২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মহেশপুর প্রাইভেট হাসপাতালে ডাঃ সোহেল রানার ভুল সিজারে প্রাণ গেলো প্রসূতি মায়ের

admin
প্রকাশিত আগস্ট ১৮, ২০২০
মহেশপুর প্রাইভেট হাসপাতালে ডাঃ সোহেল রানার ভুল সিজারে প্রাণ গেলো প্রসূতি মায়ের

Sharing is caring!

 

সুলতান আল একরাম,ঝিনাইদহঃ

 

আবারও সেই নেশা গ্রস্ত ডাক্তারের ভূল সিজার অপারেশনের কারনে রিনা খাতুন (৩২) নামের এক প্রসুতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (১৮ই আগস্ট) দুপুর ১০টার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর শুভাষ ক্লিনিক ওরফে মহেশপুর প্রাইভেট হাসপাতালে সিজার অপারেশন করার সময় টেবিলেই তার মৃত্যু হয়।

 

মৃত রিনা খাতুন মহেশপুর উপজেলার হাবাশপুর স্কুল পাড়া গ্রামের সামাউল ইসলামের স্ত্রী। এদিকে ক্লিনিক মালিক সুভাষ কুমার তার শাঙ্গু পাঙ্গু নিয়ে রোগীর আত্মীয় জনদের সাথে দফা রফায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

 

মৃত রিনা খাতুনের স্বামী সামাউল ইসলাম জানান,ক্লিনিক মালিক আমার বৌ কে মেরে ফেলেছে। আমি তার বিচার চাই।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাতিবিলা গ্রামের কয়েকজন জানান, ভাড়া করা নেশাগ্রস্ত ডাক্তার সোহেল রানাকে দিয়ে শুভ ক্লিনিক এণ্ড প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক সুভাষ কুমার প্রায় দিনে ও রাতে বিভিন্ন ধরনের অপারেশন করে আসছিলো।

 

তারা আরো জানান, ঝাড়ুদার হয়েছে নার্স আর সুইপার যদি আয়া হয় আর এক জন মাতাল ডাক্তার দিয়ে যদি অপারেশন করানো হয় তাহলে তো রোগী মারা যাবেই।

 

৮ দিন পুর্বে নেপামোড়ের মা ও শিশু ক্লিনিক ও একই এলাকার একতা ক্লিনিকে ভুল সিজার অপারেশন করার সময় নেশাগ্রস্ত ডাক্তার সোহেল রানার হাতে সীমান্ত এলাকার জিনজিরা পাড়ার মরিয়ম খাতুন ও সালমা নামের দু’ প্রসুতি মায়ের মৃত্যু হয়। একের পর এক প্রসুতি মায়েদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের যেন ঘুম ভাংছেনা।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার আনঞ্জুমানআরা খাতুনের সাথে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখেন।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাশ্বতী শীল জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আর এ সব ক্লিনিক গুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ। তিনি আরো জানান আমি তারাতারিই ক্লিনিক গুলোতে অভিযান চালাবো।