প নেই। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) নির্ধারিত সময়ের আগে অর্জনের লক্ষ্যে দেশের সব বিভাগ/জেলায় হাই-টেক/আইটি পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি দেশের প্রথম হাই-টেক পার্ক। এ পার্কের আয়তন ৩৫৫ একর। এর মধ্যে ৯৭ একর জমি ২০১৭ সালে পার্কের আওতায় আসে।
২০১০ থেকে ২০১৩ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাস্তবায়িত ‘সাপোর্ট টু হাই-টেক পার্ক অথরিটি টু এস্টাবলিশ হাই-টেক পার্ক অ্যাট কালিয়াকৈর, গাজীপুর’ প্রকল্প এবং পরবর্তীতে ‘কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কের উন্নয়ন প্রকল্প (তৃতীয় সংশোধন)’ এর আওতায় এখানে অবকাঠামো তৈরি করা হয়। ২০১৭ সালে পার্কের আওতায় আসা ৯৭ একর জমি অবকাঠামোর বাইরে রয়েছে। এ জমিতেও বিনিয়োগের প্রাথমিক সুবিধাদি স্থাপন করা আবশ্যক বিধায় এ সংক্রান্ত প্রকল্প প্রস্তাব করা হলে অনুমোদন দেয় একনেক